রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৪৫ অপরাহ্ন
ভয়েস অব বরিশাল ডেস্ক।। ভারতে গত কয়েকদিন ধরে আক্রান্ত করোনা রোগীর সংখ্যা ৬ হাজারের নীচে নামছেই না। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে শনাক্ত হয়েছে ৬ হাজার ৭৬৭ জন। এটি এখন পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ শনাক্তের রেকর্ড। দেশটিতে করোনা পরীক্ষা বাড়ানোয় আক্রান্ত রোগীও ধরাও পড়ছে বেশি। তবে সুস্থ হওয়ার হারও আশাব্যাঞ্জক বলে মনে করছে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। খবর এনডিটিভি ও টাইমস অব ইন্ডিয়ার।
টানা তৃতীয় দিনের মতো করোনা আক্রান্ত ৬ হাজার পেরিয়ে শনাক্ত হলো ভারতে। রোববার সকালে দেশটির কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, আগের ২৪ ঘণ্টায় নতুন আক্রান্ত হয়েছে ৬ হাজার ৭৬৭ জন। আগের ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত হয়েছিল ৬ হাজার ৬৫৪ জন।ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আরও জানায়, এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ১ লাখ ৩১ হাজার ৮৬৮ জন। করোনায় রোববার সকাল পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ১৪৭ জনের। এ নিয়ে মোট প্রাণহানি ঘটলো ৩ হাজার ৮৬৭ জনের।
এদিকে ভারতে আশা জাগাচ্ছে আক্রান্তদের সেরে ওঠার খবর। করোনার সঙ্গে লড়াই করে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৫৪ হাজার ৪৪০ জন। করোনায় আক্রান্ত হয়ে সুস্থ হওয়ার হার ৪১ শতাংশ।
করোনায় সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ও মৃত্যু হয়েছে মহারাষ্ট্র রাজ্যে। এ রাজ্যে এ পর্যন্ত ৪৭ হাজার ১৯০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। মারা গেছে ১৫০০ জন। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আক্রান্ত রাজ্য তামিলনাড়ুতে এ পর্যন্ত শনাক্ত হয়েছে ১৪ হাজার ৭৫৩ জন। মারা গেছে ৯৮ জন।
পশ্চিমবঙ্গেও আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। এ রাজ্যে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩ হাজার ৪৫৯। মৃত্যু হয়েছে ২৬৯ জনের।
এদিকে প্রতিদিন আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়লেও লকডাউন শিথিলের দিকে যাচ্ছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। আগেই সীমিত আকারে রেল চলাচল শুরু হয়েছে। আগামীকাল থেকে অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট চালু হওয়ার কথা।
তবে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় লকডাউন শিথিলের বিষয় পুনর্বিবেচনা করার আহ্বান জানিয়েছে মহারাষ্ট্র, পশ্চিমবঙ্গ ও তামিলনাড়ু রাজ্য সরকার। কারণ কেন্দ্র্রীয় সরকার বিমানবন্দর চালু করলে স্বয়ংক্রিয়ভাবেই রাজ্যগুলোকেও তা খুলে দিতে হবে।
মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনীল দেশমুখ এক টুইটার বার্তায় বলেছেন, করোনার রেড জোন এলাকাগুলোতে এয়ারপোর্ট চালু করা ভয়ানক দুর্বল সিদ্ধান্ত।
আসামের স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিমান্ত বিশ্ব দাবি জানিয়েছেন, করোনাকালীন রাজ্যগুলোর মধ্যে মানুষের চলাচলে নতুন বিধিনিষেধ জারি করা হোক। নইলে ভাইরাসটির বিস্তার ঠেকানো যাবে না।
Leave a Reply