মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৫, ০৯:৫২ পূর্বাহ্ন
ভয়েস অব বরিশাল ডেস্ক॥ রাজশাহীর মোহনপুরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক ছাত্রীকে (২০) ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয়েছে। ওই ছাত্রীর বৃহস্পতিবার (৩০ এপ্রিল) দুপুরে মোহনপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে এ মামলা করেন।
জানা গেছে, মোহনপুর উপজেলার কালিগ্রাম খাজুরা মধ্যপাড়া গ্রামের নহির উদ্দিনের ছেলে নৈমুদ্দিন ওরফে নয়ন (২০), ইউনুস আলীর স্ত্রী ফাজেলা বেগম(৩৮) ও মৃত খিন্টু মন্ডল ছেলে নহির উদ্দিন(৫০) তিনজনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলা এজাহার দেওয়া অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, প্রধান আসামি নৈমুদ্দিন নয়ন কলেজে আসা-যাওয়ার পথে ও মোবাইল ফোনে প্রায়ই ওই ছাত্রীকে প্রেম নিবেদন ও উত্ত্যক্ত করতেন। এক পর্যায়ে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। পরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে নৈমুদ্দিন নয়ন ছাত্রীটিকে একাধিকবার ব্যবহার করেন।
ওই ছাত্রী নৈমুদ্দিন নয়নকে বিয়ের জন্য তাগিদ দিলে সে বিভিন্ন অজুহাতে কালক্ষেপণ করতে থাকে। গত ২১ এপ্রিল সকাল সকাল ১০টায় ছাত্রীর বাবা ও মা বাড়িতে না থাকায় সুযোগে নয়ন বাড়িতে আসেন বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ করেন।
নৈমুদ্দিন নয়নকে বাড়ি হইতে বাহির হতে দেখতে পেয়ে চাচা হালিম জিজ্ঞাসা করিলে ওই ছাত্রী বিস্তারিত খুলে বলে। গত ২৯ এপ্রিল সন্ধ্যা আনুমানিক সাড়ে ৬টার দিকে ছাত্রীটিকে বিবাহর জন্য নৈমুদ্দিন নয়ন তাদের বাড়িতে ডেকে নেয়। মেয়েটি নয়নে বাড়িতে গিয়ে দেখতে পায় অন্য একটি মেয়েকে বিবাহ করেছে। ওই সময় নৈমুদ্দিন নয়নের চাচী ফাজেলা বেগম কিল-ঘুষি মেরে বাড়ি হতে বের করে দেয়।
পরবর্তীতে মামলার ১নং অভিযুক্ত নৈমুদ্দিন নয়ন ও তার পিতা নহির উদ্দিন বাড়িতেএসে খুন জখমসহ বিভিন্ন হুমকি প্রদান করে বিবাহ করতে পারবে বলে জানিয়ে দেয়।
বুধবার রাতে মোহনপুর থানা-পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে বৃহস্পতিবার সকালে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে(ওসিসি) পাঠানো হয়েছে।
অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্য জানার জন্য প্রধান আসামি নয়নের বাড়িতে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি। তার মুঠোফোনও বন্ধ রয়েছে।
নয়নের মা পারেছা বেগম বলেন, তার ছেলে নৈমুদ্দিন নয়ন কোথায় আছেন, তা তিনি জানেন না।
এদিকে ছাত্রীর চাচা মুছাদ আলী প্রতিবেদকে জানান, ওই লম্পট নৈমুদ্দিন নয়ন একাধিক মেয়েকে মিথ্যা প্রেমের জালে জড়িয়ে তাদের জীবন নষ্ট করেছে।
মোহনপুর থানার অফিসার ইনর্চাজ (ওসি) মোস্তাক আহম্মেদ জানান, নয়ন বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করে। পরে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানালে ভিকটিম নিজে বাদী হয়ে থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। মামলার পরপরই আসামি গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যহত রয়েছে।
Leave a Reply