রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:৪৮ অপরাহ্ন
বিসিসির নির্বাচনে দুইটি বিষয়ের বিজয় হয়েছে-১.আওয়ামী লীগের ২. সাদিক আবদুল্লাহর। যারা সাদিকবিরোধী তারা রাজনীতি দ্বারা সাদিককে ঠেকাতে চায়না। আর যারা আওয়ামী লীগেরবিরোধী তারাও রাজনীতি দ্বারা আ.লীগকে কোন জবাব দিতে পারছেনা। জনমনের একটা বড় অংশের প্রশ্ন-মজিবুর রহমান সরোয়ার ১৩ হাজার ভোট পাবে কেন? বলা হয় বরিশালটা বিএনপির ঘাটিঁ। কথাটা সত্যএই মর্মে যে- বরিশালে বিএনপিকে গড়েছে সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রয়াত আব্দুর রহমান বিশ্বাস এবং সাবেক শিক্ষামন্ত্রী প্রয়াত অধ্যক্ষ ইউনুস খান। যত সমালোচনাই থাক তারা স্বচ্ছ লোক ছিলেন এজন্য জনগন তাদেরকে গ্রহন করেছে।এবং বিএনপি বিশেষতঃ মজিবুর রহমান সরোয়ার সেটাকে সামাজিক-রাজনৈতিক দিক থেকে ধওে রাখতে এগিয়ে নিতে সক্ষম হয়েছেন। সরোয়ার নির্বাচনে হারেনা, হারলেও জামানত আদতায় করেই হারবে, এটাই বিবেচনা। কিন্তু বিসিসি নির্বাচন ২০১৮ তার ভোটব্যাঙ্কে সাত হাজারের মত ভোট পাওয়া গেছে।
এটা আওয়ামী লীগের দয়া, বিএনপি নিন্মে এক ভোট পেতো, সরোয়ারের নিজেরটা, সেখানে আওয়ামী লীগের দয়ায় ১৩ হাজার ভোট কম কথা নয়। সাদিক নির্ঝঞ্জাট। লীগ মনোয়ন দিয়েছে, নির্বাচন কমিশন নির্বাচন বাস্তবায়ন করেছে, ভোটাররা ভোট দিয়েছেন। এখানে সাদিক ফোর সাবজেক্ট। বামরা বলছে ফের নির্বাচন।
এটা বামরা বলে, অবস্থাদৃষ্টে তারা ছাগলের তিন নম্বর বাচ্চা। আন্দোলনেও সখি মোরে ধরো ধরো অবস্থা আবার নির্বাচনেও। কিন্তু তারা কোন যুক্তিতে ফের নির্বাচন চাইছে ? সংগ্রামী যুক্তিতে। বূর্জোয়া কোন যুক্তি বা প্রচলিত সমাজব্যবস্থার যুক্তিতেও নয়। আর নির্বাচন হয় কোন সংগ্রামী ইজম ছাড়া। বিএনপি চুপচাপ- মনে হয় হোয়াট ইস টু বি ডান, কি করিতে হইবে সমস্যায় আক্রান্ত। নির্বাচন কমিশন বলছে আমাদের কাজে কোন খুত নেই। আবার প্রধান নির্বাচন কমিশন বলছে বরিশালে বাজে নির্বাচন হয়েছে। মনীষার হাত ভেঙ্গেছে। প্রেস বলছে সে রিগিং, ভোট জালিয়াতি হাতেনাতে ধরেছে, এই তার অপরাধ (!)। মনীষা মুখ ভার করে মিছিল মিটিংএ উপস্থিত থাকছে। স্বাভাবিক।
সে এবং বাসদ আশা করেছিলো বেশ একটা নাগরিক, প্রগতিশীল জোরালো প্রতিবাদ হবে। কিন্তু কার্যতঃ সেসবের কিছুই হয়নি। মানুষজন সব ভেড়া হয়ে গেছে। যীশু খৃষ্টের ভেড়া না, লীগ আর দলের ভেড়া। বিএনপি যেটাকে ভাবে মাথা দিয়ে ঠেলছি আসলে সেটা মাথা না ঘাড় অথবা ভূড়িঁ ,এটা তাদের ট্যাডিশন। আ.লীগ ভোট জালিয়াতিতে সুপারষ্টার আবহমানকালের, আগে তা করতো জনগন ছাড়া এখন করে জনগনকে সাথে নিয়ে।
মানুষের একটা সমস্যা থাকবেই, যে চুরি করেনা দেখা যাবে তার মুখ অত্যন্ত খারাপ। যে রাইতে ডাকাতি করে দিনে তার খুব বিনয়ী ব্যবহার। ভালো মানুষ যারা তাদের আবার মেরুদন্ডে সমস্যা থাকে সোজাভাবে খাড়াইতে পারেনা। প্রধান বিরোধী দলের সমস্যা আওয়ামী লীগকে ঠিক লোকেট করতে পারেনা। আ.লীগ চুরির নামে ডাকাতি করে ডাকাতির নামে চুরি করে। জনগন আ.লীগের এই সাফল্য আর অগ্রগতিতে খুশি হয়, হাততালি দেয়। এই দেশের রাজনীতিতে বিএনপির চেয়ে বেশী লস দিয়েছে আ.লীগ। যার দরুন অনেক গোপন জিদ আ.লীগ প্রকাশ্যে এনেছে আবার অনেক প্রকাশ্য জিদ গোপন রেখেছে।
এস এম তুষার, সাংবাদিক. কলামিষ্ট।
Leave a Reply