রবিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৫, ০৩:৫৭ পূর্বাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার : উপজেলা প্রশাসন এবং সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে বরিশাল পটুয়াখালী মহাসড়ক বাকেরগঞ্জে পৌর টোলের নামে বিভিন্ন যানবাহন থেকে চাঁদা নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। বাকেরগঞ্জ উপজেলা শ্রমিকলীগের সভাপতি দাবীদার কালাম ডাকুয়া নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ঐ কাজ চলমান রেখেছে। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের আইনানুযায়ী, পৌরসভার নিজস্ব পার্কিং স্থান না থাকলে পৌর কর্তৃপক্ষ সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর (সওজ), স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) নির্মিত ও তত্ত্বাবধানে থাকা সড়কগুলোতে যোগাযোগ মন্ত্রণালয় এবং স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অনুমতি ছাড়া কোনো ধরনের টোল আদায় করতে পারবে না। ২০১৫ সালের ৩ ডিসেম্বর স্থানীয় সরকার বিভাগ পৌর-১ শাখা উপ-সচিব সরোজ কুমার নাথ এক স্বাক্ষরিত স্মারকে সিটি কর্পোরেশন ও পৌরসভা কর্তৃক মহাসড়কে বিভিন্ন যানবহনে টোল আদায় বন্ধ করার নির্দেশ প্রদানসহ সংশ্লিস্ট দপ্তরগুলোতে চিঠি আকারে অবহিত করেন। এই আদেশ জারির পর সারাদেশের মত বাকেরগঞ্জে পৌর টোল আদায় কয়েক মাস বন্ধ থাকে। পরবর্তী ক্ষমতার প্রভাব দেখিয়ে কালাম ডাকুয়া বিধি নিষেধ না মেনে স্হানীয় প্রশাসনের সামনে যানবাহন থেকে চাঁদা তুলছেন। পূর্বের নিধার্রিত চেয়ে ঐসকল যানবাহন থেকে অতিরিক্ত টাকা নেয়ার অভিযোগ রয়েছে এই নেতার বিরুদ্ধে। তার হাত থেকে ট্রাকই নয়, দুরপাল্লার রিজার্ভ পরিবহন চাঁদা না দেয়া থেকে রেহাই পাচ্ছে না।বাংলাদেশ আন্তঃজিলা ট্রাক চালক ইউনিয়ন নামে মৃত্যু ও পঙ্গু সদস্যদের কল্যাণে চাদার রসিদে ২০টাকা উল্লেখ থাকলেও ট্রাক প্রতি নেয়া হচ্ছে ৫০টাকা। এই রসিদ ব্যবহার করে কুয়াকাটার উদ্দেশ্য ভ্রমনে আসা দুরপাল্লার রির্জাভ পরিবহন থেকে ১০০ টাকা করে তোলা হচ্ছে। এতে হিসেব সূত্রে প্রতিদিন যানবাহন থেকে পৌর টোলের নামে ২৫ হাজার টাকার চাঁদা উত্তোলন করা হয়। মাসে ৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা, এবং বছরে ৯ কোটি টাকার চাঁদা তুলছে কালাম বাহিনী। ঢাকাগামী মেঘনা পরিবহণের চালক কালু গাজী অভিযোগ করেন, প্রায়ই তিনি রিজার্ভ যাত্রী নিয়ে কুয়াকাটার উদ্দেশ্য তাকে যেতে হয়। কিন্তু পথিমধ্যে বাকেরগঞ্জ স্ট্রান্ডে পৌর টোলের নাম করে দুটি রসিদ ধরিয়ে দিয়ে ৬০টাকা করে নেয় কালাম ডাকুয়া ও তার লোকজন। কিন্তু পৌর টোল রসিদে২০ টাকা নির্ধারিত। বতর্মানে সরকার টোল উওোলন বন্ধ করেছে। তারপরও দিতে হচ্ছে টোল। এতে সরকার হারাচ্ছে যেমনি রাজস্ব তেমনি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে পরিবহন সেক্টরসহ ভুক্তভোগীরা। এদিকে অভিযোগের বিষয় কালাম ডাকুয়া মুঠোফোনে বলেন, টোল নেয়ার বিষয়টি বড় মাথার ব্যপার।এখানে আমার কোন যোগসাজেস নেই। আমি কোন র্কায্যক্রমে নেই। এ ব্যপারে বাকেরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো, মাসুদুজ্জামানের কাছে জানতে তার ব্যবহারিক মুঠোফোনে ফোন দেয়া হলে তিনি লাইনটি কেটে দেয়ায় জানা সম্ভব হয়নি।
Leave a Reply