শনিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৩১ পূর্বাহ্ন
মোঃ আমজাদ হোসেন,বাউফল প্রতিনিধি॥ পটুয়াখালী জেলার বাউফল থানা এলাকায় নিম্ম মানের ঔষুধ পাওয়া গেছে এক ফার্মেসীতে। ঔষুধ কম্পানি স্কয়ার নাম যুক্ত ও লোগো তৈরি সেকলো-২০ ক্যাপসুল। অভিযোগ উঠেছে ঔষুধ গুলো সামান্য ক্যেমিকেল দিয়ে ময়দা দিয়ে তৈরি করা হয়েছে।
মোড়ক দেখে বোঝার উপায় নেই ক্যাপসুলগুলো নকল। বাউফল উপজেলার নওমালা ইউনিয়ন নগরের হাটে ‘মা মেডিকেল হল’ নামক ফার্মেসীতে স্কয়ার কোম্পানির এমনই ভেজাল ওষুধ খুঁজে পেয়েছেন স্থানীয় সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম।
তিনি জানান, গত মঙ্গলবার ওই ফার্মেসী থেকে স্কয়াল কোম্পানির ৫ পিস সেকলো-২০ ক্যাপসুল ক্রয় করেন। রবিবার (২৮ মে) দুপুরে সেবনের উদ্দেশ্যে একটি ক্যাপসুল বের করে দেখতে পান ওষুধের ভিতরটা কালো। ক্যাপসুলটি ভাঙতেই ভিতর থেকে বেরিয়ে আসে ময়লার গুঁড়া।
শফিক বলেন,ওই দিন বিকালে ওষুধ নিয়ে মা মেডিকেল হলের মালিক রিয়াজ আহমেদ এর কাছে গিয়ে ওষুধে ভেজালের বিষয়টি জানাই। তখন দোকানি রিয়াজ আমাকে বলে, ‘ভাই এক বক্স ওষুধ খারাপ হয়েছে। এ নিয়ে বাড়াবাড়ি কইরেন না।
এদিকে নওমালার ভুক্তভোগী ফল ব্যবসায়ী আব্দুস ছালাম বলেন, চার-পাঁচ দিন আগে আমার শ্যালিকার জন্য ‘মা’ মেডিকেল হল থেকে এক পাতা সেকলো ক্যাপসুর কিনেছিলাম। ওই ওষুধ ভেঙে দেখি তার ভেতরটা কালো। এজন্য পরে সেগুলো ফিরিয়ে দিয়ে আরেক পাতা ক্যাপসুল দিয়ে দেন দোকানি। কিন্তু সেগুলোর ভেতরটাও একই অবস্থা।
তিনি বলেন, ওই ওষুধ নিয়ে ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকর্মীর কাছে গেলে তিনি অপর এক দোকান থেকে একই ক্যাপসুল এনে মিলিয়ে দেখেন ‘মা’ মেডিকেল হল থেকে নেয়া ক্যাপসুল নকল।
ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকর্মী আল আমিন বলেন, ফল ব্যবসাই ছালাম অভিযোগ করেন প্রথমে ফার্মেসি থেকে দুই ধরনের সেকলো কিনে নিয়ে এসে পরীক্ষা করলাম। আসল সেকলোর দানাগুলো ছোট ছোট। ক্যাপসুলের গায়ে স্কয়ার লেখা আছে। দানাগুলো তিতকুটে ধরনের স্বাদ। আর নকল সেকলোর দানাগুলো হোমিওপ্যাথিক দানার সাইজ ও কালো গুড়ো । ক্যাপসুলের গায়ে স্কয়ার লেখা নেই। দানাগুলোর স্বাদ ময়দার মতো।
পরে ওই ফার্মেসিতে গিয়ে নকল সেকলো ক্যাপসুল বিক্রির ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করা হলে সে খমা চান এবং এ ধরনের কাজ আর কখনো করবেন না বলে বিষয়টি চেপে যাওয়ার অনুরোধ জানান স্কয়ার কোম্পানির বাউফল ও দশমিনা প্রতিনিধি মো. মামুন বলেন, ওই ওষুধ আমাদের না। আমরা আরো ফার্মেসিতে ওষুধ বিক্রি করি। যাচাই বাছাই করে দেখতে পারেন। মূলত বাজারে গ্যাস্ট্রিকের ওষুধের চাহিদা বেশি থাকায় অসাধু ব্যবসায়ীরা নকল সেকলো বাজারজাত করতে পারে। আর এসব নকল ওষুধ জনস্বাস্থ্যকে হুমকির মুখে ফেলছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এটি খুবই গুরুতর অপরাধ। তাই খুব শিঘ্রই বিষয়টি সম্পর্কে খোঁজ খবর নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহন করবেন বলে জানান তিনি।
Leave a Reply