শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৩১ পূর্বাহ্ন
বাউফল (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি।। পটুয়াখালীর বাউফলে হঠাৎ করেই কমে গেছে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা জ্বর, সর্দি-কাশির রোগীর সংখ্যা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, প্রতি বছর এপ্রিল মাসের এই সময়ে বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বহিঃবিভাগে আগত রোগীদের মধ্যে অন্তত ৬০ থেকে ৭০জন রোগী আসত জ্বর সর্দি কাশির উপসর্গ নিয়ে।
এই সংখ্যার বাইরেও একটি বড় সংখ্যার রোগী বাইরে প্রাইভেট চেম্বারে গিয়েও চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করত।
কিন্তু করোনাভাইরাসের সংক্রমণের উপসর্গ এবং সাধারণ ফ্লুর উপসর্গ একই রকম হওয়ায় ভয়ে রোগীরা হাসপাতালে আসছেন না বলে ধারণা করছেন বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা প্রশান্ত কুমার সাহা।
তিনি ভয়েস অব বরিশালকে বলেন, হাসপাতালের আউটডোরে জ্বর সর্দি কাশি এমন উপসর্গ নিয়ে কোনো রোগী আর আসছেন না। ফোন করেও কেউ পরামর্শও নিচ্ছেন না। বিষয়টি ভয়াবহ পরিণতির দিকে টেনে নিচ্ছে। আমরা টেষ্ট করতে না পারলে কিভাবে জানব যে, কেউ করোনায় সংক্রমিক হয়েছেন কি না।
আতঙ্কিত না হয়ে এমন সব উপসর্গ থাকলে চিকিৎসকদের পরামর্শ নেয়ার আহবান জানান তিনি
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রোগীদের অসুস্থতা গোপন করার কারণে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত রোগী শনাক্তে জটিলতা সৃষ্টির পাশাপাশি সংক্রমণ বৃদ্ধির আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে।
এসব রোগীরা এখন কিভাবে চিকিৎসাসেবা নিচ্ছেন সে বিষয়ে খোঁজ নিয়ে পাওয়া গেছে আরও উদ্বেগ করা তথ্য।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ফার্মেসিগুলোতে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অনেকেই জ্বর কাশির ওষুধ কিনছেন চিকিৎসকদের ব্যবস্থাপত্র ছাড়াই। স্থানীয় একাধিক ওষুধ বিক্রেতা এ তথ্য দিয়েছেন।
এদিকে এমন পরিস্থিতিতে ঢাকা এবং নারায়নগঞ্জ থেকে ট্রলারযোগে আসছেন অনেকে। হোম কোয়ারেন্টাইন মানছেন না কেউই। কাঁচাবাজার এবং মুদি দোকানগুলোতে নিশ্চিত করা যাচ্ছে না সামাজিক দূরত্ব।
সব মিলিয়ে বাউফল উপজেলায় করোনা পরিস্থিতি খুবই উদ্বেগজনক বলে মনে করছেন উপজেলার সচেতন নাগরিকরা।
এ বিষয়ে বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আমরা ননস্টপ কাজ করছি। কিন্তু সাধারণ মানুষ যদি নিজেরা সচেতন না হয় তাহলে এই বিপুল সংখ্যক মানুষকে নিয়ন্ত্রন করা কষ্টকর
Leave a Reply