শনিবার, ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১০:৫৯ অপরাহ্ন
এইচ আর হীরা॥ করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে কর্ম ছেড়ে ঘরে থাকা বরিশাল নৌবন্দরের ছোট বড় সকল লঞ্চের কলম্যানদের প্রায় ১৭০টি পরিবারের দিন কাটছে অনাহারে। বেকার হয়ে পড়া এই পরিবারগুলোর কেউ খোঁজ রাখেনি।গত (২৪ মার্চ) থেকে সরকারি নির্দেশনায় বরিশাল নৌবন্দর থেকে সকল লঞ্চ চলাচল বন্ধ হওয়ার পর থেকেই লঞ্চের কলম্যানরা অসহায় ভাবে দিন কাটাচ্ছে।খোঁজ নিয়ে জানাযায়,বরিশাল নৌবন্দরের কলম্যানদের পরিবারগুলোর সংসারের চাকা ঘুরে সকল নৌ রুটে লঞ্চ চলাচল স্বাভাবিক ভাবে যাতায়াত করলে দৈনিক হাজিরা হিসেবে জনপ্রতি কলম্যান বেতন পায় মাত্র ১৭০টাকা। এখন করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সকল নৌ রুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ। বন্ধ হয়েছে তাদের আয় রোজগার।ঘরে যা জমানো ছিল সবেই শেষ।
এখন পর্যন্ত তাদেরকে কেউ ত্রাণ-সাহায্য দেয়নি। সারা বছর যে সকল লঞ্চ মালিকদের স্বার্থে কাজ করেছে তারাও কেউ এখনো তাদের খোঁজ খবর নেয়নি। ঘরে খাবার না থাকায় অনাহারে-অর্ধাহরে দিন কাটছে তাদের।বরিশাল নৌবন্দরের জুয়েল নামে এক কলম্যান জানান, করোনায় লঞ্চ বন্ধ থাকায় বর্তমানে পরিবার নিয়ে দুইমুঠো ভাত খেতে কষ্ট হচ্ছে।এখন পর্যন্ত কোন লঞ্চ মালিকের পক্ষ থেকে আমাদের কোন ত্রাণ সাহায্য দেয়া হয়নি।এই মহামারী সময়ে লঞ্চ মালিকরা যদি আমাদের পাশে না থাকে তাহলে আমাদের বৌ-বাচ্চা নিয়ে না খেয়ে মারা যাবো।
তিনি আরো বলেন,আমরা সকলে সরকার এবং লঞ্চমালিকদের সু-দৃষ্টি কামনা করছি যাতে করে অতিসত্বর আমাদের পরিবারের জন্য যেকোনো সাহায্যের ব্যবস্থা করেন তারা।এই বিষয়ে বেশ কিছু লঞ্চ কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করা হলে তাদের পক্ষ থেকে জানান,আমরা কয়েক দিনের মধ্যেই বরিশাল নৌ বন্দরে কর্মরত সকল কলম্যানদের তালিকা করে কলম্যানসহ সকল স্টাফদের মাঝে খাদ্য সামগ্রী দেয়ার প্রস্তুতি চলমান রয়েছে।অপরদিকে লঞ্চে কর্মরত শ্রমিকরা দাবি জানিয়ে বলেন,বিসিসি মেয়র মহাদয় যদি আমাদের এ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করেন তাহলে লঞ্চ মালিকরা বিষয়টি আরো গুরুত্বের সাথে বিষয়টি দেখবে বলে আশা করি।
Leave a Reply