শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:১১ পূর্বাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার:শেবাচিম হাসপাতাল জরুরী বিভাগের ইনজচার্জ নার্স হাবিবা ও ব্রাদ্রার মিলন সিন্ডিকেট রোগীর ভর্তি টিকেট থেকে বছরে হাতিয়ে নেয় প্রায় দেড় লাখ টাকা। ভর্তি ফি সম্বলিত তথ্য লোপাট করে সরকারি ২৬টাকা ফি’র পরিবর্তে হাতিয়ে নেয়া হয় ৪০টাকা। গতকাল ব্রাদার মিলনের এহেন কার্যক্রম হাতেনাতে ধরলে তোপের মুখে বাকি টাকা ফেরত দিতে বাধ্য হয়।
কিন্তু দুনম্বরির এবিষয়টি জরুরী বিভাগের ইনচার্জ নার্স হাবিবাকে জানালে উল্টো ভুক্তভুগী ও প্রত্যক্ষদর্শী সাংবাদিকের উপর চড়াও হয়। এব্যাপারে হাসপাতালটির পরিচালক ডা:বাকির হোসেনের পুরো বছরজুড়ে একই বক্তব্য আমি ব্যবস্থা নেবো।কিন্তু এরপরও কেন জরুরী বিভাগে রোগীর ভর্তি কার্যক্রম থেকে অনৈতিকভাবে হাতানো হয় এটাকা। এরকোন সদুত্তর না মিললেও ফের আশ্বাস মিলেছে বিষয়টি দেখার।
ক্ষমতাসীন দলীয় চিকিৎসক সংগঠনের পরিচয়বাহী হওয়ায় হাসপাতালটিতে প্রশাসনিক কার্যক্রমে এমন দুর্ণীতি নিয়ে বারংবার খবর প্রকাশিত হলেও পরিস্থিতি রয়ে গেছে যেইসেই। জরুরী বিভাগে বছরে মোটা অংকের টাকা হাতানোর ব্যাপারে অনুসন্ধানসূত্রে আরো জানা গেছে, ছোট-বড় টিকেট ও রোগী কল্যাণ সমিতিতে দানসহ সরকারি ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ২৬টাকা।কিন্তু এতথ্য সম্বলিত একটি সাইনবোর্ড জরুরী বিভাগের কক্ষের সামনে লাগানোর কয়েকদিন পর এ সিন্ডিকেটটি তা সরিয়ে ফেলে রোগী ও স্বজনদেরকে এবিষয়ে অন্ধকারে রাখার জন্য। রোগী ও স্বজনদের প্রাণপন ব্যস্ততা শুরু হয় জরুরী বিভাগ থেকে হাসপাতালটির চিকিৎসাধীন ওয়ার্ডে নেয়ার জন্য।
এসুযোগটির অপব্যবহার করে জরুরী বিভাগে হাবিবা সিন্ডিকেটটি ২৬ টাকার পরিবর্তে রোগীদের থেকে ফি রাখে ৪০টাকা। এতো দিনদপুরের চালচিত্র রাতে ৫০টাকাও রাখা হয় রোগী ভর্তি ফি বাবদ। এব্যাপারে রোগীর স্বজন রেজাউল ইসলাম বলেন, আমার ভাইর ছেলে মটরসাইকেল দুর্ঘটনায় মারাত্মক আহত হয়। এরপর জরুরী বিভাগে এসে ভর্তি করাই এসময় আমার থেকে ৪০টাকা নেয়া হয়েছে। পরবর্তীতে একজন সাংবাদিক এসে আমাকে জিজ্ঞেস করে আপনার থেকে কত টাকা নেয়া হয়েছে রোগী ভর্তি বাবদ তখন আমি বিষয়টি জানতে পেরে হতচকিত হয়ে যাই।
আর তখন চিন্তা করতে থাকি জরুরী বিভাগে রোগী ভর্তির যে চাপ দেখেছি এতে মনেহয় প্রত ২৪ঘন্টায় অন্তত ২/৩ রোগী ভর্তি হয়। তাহলে রোগী প্রতি তো অনেক টাকা হাতিয়ে এনেয় সরকারি কর্তব্যরতরা। সূত্রে আরো জানা গেছে, হাজার শয্যার শেবাচিম হাসপাতালে দৈণিক তিন শতাধিক রোগী ভর্তি হয় বরিশালের জেলা-উপজেলাগুলো থেকে।
জরুরী বিভাগের ইনচার্জ নার্স হাবিবা ও ব্রাদার সিন্ডিকেট গুড়িয়ে না দেয়ায় লোপাট হচ্ছে রোগীর পকেট। এনিয়ে নার্স হাবিবার কাছে ভর্তি ফি বেশি রাখার বিষয়টি তরতাজা প্রমাণসহ তুলে ধরা হলে সে সাংবাদিকের সাথে রাগত ভঙ্গিতে বলেন কই আমি দেখে নেই বলে নাটকীয় মোড় নিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করেন। কিন্তু এহেন কর্মকান্ডের ব্যাপারে তার দপ্তর থেকে কিধরণের ব্যবস্থা চাওয়া হবে হাসপাতালটির প্রশাসনিক বিভাগে এরকোন সদুত্তর নাদিয়ে বরং পুনুরায় বিরক্তি প্রকাশ করে তার কক্ষে চলে যান। উল্লেখ্য জরুরী বিভাগে নগদ উপরি হাতানোর মধু লুটে নেয়ার জন্য বছরের পর বছর এখানেই ডিউটিরত রয়েছে এ হাবিবা সিন্ডিকেট বলে সূত্রে জানা গেছে।
Leave a Reply