সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৪২ অপরাহ্ন
ববি প্রতিনিধি॥ বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের(ববি) মার্কেটিং বিভাগের চেয়ারম্যান মোঃ মেহেদী হাসান’কে লাঞ্ছিতের ঘটনায় মার্কেটিং বিভাগ ও পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটানা ঘটে। ফলে ঘটনাস্থলে আহত হন পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের বর্ষের শিক্ষার্থী সাগর নূর, জয় মাহমুদ রাসেল, চপল আহমেদ, রাব্বি হাসান ও অয়ণ ঘোষ দস্তিদার। আহতদের বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
১২ই ফেব্রুয়ারি, বুধবার বেলা ১২ ঘটিকায় বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মাঠে মুজিব জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধু কাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট-২০২০’ এর নারীদের ফাইনাল খেলায় এ ঘটনা ঘটে। এতে উভয় বিভাগের শিক্ষার্থীদের মধ্যে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে।
বুধবার বেলা ১২ ঘটিকায় উক্ত টুর্নামেন্টে মার্কেটিং বিভাগ বনাম পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের মধ্যকার নারীদের ফাইনাল খেলায় পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ জয়লাভ করলে উল্লাসিত হয়ে শিক্ষকদের বসার স্থানে চলে যান। সেখানে মার্কেটিং বিভাগের একজন অন্তঃসত্ত্বা শিক্ষিকা থাকায় তাকে আহত হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করার জন্য এগিয়ে যান ঐ বিভাগের চেয়ারম্যান মোঃ মেহেদী হাসান এবং হাত দিয়ে সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করেন। অতঃপর পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষার্থী সাগর নূর ঐ শিক্ষককে চিনতে না পেরে ধাক্কা দিয়ে বসেন যার ফলে মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা ক্ষিপ্ত হয়ে লাঠি সোটা নিয়ে মারামারিতে ক্যাম্পাস সরগরম করে তোলেন এবং উভয় বিভাগের মধ্যেই হামলা পাল্টা হামলা চলতে থাকে।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী শিক্ষক মোঃ মেহেদী হাসান বলেন, ‘ ঘটনা যেটাই ঘটেছে সেটা অনাকাঙ্ক্ষিত এবং হয়তো ঐ শিক্ষার্থী না বুঝেই করেছে। তবে এই ঘটনা যেন এখানেই শেষ হয় এবং পরবর্তীতে আর যেন এরকম অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা না ঘটে এটাই প্রত্যাশা।’
অন্যদিকে ঘটনায় জড়িত থাকা পদার্থবিজ্ঞান শিক্ষার্থী সাগর নূর মুঠোফোন বলেন, ‘ জয়ের ফলে উল্লাসিত হয়ে আমি মেহেদী স্যারকে না চিনেই ধাক্কাটি দিয়েছি কারণ আমি মনে করেছিলাম সে শিক্ষার্থী এবং আমাদেরকে হয়তো মারতে এসেছেন। উক্ত ঘটনার জন্য আমি অন্তরিকভাবে দুঃখিত। আমি ঘটনার পরপরই স্যারের কাছে ক্ষমা চেয়েছি এবং আশাকরি স্যার সন্তানের দৃষ্টিতে দেখে বিষয়টি বিবেচনা করবেন।’
ঘটনার পরপরই উভয় বিভাগের শিক্ষার্থীদের সাথে সরেজমিনে দেখা করতে আসেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. সুব্রত কুমার দাস এবং যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলেন।
Leave a Reply