শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৪১ পূর্বাহ্ন
অনলাইন ডেস্ক: দেশের রাষ্ট্রপতি, জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে হত্যা, তারপর সামরিক শাসন জারি, সেনা শাসনের প্রবর্তন, সংবিধান স্থগিত, সংবিধানের পরিবর্তন, পরিবর্ধনসহ দুই সামরিক শাসন ও শাসকদের সব কর্মকান্ডই আইনের দৃষ্টিতে ছিল অবৈধ। কয়েক দশক পরে হলেও দেশের সর্বোচ্চ আদালতের রায়ে সেগুলোকে অন্যায় অপরাধ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।
যারা সেসব অন্যায়ের সাথে যুক্ত ছিলেন তাদেরকে দেরিতে হলেও কঠিন ভাষায় ভর্ৎসনাও করেছে সর্বোচ্চ আদালত। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর সামরিক শাসন জারি করেছিল খুনীদের সরকার। শুরুতে বেসামরিক ব্যক্তিদের দিয়ে দেশ চালালেও খুব অল্প ব্যবধানে সরাসরি সেনা পোশাকে আসে সেনা শাসন।
প্রথমে মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান ও পরে মেজর জেনারেল এরশাদ সেনা শাসক হিসেবে আবির্ভূত হন।
একের পর এক সামরিক ফরমান দিয়ে দেশ চালায়, সংবিধানের অবমাননা করে খুনী সরকার গুলো। সামরিক শাসনে কত মানুষ কত ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে নিরবে চোখের জল ফেলেছে তার খবর কেউ রাখেনি।
এমন ক্ষতিগ্রস্ত কেউ কেউ সামরিক ফরমানে ক্ষতি থেকে বাঁচার জন্য মামলা করে রেখেছিলেন সর্বোচ্চ আদালতে। তার ধারাবাহিকতায় গত ১৫ বছরে দেশে আসে দুটি ঐতিহাসিক রায়।
বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর খুনী খন্দকার মুশতাকের ক্ষমতা দখল, বিচারপতি আবু সায়েম, জেনারেল জিয়াউর রহমান ও জেনারেল এরশাদের ক্ষমতা গ্রহনসহ সকল সামরিক শাসনকাল ও তাদের কার্যক্রমকেও অবৈধ বলে সর্বোচ্চ আদালত রায় দেয়।
সুপ্রিম কোর্টের রায়গুলোতে সামরিক শাসন, কোর্ট মার্শাল ’ল কে চিরকালের জন্য অবৈধ, অন্যায়, অপরাধ হিসেবে ঘোষণা করে রাখা আছে। রায়ে বলা হয়েছে, ভবিষ্যতে আর কখনও যেন সামরিক শাসন ফিরে না আসে।
Leave a Reply