শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫, ০৯:৫২ অপরাহ্ন
নেছারাবাদ প্রতিনিধি ॥
নেছারাবাদে রিংকি (ছদ্ম নাম) ১৭ নামে এক এনজিও কর্মীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে পরিচালকের বিরুদ্ধে ধর্ষনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযুক্ত ওই এনজি পরিচালকের নাম মোঃ সরোয়ার হোসেন। তিনি স্বরূপকাঠি পৌরসভাধীন জগন্নাথকাঠি গ্রামের ৬নং ওয়ার্ডের মৃত আব্দুল মজিদ মাষ্টারের ছেলে। সে উপজেলার শহিদ স্মৃতি ডিগ্রী কলেজ রোড এলাকায় অবস্থিত ‘দি-ইয়ুথ ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি’ নামে একটি সমিতি পরিচালনা করে আসছেন।
অভিযোগকারী এনজিও কর্মী উপজেলার জগন্নাথকাঠি গ্রামের এক দিন মজুর ভ্যান চালকের মেয়ে। মেয়েটি স্থানীয় একটি ডিগ্রী কলেজের একাদশ শ্রেণীতে পড়াশুনার পাশাপাশি সংসারের অভাব অনটন লাগবে ওই সমিতিতে গত এক মাস যাবত মাঠ কর্মী পদে চাকরী করতেন। গত ৬ সেপ্টেম্বর দুপুরে সমিতি ঘরে বসে হিসাব-নিকাশ করাকালে পরিচালক সরোয়ার হোসেন তাকে একা পেয়ে যাবটে ধরে জোড়পূর্বক ধর্ষন চালায়। এঘটনায় মেয়েটি বাদী হয়ে গত বৃহস্পতিবার (৪অক্টোবর) সহকারী পুলিশ সুপার (নেছারাবাদ সার্কেল) এর বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযুক্ত এনজিও পরিচালক সরোয়ার হোসেন এনজিও পরিচালনার পাশাপাশি সমাজে নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে বেড়াচ্ছেন। অভিযোগে জানাযায়, অভিযোগকারী রিংকি পরিবারের অভাব-অনটনে গত এক মাস পূর্বে সে উপজেলার ‘দি-ইয়ুথ ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি’ নামে একটি সমিতিতে মাঠকর্মী পদে চাকরি নেন। চাকরিতে যোগদান করার সপ্তাহখানেক অতিবাহিত হওয়ার পর থেকেই পরিচালক সরোয়ার হোসেন মেয়েটিকে বিভিন্ন সময়ে নানা প্রলোভন দেখিয়ে অবৈধ সম্পর্কে লিপ্ত হতে চাচ্ছিল। ধারাবাহিকতায় গত ৬ সেপ্টেম্বর দুপুরে সমিতি ঘরে বসে মেয়েটি সমিতির হিসাব নিকাশ করছিল।
তখন পরিচালক সরোয়ার অফিসে ডুকে তাকে ঝাপটে ধরে জোড় পূর্বক ধর্ষন চালায়। পরে মেয়েটিকে পরিচালক সরোয়ার হোসেন, নানা ভয়ভীতি দেখিয়ে কথাটি কারো কাছে না বলার জন্য শাসিয়ে দেয়। এরই ধারাবাহিকতায় ওই এনজিও পরিচালক সরোয়ার হোসেন তাকে আবারও ধর্ষনের চেষ্টা করে আসে। পরে মেয়েটি নিরুপায় বৃহস্পতিবার দুপুরে সহকারী পুলিশ সুপার (নেছারাবাদ সার্কেল) এর বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দেন। ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে মেয়েটি অভিযোগ করে জানায়, এ জন্য এনজিও পরিচালক সরোয়ার হোসেন তার (মেয়েটির) পিতা-মাতাকে নানা ভয়ভীতি দেখিয়ে আসছে।
সহকারী পুলিশ সুপার (নেছারাবাদ সার্কেল) কাজী মো. শাহ্ নেওয়াজ জানান, হ্যা একটি অভিযোগ নিয়ে মেয়েটি আমার কাছে আসছিল। তাকে থানায় পাঠানো হয়েছে। থানায় আসলে বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এদিকে অভিযোগে পর থেকে অভিযুক্ত সরোয়ার বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য বিভিন্ন মহলে পায়তারা চালিয়ে আসছে বলে একাধিক সূত্রে জানাগেছে। স্থানীয় ভাবে শালিস বৈঠকে ধর্ষক সরোয়ারকে বিশ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করে মেয়ের পরিবারকে দেয়া হয়। এদিকে স্বরূপকাঠী প্রেসক্লাবের এক জরুরি বৈঠকে প্রেসক্লাবের সকল প্রকার পদ থেকে তাকে বহিস্কার করা হয়।
Leave a Reply