সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:২৫ পূর্বাহ্ন
ডেস্ক রিপোর্ট : দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে অনিয়মসংক্রান্ত বিষয়গুলো অনুসন্ধানে ‘নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটি’ গঠন করা হয়েছে। আইন মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগ এ ব্যাপারে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
অনুসন্ধান করে নির্বাচন কমিশনে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ৩০০ সংসদীয় আসনে বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের দিয়ে এ কমিটি গঠন করা হয়েছে। অর্থাৎ প্রতিটি আসনের জন্য সংশ্লিষ্ট জেলার সহকারী জজ, সিনিয়র সহকারী জজ, যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজরা এ কমিটিতে থাকবেন।
আইন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব সাবিনা ইয়াসমিন স্বাক্ষরিত ২৩ নভেম্বর জারি করা এ প্রজ্ঞাপন আইন মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে পাওয়া গেছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন, দ্য রিপ্রেজেন্টেশন অব দ্য পিপলস অর্ডার, ১৯৭২-এর আর্টিকল ৯১-এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে পরামর্শক্রমে এসংক্রান্ত জারীকৃত পত্রের পরিপ্রেক্ষিতে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগ বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে এই কমিটি গঠন করেছে।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে নির্বাচনী অপরাধ, নির্বাচনী আচরণবিধি, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি বা পরিচালনায় বাধাগ্রস্ত বা ব্যাহত করে- এমন নির্বাচনপূর্ব অনিয়মসংক্রান্ত বিষয়গুলো অনুসন্ধানপূর্বক কমিশনের কাছে প্রতিবেদন দাখিলের লক্ষ্যে বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে ৩০০ ‘নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটি’ করা হয়েছে।
১ নভেম্বর প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ নির্বাচন কমিশনের সদস্যরা প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের সঙ্গে দেখা করে নির্বাচনপূর্ব অনিয়মের ঘটনা অনুসন্ধানের জন্য বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের সহযোগিতা চান।
সেই বৈঠকের পরপরই প্রধান নির্বাচন কমিশনার জানিয়েছিলেন, আসন্ন জাতীয় সংসদের সাধারণ নির্বাচনে বিচারকরা ইলেক্টোরাল ইনকোয়ারি কমিটির দায়িত্ব পালন করেন। এটা এবার বন্ধের সময় হবে। সিভিল কোর্ট ভ্যাকেশনের সময় হবে। সিভিল ভ্যাকেশনের কারণে যেন ওই দায়িত্বটা বন্ধ না থাকে।
যদি বন্ধ থাকে, তাহলে আমাদের ওই কাজটা পিছিয়ে যাবে। এটা জানিয়ে রেখেছি। যাতে ওই সময় ডিসেম্বর মাসে ওনারা দায়িত্ব পালন করেন। আর জানুয়ারি মাসে আগের মতো দায়িত্ব পালন করবেন।
সূত্র: বাসস
Leave a Reply