মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:২২ পূর্বাহ্ন
নলছিটি প্রতিনিধি॥ ঝালকাঠির নলছিটিতে সেলায়মান হোসেন সোহাগ মোল্লা (২৭) নামে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (১৭ জুলাই) সকালে উপজেলার তেতুলবাড়িয়া গ্রামের বাড়ি থেকে ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় সোহাগের লাশ নামিয়ে রাখে স্বজনরা। পরিবারের দাবি সোহাগকে শ্বাসরোধে হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল তৈরি শেষে ময়নাতদন্তের জন্য ঝালকাঠি সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে। দুপুরে ময়নাতদন্তের পরে পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে। সোলায়মান হোসেন সোহাগ মোল্লা তেঁতুলবাড়িয়া গ্রামের মোস্তফা মোল্লার ছেলে। সোহাগের বাবা মোস্তফা মোল্লা বলেন, আমার ছেলের সঙ্গে পরিবারের কারো কোনো মনোমালিন্য ছিল না। অন্য কারণে তাকে কেউ হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে রাখতে পারে।
সোহাগের চাচা আনোয়ার হোসেন জানান, সোহাগ আর তার ছোট ভাই শাকিল তাদের পুরান বাড়িতে বারান্দায় দুটি খাটে আলাদা ঘুমাত। আর তাদের মা বাবা নতুন বাড়িতে থাকে। প্রতিদিনের মত বৃহস্পতিবার রাত নয়টার দিকে দুই ভাই ঘুমাতে যায়। ঘুমানোর সময় কারো ফোন পেয়ে সোহাগের ছোট ভাই শাকিল বাড়ির কাছের বাজারে যায়। যাওয়ার সময় সে দরজা বাহির থেকে ছিটকানি দিয়ে যায়। রাত সাড়ে ১১ টার দিকে শাকিল ফিরে এসে দেখে সামনের দরজা ভিতর থেকে আটকানো এবং পেছনের দরজা খোলা। ভিতরে গিয়ে দেখে তার বড় ভাই সোহাগের দেহ গলায় দড়ি লাগানো অবস্থায় আড়ার সঙ্গে ঝোলানো। শাকিলের ডাক চিৎকারে আশপাসের লোকজন ও বাবা মা ছুটে এসে সোহাগের মৃত দেহ নামিয়ে ফেলে। রাতেই মোল্লারহাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে তদন্ত কেন্দ্রে নিয়ে যায়।
তদন্ত কেন্দ্রের এস.আই নূরে আলম বলেন, আমরা যাওয়া আগেই লাশ নামিয়ে ফেলা হয়। নিহতের বাবা মোস্তফা মোল্লার আবেদনের প্রেক্ষিতে অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে। নিহত সোহাগ কিছুটা মানসিক ভারসম্যহীন ছিল।
নলছিটি থানার ওসি মো. শাখাওয়াত হোসেন জানান, লাশ উদ্ধারের বিষয়ে একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে। কি কারণে সোহাগের মৃত্যু হয়েছে তার সঠিক কারণ ময়নাতদন্তের পর নিশ্চিত হওয়া যাবে। ঝালকাঠি সদর হাসপাতাল মর্গে মৃতদেহের ময়নাতদন্ত রিপোর্ট তৈরির নমুনা সংগ্রহ শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
Leave a Reply