মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৩৮ পূর্বাহ্ন
অনলাইন ডেস্ক: পদ্মা সেতুর ১১তম স্প্যানটি ৩৩ ও ৩৪ নম্বর পিলারের ওপর বসানো হয়েছে। এর ফলে জাজিরা প্রান্তে দৃশ্যমান হয়েছে সেতুর ১৬৫০ মিটার।মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকাল ৯টার দিকে জাজিরা প্রান্তে ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের ওই স্প্যানটি বসানো হয়। এ ছাড়া গত বছরের মাওয়া পয়েন্টে ৪ ও ৫ নম্বর পিলারের ওপর আরও একটি স্প্যান বসানো হয়।
সেতু বিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী মো. হুমায়ুন কবীর জানান, মঙ্গলবার ৩৩ ও ৩৪ নম্বর পিলারের ওপর ১১তম স্প্যান বসানো হয়েছে। এতে জাজিরা প্রান্তে দৃশ্যমান হয়েছে সেতুর ১৬৫০ মিটার। প্রতি মাসেই একটি করে স্প্যান বসানো হবে বলে আশা করছেন তিনি।
হুমায়ুন কবির জানান, মাওয়ার কুমারভোগ কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ডে একাদশ স্প্যানটি প্রস্তুত করে রাখা হয়েছিল।
তিনি আরও জানান, গতকাল সোমবার (২২ এপ্রিল) সকাল ৮টার দিকে কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে (সুপার স্ট্রাকচার) ‘৬-সি’ ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্য ও তিন হাজার ১৪০ টন ওজনের স্প্যানটি নিয়ে জাজিরার উদ্দেশে রওনা হয় তিন হাজার ৬০০ টন ধারণক্ষমতার ক্রেন ‘তিয়ান ই’। যা ঐদিন সকাল সোয়া ১০টার দিকে স্প্যানটি জাজিরা প্রান্তে ৩৩ ও ৩৪ নম্বর খুঁটির কাছে পৌঁছে।
জানা যায়, মাওয়া প্রান্তে পদ্মা সেতুর ৪ ও ৫ নম্বর খুঁটির ওপর অস্থায়ীভাবে একটি স্প্যান রাখা হয়েছে। এই অস্থায়ী স্প্যানসহ পদ্মা সেতুতে মোট ১০টি স্প্যান বসানো হয়েছে। কন্সট্রাকশন ইয়ার্ডে স্থান সংকুলান না হওয়ায় একটি স্প্যান ৪ ও ৫ নম্বর খুঁটির ওপর রাখা আছে। এটি আসলে বসবে ৬ ও ৭ নম্বও খুঁটির ওপর। ৬ ও ৭ নম্বর খুঁটির কাজ সম্পূর্ণ হলে এ স্প্যানটি সরিয়ে নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর বসানো হয় সেতুর প্রথম স্প্যান। এর প্রায় ৪ মাস পর ২০১৮ সালের ২৮ জানুয়ারি দ্বিতীয় স্প্যানটি বসে। এর দেড় মাস পর ১১ মার্চ জাজিরা প্রান্তে তৃতীয় স্প্যান বসানো হয়। এর ২ মাস পর ১৩ মে বসে চতুর্থ স্প্যান। এরপর এক মাস ১৬ দিনের মাথায় পঞ্চম স্প্যানটি বসে ২৯ জুন। ৬ মাস ২৫ দিনের মাথায় ২৩ জানুয়ারি বসে ষষ্ঠ স্প্যানটি। গত ২০ ফেব্রুয়ারি ৩৫ ও ৩৬ নম্বর পিলারে বসে জাজিরা প্রান্তের সপ্তম স্প্যান। ২২ মার্চ বসে অষ্টম স্প্যান এবং মাওয়া প্রান্তে গত ১০ এপ্রিল বসে নবম স্প্যান। ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এ সেতুতে ৪২টি খুঁটির ওপর বসবে ৪১টি স্প্যান।
Leave a Reply