রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৪২ পূর্বাহ্ন
অনলাইন ডেস্ক//
পটুয়াখালীর কলাপাড়ার পূর্ব আলীপুর গ্রামে নিখোঁজ ১৭ দিন পর স্কুলছাত্রী মরিয়ম আক্তারকে ঢাকা থেকে জীবিত উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার রাতে ঢাকার মুগদা থানাধীন মদিনাবাগ এলাকার খালপাড়া রোডস্থ রুনা ফ্যাশন থেকে কর্মরত অবস্থায় তাকে (মরিয়ম) উদ্ধার করা হয়।
এর আগে মরিয়মকে হত্যা শেষে গুম করা হয়েছিল বলে ধারণা করেছিল পুলিশসহ এলাকাবাসী এবং এ ঘটনায় মরিয়মের মা নুরজাহান বেগম বাদী হয়ে গেল ২০ সেপ্টেম্বর মহিপুর থানায় একটি হত্যা মামলাও দায়ের করেছিলেন।
মামলা দায়েরের পর পুলিশ প্রকৃত ঘটনা উদঘাটনের জন্য মাঠে নামে এবং এরই ধারাবাহিকতায় পুলিশ একটি মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে মরিয়মকে ঢাকা থেকে উদ্ধার করে।
শনিবার দুপুরে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে পটুয়াখালীর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মইনুল হাসান প্রেস ব্রিফিং করেন এবং এ ঘটনার রহস্য উদঘাটনের বর্ণনা দেন। স্কুল পড়ুয়া কিশোরী মরিয়মের এ নাটক সিনেমার গল্পকেও হার মানিয়েছে।
উল্লেখ্য, গেল ১৮ সেপ্টেম্বর রাতে পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার পূর্ব আলীপুর গ্রামের মৃত বাবুল মল্লিকের ছোট মেয়ে মরিয়ম ঘুমন্ত অবস্থায় রাতে নিখোঁজ হন এবং ওইদিন ভোরে ঘরের মেঝে ও বারান্দায় রক্ত, মাংসের দুটি টুকরা, রক্তমাখা চাকু, কাঁচি, ব্লেড, পায়ের নূপুর ও ওড়না উদ্ধার করা হয়। এতে পুলিশ ও এলাকাবাসী ধারণা করে মরিয়মকে হত্যা করে মরদেহ গুম করা হয়েছে। কিন্তু শুক্রবার রাতে ঢাকা থেকে মরিয়মকে জীবিত উদ্ধারের পর বেরিয়ে আসে প্রকৃত রহস্য।
প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মইনুল হাসান জানান, স্কুল পড়ুয়া মরিয়ম আক্তারকে তার ইচ্ছের বিরুদ্ধে খালাতো ভাইয়ের সঙ্গে বিয়ে জন্য চাপ দেয়। মরিয়ম এ বিয়ে থেকে নিজেকে বাঁচতে ১৮ সেপ্টেম্বর গভীর রাতে নিজেই এ হত্যা ও গুম নাটক সাজায়। ওইদিন গভীর রাতে সে (মরিয়ম) গৃহপালিত একটি রাজহাসের হাত-পা বেঁধে নিজে জবাই করে এবং দুই টুকরো মাংস পুকুর থেকে ধুয়ে ঘরের মেজেতে রেখে বাকি মাংসগুলো ফেলে দেয়। এরপর যেসব আলামত ঘটনাস্থলে দৃশ্যমান ছিল তা মরিয়ম নিজেই তৈরি করেছে। যাতে করে সবার ধারণা হয় মরিয়মকে হত্যা করে মরদেহ গুম করেছে দুর্বৃত্তরা।
তিনি আরও বলেন, ওই রাতেই নিজ বাড়ি থেকে কলাপাড়া পৌঁছে পরদিন ঈগল পরিবহনে ঢাকায় চলে যায় মরিয়ম এবং ঢাকায় গিয়ে নিকটতম আত্মীয়ের সহায়তায় রুনা ফ্যাশনে চাকরি নেয় সে। সেখানে ১৫ দিন কাজ করার পর শুক্রবার পুলিশের হাতে ধরা পরে।
Leave a Reply