শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:১২ অপরাহ্ন
ভয়েস অব বরিশাল//
কাগুজে পরিপাটি রেখে মাসতুতো ভাইয়েরা এক নং রায়পাশা কড়াপুর ইউনিয়নে লুট করেছে কর্মসৃজন প্রকল্পের নয় লাখ ৬৩ হাজার টাকা। চল্লিশ দিনের এ কর্মমসুচীর টাকা হরিলুটের হোতা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান খোকন ওরফে যাত্রা খোকন। আর সাথে রয়েছেন প্রকল্পটির পিআইও, পরিষদেও সচিব ও ইউপি সদস্য। তবে এবিষয়ে চেয়ারম্যান খোকনের পরিচিত বক্তব্য, আমি এ ধরণের অনিয়মের সাথে নেই। এছাড়া উপজেলা থেকেই একাজের তদারকি রয়েছে। এসময় তিনি আরো বলেন, কড়াপুর ইউনিয়নে বিগত চেয়ারম্যানের সময়ে মাটির কাজের নামে রাস্তায় কাদা ছিটিয়ে এ প্রকল্পের বিল খেয়ে ফেলেছে। বর্তমান সরকারের আমলে আমার ইউনিয়নে কাজের কয়েক দফা তদারকি করে ইউএনও। ইতিমধ্যে একাজের একটি বিল আটকে দিয়েছে এবং আমার অনুরোধ থাকা সত্বেও বিল ছাড় দেয়নি উপজেলা অফিস।
এদিকে অনুসন্ধানসুত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি বরিশাল সদর উপজেলা দপ্তর থেকে ইউনিয়নটিতে চল্লিশ দিনের কমসৃজজন প্রকল্পের কর্মসুচী প্রকল্প দেয়া হয়। এতে ইউনিয়নে ছয়টি প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়। ১ নং ওয়ার্ডেও কাচা রাস্তা নির্মান, তিন নং ওয়ার্ড দক্ষিণ কড়াপুর রাস্তা নির্মাণ, পাচ নং ওয়ার্ড খান বাড়ির রাস্তা নির্মাণ, নয় নং ওয়ার্ড সোলনা এলাকার কাচা রাস্তা সংস্কার, সাত নং ওয়ার্ড মঙ্গলহাটা এলাকার রাস্তা সংস্কার, ছয় নং ওয়ার্ড আ:লীগের সাধারন সম্পাদক শাহরিয়ারের বাড়ির রাস্তা মেরামতসহ প্রকল্পটিতে দুইশ বিশ জন শ্রমিক ১শ ৭৫ টাকা মজুরিতে ৪০দিন কাজ করা নির্দেশনা থাকলেও কাজ করা হয়েছে ১৫দিন। এতে দুইশ বিশ জন শ্রমিক ১৫দিন কাজ করলে মোট শ্রমিক হয় ৩হাজার ৩শ জন। আর ১শ ৭৫ টাকা দৈনিক হাড়ে শ্রম মুল্য হয় ৫লাখ ৭৭ হাজার ৫শ টাকা।
১৫লাখ ৪০ হাজার টাকার বিপরীতে মাত্র ৫লাখ ৭৭ হাজার ৫শ টাকার কাজ করানো হয়েছে। এ কর্মসুচীর ব্যাপারে প্রকল্পের পিআইও মুজাহিদুল হক বলেন, শুধুমাত্র এক নং ওয়ার্ড মিন্টু মেম্বরের ওয়ার্ডেও ১৫শ ফুট কাজের ¯’লে ৪শ ফুট কাজ করায় তার বিল দেয়া হয়নি। অথচ ছয়টি প্রকল্পর সরেজমিনে দেখা গেছে, দক্ষিণ কড়াপুর তিন নং ওয়ার্ড, ছয় নং ওয়ার্ড প্রকল্পে কাজ সঠিকভাবে করা হলেও বাকি ৪টি প্রকল্পের কাজে নামে মাত্র কাজ করা হয়েছে। এনিয়ে স্থানীয় সুত্র জানায়, এব্যাপারে যদি কোন কতৃপক্ষ তদন্ত করে তাহলে সহসাই দুণীতির বিষটি ষ্পষ্ট হবে। অপরদিকে কড়াপুর ইউপি সচিব অফিস খরচের অজুহাতে আতিকও কর্মসুচীর টাকা থেকে ২৫%নিয়েছেন । এনিয়ে তিনি বলেন, আমি এব্যাপারে কিছুই জানিনা চেয়ারম্যানের সাথে কথা বলেন।
তিনি সব কিছুর দেখভালকারি। কড়াপুর ইউনিয়নে কর্মসচীর টাকা লুটপাটের ব্যাপারে বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকার্ত মো:হুমায়ন কবির বলেন, যতদুর সম্ভব দুণীর্তির লাগাম টেনে ধরি। আমি নিজে সরেজমিনে গিয়ে রিপোর্ট তৈরী করি।কিন্তু মানষিকতার পরিবর্তন নাহলে এধরণের লুটপাট পুরোমাত্রায় বন্ধ করা সম্ভব নয়। কারণ একটি প্রকল্প বাস্তবায়নের সাথে কয়েকটি স্তরে জনবল নিয়োজিত থাকে।
Leave a Reply