রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:০৯ অপরাহ্ন
গলাচিপা প্রতিনিধি॥ নির্বাচনী প্রচারণাকে কেন্দ্র করে পটুয়াখালীর গলাচিপার পানপট্টি ইউনিয়নের ৫নম্বর ওয়ার্ডের দুই মেম্বার প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে নারীসহ কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়েছে। এর মধ্যে গুরুতর আহত ৯ জনকে গলাচিপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার রাত ১১টার দিকে ওই ওয়ার্ডের গ্রামর্দ্দন এলাকায়। পুলিশ দুই মেম্বারকে আটক করে থানা হেফাজতে রেখেছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত দুই পক্ষের কেউই থানায় লিখিত অভিযোগ করেননি।
গলাচিপা থানার ওসি এম আর শওকত আনোয়ার ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন। পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
জানা গেছে, রবিবার রাত ১১টার দিকে প্রতিদ্বন্দ্বী দুই মেম্বার প্রার্থী মো. দাদন হাওলাদার ও আবু সাঈদ চৌধুরী নিজ নিজ সমর্থকদের নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা শেষে বাড়ি ফিরছিল। এ সময় দুই প্রার্থী ও সমর্থকদের মধ্যে তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে বাকবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে দুই প্রার্থী বাড়ির দিকে রওয়ানা দিলে দাদন হাওলাদারের সমর্থকরা উত্তেজিত হয়ে সাঈদ চৌধুরীসহ সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া দেয়। এ সময় দুই পক্ষের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে দুই পক্ষের নারীসহ ১৫ জন আহত হয়।
মেম্বার প্রার্থী আবু সাঈদের সমর্থক মো. মজিবর চৌকিদার বলেন, বরিবার রাতে দাদনের সমর্থক ফাতেমা বেগম সাঈদসহ উপস্থিত কর্মীদের গালাগাল করেন। এ নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। পরে ফাতেমার ছেলে নয়ন ৪০-৫০ জন লাঠিসোঠা নিয়ে সাঈদ ও তার সমর্থকদের ওপর হামলা চালায়।
দাদন মেম্বারের সমর্থক আহত ফাতেমা বেগম বলেন, আমি ডাকাডাকি শুনে ঘটনাস্থলে যাই। এ সময় মাসুদ, মিজানুর ও রাশাদ দাদনকে গালাগাল করতে শুনি। আমি প্রতিবাদ করলে আমার ওপর তারা হামলা চালায়।
গলাচিপা থানার ওসি এম আর শওকত আনোয়ার ইসলাম বলেন, ঘটনার পরপরই আমি পুলিশ ফোর্সসহ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে দুই মেম্বার প্রার্থী দাদন হাওলাদার ও আবু সাঈদ চৌধুরীকে আটক করে থানায় নিয়ে আসি। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত দুই পক্ষের কেউই লিখিত অভিযোগ করেননি।
Leave a Reply