বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৩৫ পূর্বাহ্ন
কুয়াকাটা প্রতিনিধি॥ পটুয়াখালী জেলার কুয়াকাটায় উৎপাদিত হচ্ছে অর্ধশত প্রজাতির সামুদ্রিক মাছের শুঁটকি। গত কয়েক দশকে শুঁটকি উৎপাদন এবং বিপণনব্যবস্থার পরিধি বাড়লেও এই শিল্পে আধুনিকতার ছোঁয়া লাগেনি।
শুঁটকি উৎপাদনের জন্য স্থায়ী জায়গা না থাকাসহ বিনিয়োগের অভাবকেই প্রধান কারণ মনে করছে স্থানীয় উদ্যোক্তারা। সরকারি সহযোগিতা পেলে এই শিল্পটিও জাতীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
কুয়াকাটা সৈকতের জিরো পয়েন্ট থেকে কিছুদূর পশ্চিমে গেলেই সৈকতে দেখা মিলবে সারি সারি শুঁটকির মাচা। বছরে চার থেকে পাঁচ মাস এখানেই শুঁটকি উৎপাদন করা হয়। এই সময়ে লইট্টা, ফাইসা, ছুড়ি, পোমা, রুপচাঁদা, ইলিশ থেকে শুরু করে বিভিন্ন প্রজাতির চিংড়ির শুঁটকি উৎপাদন করা হয়।
স্থানীয় ব্যবসায়ীরা বলছেন, তারা ৫০’র অধিক প্রজাতির শুঁটকি উৎপাদন করলেও লইট্টা এবং চিংড়ির শুঁটকির চাহিদা সব থেকে বেশি। আর নির্দিষ্ট কয়েক মাস শুঁটকি উৎপাদন করা হলে কুয়াকাটার শতাধিক শুঁটকির দোকানে সারা বছরই বেচাবিক্রি চলে।
এর বাইরে বিভিন্ন জেলাতেও এখানকার শুঁটকির বাড়তি চাহিদা রয়েছে। তবে স্থায়ী কোনো জায়গা না থাকায় এখনো সনাতন পদ্বতিতেই বাধ্য হয়ে শুঁটকি উৎপাদন করতে হয়। যার ফলে লাভ-লোকসানের দোলাচলেই দশকের পর দশক এই ব্যবসা করছেন তারা।
কুয়াকাটাসহ জেলার বিভিন্ন চরে উৎপাদিত এই শুঁটকির বাজারটি মূলত পর্যটকদের ওপর নির্ভরশীল। তবে গত কয়েক মাস করোনার কারণে পর্যটকদের আনাগোনা কম থাকায় অনেক শুঁটকি ব্যবসায়ীকেই ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে পর্যটকদের আনাগোনা কিছুটা বৃদ্ধি পাওয়ায় আবারও ঘুড়ে দাঁড়াচ্ছে তারা। আর নতুন শুঁটকি কিনতে পেরে খুশি পর্যটকরাও।
পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসক মো. মতিউল ইসলাম চৌধুরী বলেন, সারা দেশে কুয়াকাটার শুঁটকির একটা সুনাম রয়েছে। তবে এটি যেহেতু ব্যবসা, সেক্ষেত্রে এই ব্যবসায় আধুনিকায়ন করতে হলে প্রথমেই ব্যবসায়ী এবং এর উদ্যোক্তাদের এগিয়ে আসতে হবে। এ ক্ষেত্রে জেলা প্রশাসন প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দিবে।
Leave a Reply