মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৪১ অপরাহ্ন
তানজিল জামান জয়, কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি।। যৌতুকের ঝড়ে লন্ডভন্ড হতে চলছে জেসমিনের সংসার। পুরো নাম জেসমিন আক্তার রোজিনা। এক সন্তানের জননী। তরুণী এ গৃহবধূ এখন দু’চোখে সব অন্ধকার দেখেছেন। পাষন্ড স্বামী রফিকুল ইসলামের মারধরে গুরুতর জখম হয়ে এখন কলাপাড়া হাসপাতালের শয্যায় পড়ে কাতরাচ্ছেন। সেখানে গিয়েও হুমকি দেয়া হয়েছে বলে রোজিনার অভিযোগ। সাড়ে চার বছরের একমাত্র পুত্র সন্তান তাসকীনকে নিয়ে অজানা ভবিষ্যতের শঙ্কায় জেসমিন এখন সব ঝাপসা দেখছেন। যৌতুকের কারণে প্রথমে কিলঘুষি, লাথির আঘাতে শুরু হয় মারধর। শেষ হয় বাঁশের লাঠির আঘাতে। মুখের বাম পাশের চোয়াল নড়চড় করাতে পারছেনা। বাম কানে প্রচন্ড ব্যাথা।
ডান হাত ফুলে আছে। মুখমন্ডল ফুলে আছে। শরীরের সর্বত্র মারধরে বিষ ধরে গেছে। সবশেষ বুধবার, ১৬ অক্টোবর রাতে জেসমিনকে এমন নির্দয় মারধর করা হয়। এমনকি জেসমিনের মোবাইল ফোনটি পর্যন্ত ভেঙ্গে ফেলে। কলাপাড়া উপজেলা পরিষদের পিওন পদে (অনিয়মিত) চাকরি করছেন রফিকুল ইসলাম। জেসমিনের বাবা জয়নাল হাওলাদার জানান, প্রায় সাত বছর আগে পটুয়াখালীর বাসীন্দা রফিকুল ইসলামের সঙ্গে বড় মেয়ে জেসমিনের বিয়ে দেন। তখন জেসমিন এইচএসসি পড়ছিল।
আর রফিকুল এসএসসি পড়ছিল। জয়নাল হাওলাদার বিয়ের সময় নগদ টাকা-পয়সাসহ স্বর্নালঙ্কার সবকিছু দিয়ে দেন মেয়ে জামাইকে। শুধু দুই মেয়ে তার। এজন্য মেয়েকে স্বাবলম্বী করতে ডিগ্রি পাস করান। জামাইকে উপজেলা পরিষদে চাকরির ব্যবস্থা করেন।
কিন্তু যৌতুকের লোভে রফিকুল বেপরোয়া হয়ে ওঠে। মারধর করতে থাকে বিভিন্ন সময়। মানষিক ও শারীরিক নির্যাতন করে আসতে থাকে জেসমিনকে। বর্তমানে জেসমিনের জীবনে ঝড় বইছে। অশান্তির এ ঝড় থামাতে তিনি যথাযথ প্রতিকার চেয়েছে। যৌতুকের থাবায় এখন জেসমিনের ভীতসন্ত্রস্ত গোটা পরিবার । অভিযুক্ত রফিকুল ইসলাম জানান, আমার বাড়ি যাওয়ার জন্য বললেই উল্টোপাল্টা কথা বলে তার স্ত্রী। এনিয়ে তর্ককতর্কি হয়েছে। এনিয়ে দু’একটা চড় থাপ্পর দেয়ার ঘটনা ঘটেছে। আর কিছুই না। তারপরও ওষুধ আনতে গেলে এসে দেখি মালামাল নিয়ে গেছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মুনিবুর রহমান জানান, অভিযোগ বিধিমতে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Leave a Reply