বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৪৫ অপরাহ্ন
কুয়াকাটা প্রতিনিধি॥ করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে এবার সাগরকন্যা কুয়াকাটায় চালু হয়েছে ‘নো মাস্ক, নো এন্ট্রি’ সার্ভিস। অর্থাৎ মাস্ক ছাড়া সমুদ্র সৈকত ও অন্যান্য পর্যটনকেন্দ্রে প্রবেশ করা যাবে না।
‘নিজে নিরাপদ থাকুন ও অপরকে নিরাপদ রাখুন’ এবং ‘ঘন ঘন হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করুন’- এ স্লোগানে কুয়াকাটা সৈকতে ঘুরে ঘুরে পর্যটকদের উদ্দেশ্যে মাইকিং করছে টুরিস্ট পুলিশ। একই সঙ্গে মাস্ক ছাড়া সৈকতে আসা পর্যটকদের ফিরিয়ে দেয়া হচ্ছে।
পিরোজপুর থেকে আসা মেহেদি হাসান বলেন, আমরা মাস্ক না পরে সৈকতে যাওয়ার চেষ্টা করি। সে সময় পুলিশের বাঁধার মুখে পড়তে হয়েছে। পরে দোকান থেকে মাস্ক কিনে সৈকতে যাই।
পর্যটকদের মাস্ক ও ঘন ঘন হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার নিশ্চিত করতে কুয়াকাটা সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্টে মাইকিং করছে ট্যুরিস্ট পুলিশ
পর্যটকদের মাস্ক ও ঘন ঘন হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার নিশ্চিত করতে কুয়াকাটা সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্টে মাইকিং করছে ট্যুরিস্ট পুলিশ
বরিশালের বাসিন্দা তামিম বলেন, শীতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। সংক্রমণ মোকাবিলায় ট্যুরিস্ট পুলিশের এই কার্যক্রম নিঃসন্দেহে ভালো উদ্যোগ। এর ফলে সচেতনতা বৃদ্ধি পাবে। সবার সুস্থ থাকার জন্যই মাস্ক ও ঘন ঘন হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করা উচিত।
কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশের পরিদর্শক মো. বদরুল কবির বলেন, পর্যটকদের মাস্ক ও ঘন ঘন হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার নিশ্চিত করতে সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্টে মাইকিং করা হচ্ছে। শীত মৌসুমে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ মোকাবিলায় এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। অনেক পর্যটক নিয়ম মানছেন না। তাদের জন্য ভ্রাম্যমাণ আদালত প্রয়োজন।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও কলাপাড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) জগৎজীবন মণ্ডল বলেন, কলাপাড়া পৌরশহরে মাস্ক না পরে ব্যবসা পরিচালনা করায় শনিবার বিকেলে এক ব্যবসায়ীসহ চারজনকে দুই হাজার দুইশ টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। সে সময় শহরের সদর রোড এলাকায় সচেতনতা বাড়াতে পর্যটকসহ একশ মানুষের মাঝে বিনামূল্যে মাস্ক বিতরণ করা হয়।
Leave a Reply