কমিশনার শাহাবুদ্দিন খানের বিচক্ষণতায় উজ্জীবিত বিএমপি পুলিশ Latest Update News of Bangladesh

মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৫, ০২:২৭ অপরাহ্ন

বিজ্ঞপ্তি :
Latest Update Bangla News 24/7 আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি ভয়েস অব বরিশালকে জানাতে ই-মেইল করুন- inbox.voiceofbarishal@gmail.com অথবা hmhalelbsl@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।*** প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে!! বরিশাল বিভাগের সমস্ত জেলা,উপজেলা,বরিশাল মহানগরীর ৩০টি ওয়ার্ড ও ক্যাম্পাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! ফোন: ০১৭৬৩৬৫৩২৮৩




কমিশনার শাহাবুদ্দিন খানের বিচক্ষণতায় উজ্জীবিত বিএমপি পুলিশ

কমিশনার শাহাবুদ্দিন খানের বিচক্ষণতায় উজ্জীবিত বিএমপি পুলিশ




এম.কে. রানা॥  মাত্র ৪ মাসের ব্যবধানেই বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের চিত্র পাল্টে দিয়েছেন পুলিশ কমিশনার শাহাবুদ্দিন খান (বিপিএম-বার)। তার সাহসী পদক্ষেপ, বিচক্ষণতা আর দূরদর্শীতায় সঠিক ও সময়োপযোগী কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করার কারণেই বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ বিভাগ আজ উদ্দীপ্ত উজ্জীবিত।

ইতিপূর্বে কমিশনার শাহাবুদ্দিন খান কুষ্টিয়া, নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদী, রাজশাহী ও মুন্সিগঞ্জে পুলিশ সুপার, ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার (ক্রাইম ও অপারেশন) এবং র‌্যাব-৪, র‌্যাব-১০ ও র‌্যাব- ১২ এর কমান্ডিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়া একাধিকবার সাবেক যুগোশ¬াভিয়া (কসভো) ও সুদানে শান্তি রক্ষা মিশনেও কৃতিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। আর এসব অভিজ্ঞতার আলোকে পুলিশের কাছে ভুক্তভোগীদের প্রত্যাশা ও সমস্যা চিহ্নিতকরণে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করে বিএমপি পুলিশের সকল স্তরে সঠিক দিক নির্দেশনা দিয়ে কাজ করছেন তিনি। তার এ দূরদর্শীতা ও চৌকস নেতৃত্বে বিএমপি পুলিশের প্রতিটি সদস্য উদ্দীপ্ত উজ্জীবিত। ইতিমধ্যেই তার বিচক্ষণতা ও কর্মদক্ষতার কারণে নগরবাসী এর সুফল পেতে যাচ্ছেন। মোদ্দাকথা তার যোগদানের ৪ মাসের মধ্যেই পাল্টে গেছে বিএমপি পুলিশের চিত্র। সম্প্রতি একান্ত আলাপকালে বিভিন্ন বিষয় উঠে এসেছে।

“পুলিশই জনতা, জনতাই পুলিশ” পুলিশ কেবলমাত্র জনগণের সেবক। এই মন্ত্রে উজ্জীবিত এখন পুরো বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের সকল সদস্য। শক্তি বা বল প্রয়োগের মাধ্যমে নয় বরং ভালোবাসার বার্তা দিয়ে সমাজ থেকে অপরাধ নির্মূল করতে তার দক্ষতার শতভাগ প্রয়োগ করছেন কমিশনার শাহাবুদ্দিন খান (বিপিএম-বার)। ইতিমধ্যে তিনি সাধারণ মানুষের পাশাপাশি জয় করে নিয়েছেন সচেতন মহলের মন। বিশেষ করে নগরীর যুবসমাজ যখন মাদকের ছোবলে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে তখন মাদকের বিরুদ্ধে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার “জিরো টলারেন্স” নীতি অনুসরণ করে মাদক নির্মূলে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। তার বিচক্ষণতা ও সঠিক দিক নির্দেশনায় মাঠপর্যায়ে সদস্যদের মাঝেও পেশাদারিত্ব এসেছে।

গত ৩ এপ্রিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক আদেশের মাধ্যমে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার পদে দায়িত্ব পান মোঃ শাহাবুদ্দিন খান। সাধারণ মানুষের শতভাগ সেবা নিশ্চিত করতে ব্যতিক্রমী কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার শাহাবুদ্দিন খান (বিপিএম-বার)। পদক্ষেপগুলোর মধ্যে উলে¬খযোগ্য হল, সমাজ থেকে অপরাধ ও মাদক নির্মূলে কমিউনিটি পুলিশিং, বাল্যবিয়ে, ইভটিজিং আর মাদকের ভয়াবহতাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষে মহানগরীর বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের নিয়ে স্টুডেন্ট কমিউনিটি পুলিশিং ফোরামের কমিটি গঠন এবং প্রতি মাসে আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ক মতবিনিময় সভা, নগরীর প্রতিটি স্কুলের সামনে কড়া নজরদারী, ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় জনগনকে সচেতন করার পাশাপাশি বিভিন্ন পরিবহন চালকদের মৌলিক প্রশিক্ষণ প্রদান, অবৈধ পরিবহন বন্ধে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ, এমনকি সাম্প্রতিক সময়ে ডেঙ্গু প্রতিরোধ ও গলাকাটা গুজব প্রতিরোধে বিএমপি পুলিশের ভুমিকা প্রশংসার দাবী রাখে। বরিশালে যাতে কোন কিশোর গ্যাং তৈরী হতে না পারে, সাধারণ মানুষ যাতে সহজে পুলিশের সেবা পেতে পারে সেজন্য এ পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কমিশনার শাহাবুদ্দিন খান।

বরিশাল মেট্রোপলিটনে যোগদানের পর থেকেই তিনি মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছেন। এ কারণে নগরীর চিহ্নিত মাদক সম্রাটরা অনেকেই গা ঢাকা দিয়েছে। তাছাড়া কক্সবাজার ও টেকনাফ সিমান্তে প্রশাসনের কঠোর নজরদারীর কারণে দক্ষিণাঞ্চলের নৌপথ ব্যবহার করে মাদকের চালান বিভিন্ন জেলায় পৌছে দিত কারবারীরা। কিন্তু দক্ষ ও কৌশুলী এই কর্মকর্তার দিক নির্দেশনায় উজ্জীবিত বিএমপি পুলিশের একের পর এক অভিযানে মাদকের বিশাল চালান উদ্ধারের পাশাপাশি গ্রেফতার হয়েছে সংশি¬ষ্টদের অধিকাংশই। একইসাথে বন্ধ হয়ে গেছে নগরীর চিহ্নিত মাদক স্পটগুলো।

সূত্রমতে, গত ১৩ সেপ্টেম্বর শুক্রবার বিএমপি পুলিশের পৃথক অভিযানে মা-ছেলেসহ নয়জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এসময় তাদের কাছ থেকে প্রায় ১৩ লাখ টাকা মূল্যের বিভিন্ন ধরনের মাদকদ্রব্য উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে মাদক সম্রাজ্ঞী বিলকিছ বেগম তিনটি মাদক মামলার ১০ বছরের সাজাপ্রাপ্ত এবং তিনটি মাদক মামলায় পৃথক তিনটি গ্রেফতারী পরোয়ানাভুক্ত আসামি।

গত ১০ সেপ্টেম্বর নগরীর ৭নং ওয়ার্ডের ভাটিখানা এলাকার মীরা বাড়ি গলি এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৪৬০ পিস ইয়াবা সহ সাংবাদিক পরিচয়দানকারী জামিল হাসান শাকিল নামে এক কথিত সাংবাদিককে গ্রেফতার করে কাউনিয়া থানা পুলিশ।

গত ২৬ আগস্ট বুধবার সন্ধ্যা ৭টা থেকে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৩টা পর্যন্ত মহানগর গোয়েন্দা শাখার চারটি টিমের পৃথক পাঁচটি অভিযানে ৭ মাদক কারবারি গ্রেফতার করা হয় এবং তাদের কাছ থেকে মাদক উদ্ধার করা হয়।

বিএমপি কমিশনার শাহাবুদ্দিন খান এর বিচক্ষণতায় গত ২৭ আগস্ট মঙ্গলবার বরিশালের ইতিহাসে সর্ববৃহৎ মাদকের চালানসহ তালিকাভুক্ত শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী মাকসুদুল আলম নান্টু ও তার এক সহযোগিকে গ্রেফতার করে কোতয়ালী পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে ২০ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়। শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী মাকসুদুল আলম নান্টু ১৯৯৫ সালে বরিশালে সংঘটিত স্মৃতি কনা অপহরণ ও ধর্ষণ মামলায় দন্ডিত হয়ে ১০ বছর কারাভোগ করেছে। কারামুক্ত হয়ে সে মাদক ব্যবসা শুরু করে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছে পুলিশ কমিশনার।

গত ২৫ আগস্ট শনিবার বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলার ছোট ভৎসর গ্রামের বাসিন্দা মোবারক সরদারের ছেলে সোহাগ সরদার (২৯) ও বরগুনা সদরের কলেজ পাড়ার বাসিন্দা মৃত আব্দুল হামিদ এর ছেলে মেহেদী হাসান মনির (৪৩) কে ১২০ বোতল ফেন্সিডিলসহ আটক করে এয়ারপোর্ট থানা পুলিশ।

গত ৮ আগস্ট ২ হাজার ১শ’ ৪৫ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ মাদক কারবারী রফিকুল ও তার স্ত্রী মাহমুদাকে গ্রেফতার করে কাউনিয়া থানা পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে ২ হাজার ১শ’ ৪৫ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়।

গত ২১ জুলাই শনিবার কাউনিয়া এলাকা থেকে এক হাজার ২০৫ পিস ইয়াবাসহ মাদক ব্যবসায়ী সহ চার মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। আটকৃতরা হলেন পিরোজপুর জেলার নেছারাবাদ উপজেলার পূর্ব সোহাগদল এলাকার ফজলুল হক মিয়া (৬৮), বরিশাল নগরের কাউনিয়া থানার নিউ ভাটিখান এলাকার মৃত সরুব আলী খানের ছেলে শাহাদাৎ আলী খান রফিক (৪০), কোতোয়ালি মডেল থানার আমানতগঞ্জ এলাকার ফেরদৌসুল ইসলামের ছেলে রিসাদুল ইসলাম রিসাদ (২৭) ও বরিশাল সদর উপজেলার চাঁদপুরা ইউনিয়নের দুর্গাপুর এলাকার আলী আকবর হাওলাদারের ছেলে শাওন (১৯)।

গত ৫ জুলাই মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের অভিযানে নগরীর মুসলিম গোরস্থান রোডে অভিযান চালিয়ে কাজী ইলিয়াছ (৩৫) ও ছকিনা বেগমকে (৫৫) ভারতীয় ফেন্সিডিলসহ আটক করা হয়।

গত ৪ জুলাই নগরীর শেরেই বাংলা সড়কের বিশিষ্ট মাদক ব্যবসায়ী হারিছ কাড়াল ও মাহাবুবুর রহমান হিরু ইয়াবা সহ গ্রেফতার করে কোতয়ালী পুলিশ।

এছাড়া গত ১৪ সেপ্টেম্বর পটুয়াখালীর মহিপুর থেকে গোপালগঞ্জ যাওয়ার পথে বরিশাল-ঢাকা মহাসড়ক থেকে ছিনতাই হওয়া পাঁচ মণ ইলিশ উদ্ধার করে এয়ারপোর্ট থানা পুলিশ। এ সময় ছিনতাইয়ের ঘটনায় ব্যবহৃত দুইটি পিকআপভ্যান ও ঘটনার সঙ্গে জড়িত তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়।

এদিকে বরিশাল নগরকে যানজটমুক্ত রাখতে বিএমপি কমিশনার শাহাবুদ্দিন খানের নির্দেশনায় বরিশাল ট্রাফিক বিভাগের পক্ষ থেকে বেশ কিছু পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এসব পরিকল্পনা বাস্তবায়নে এরই মধ্যে মেট্রোপলিটন উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) ট্রাফিক খায়রুল আলম, উপ-সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি ট্রাফিক) ফাইয়েজুর রহমান ও ট্রাফিক প্রশাসন সামসুল আলম নগরীর সড়ক ও ভারী যানবাহন চলাচলরত এলাকা ও নগরীর বিভিন্ন সড়কের গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলো পরিদর্শন করেছেন। গত দু’দিন ধরে নগরের রূপাতলী বাসস্ট্যান্ড, কেন্দ্রীয় নথুল¬াবাদ বাসস্ট্যান্ড, হাতেম আলী কলেজ চৌমাথা, আমতলামোড়সহ বিভিন্নস্থান যানজটমুক্তসহ সড়কের শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে বাস মালিক সমিতি, শ্রমিক ইউনিয়নসহ মাহেন্দ্রা ইউনিয়নের নেতা ও চালকদের নিয়ে সচেতনতামূলক পথসভা করেছেন ট্রাফিক বিভাগের কর্মকর্তারা।

মাদকের বিরুদ্ধে বিএমপি কমিশনার শাহাবুদ্দিন খান এর কঠোর অবস্থান ও জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ এবং নগরবাসীর সুবিধার জন্য নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করায় তাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন নগরবাসী ও সচেতন মহল।

মাদকবিরোধী কার্যক্রমের ব্যাপারে কমিশনার শাহাবুদ্দিন খান (বিপিএম-বার) বলেন, মাদকমুক্ত বরিশাল নগরী গড়ার লক্ষ্যে পুলিশের মাদক বিরোধী কার্যক্রম আরও শক্তিশালী করা হয়েছে। অপরাধীরা পুলিশকে ভয় পেলেও জনগণ যেন পুলিশকে ভয় না পায়, তারা যেন সব কাজেই পুলিশকে বন্ধু হিসেবে মনে করেন।

কমিউনিটি পুলিশিংয়ের ব্যাপারে তিনি বলেন, অপরাধ দমনে কমিউনিটি পুলিশিং একটি বড় হাতিয়ার। সারা বিশ্বে এটা পরীক্ষিত। আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে পুলিশের মূল অস্ত্র হল, সঠিক সময়ে সঠিক তথ্য পাওয়া। সাধারণ জনগণ যাতে সহজে পুলিশের কাছে তথ্য পৌছাতে পারে সেজন্য কমিউনিটি পুলিশিং একটি টিম ওয়ার্ক। সবাই মিলে নিজ নিজ অবস্থান থেকে এক সঙ্গে কাজ করলে দেশের আইনশৃঙ্খলার উন্নতি হবে, দেশ এগিয়ে যাবে। তিনি বলেন, পুলিশকে জনগণের কাছাকাছি যেতে হবে, জনগণের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করতে হবে।

স্টুডেন্ট কমিউনিটি পুলিশিংয়ের ব্যাপারে কমিশনার শাহাবুদ্দিন খান বলেন, শিক্ষার্থীদের একটা বড় অংশ মাদকের মত মরণ নেশায় জড়িয়ে পড়ছে। এসব মেধাবী শিক্ষার্থীদের ধ্বংসের পথ থেকে টেনে তুলতেই বরিশালের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ‘স্টুডেন্ট কমিউনিটি পুলিশিং’ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এর মাধ্যমে ছাত্রসমাজে অপরাধ প্রবণতা কমবে। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের দূরত্ব কমে যাবে। ফলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কেন্দ্রিক অপরাধও নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হবে। এ জন্য প্রত্যেক অভিভাবককে আরো সচেতন হওয়ার পরামর্শ দেন বিএমপি’র দক্ষ এই কর্মকর্তা। তিনি বলেন, নতুন প্রজন্ম যেন আইন মান্যকারী হিসেবে গড়ে উঠে, আইনের প্রতি যেন শ্রদ্ধাশীল হয় তার জন্য এখন থেকেই কাজ করতে হবে। কোন ধরণের অপরাধ দানা বাঁধার পূর্বেই যেন তা চিহ্নিত করে সমাধান করা যায় সে লক্ষ্যেই কাজ করছে বিএমপি পুলিশ। উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, বরগুনার নয়ন বন্ডের মতো যেন আর কোন বন্ড বাহিনী/কিশোর গ্যাং তৈরী হতে না পারে সেজন্য পুলিশ, জনগন, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষকে এক হয়ে কাজ করতে হবে। সমাজ ভাল থাকলে সবাই ভাল থাকবেন বলেন তিনি।

ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিষয়ে কমিশনার শাহাবুদ্দিন খান বলেন, নগরের প্রতিটি সড়ক যেন যানজটমুক্ত ও পরিচ্ছন্ন থাকে, ট্রাফিক বিভাগের সব সদস্য সে লক্ষ্যে কাজ করে যাবে। বাস, মিনিবাস, মাইক্রোবাসসহ বিভিন্ন হালকা ও ভারী যানবাহনে কাগজপত্র, ফিটনেস সমস্যা রয়েছে, সেগুলো দ্রুত সমাধানে বাসমালিক এবং শ্রমিক ইউনিয়নের নেতাদের প্রতি আহবান জানান তিনি। এদিকে অবৈধ থ্রি-হুইলার বিআরটিএর আওতায় না থাকায় সেগুলোর বিষয়ে নগরের ট্রাফিক বিভাগ কোনো ব্যবস্থা নিতে পারছে না জানিয়ে তিনি বলেন, বরিশাল সিটি করপোরেশন থেকে এসব যানবাহনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে উদ্যোগ নেওয়া হলে সেক্ষেত্রে বিএমপি’র ট্রাফিক বিভাগ সহায়তা করবে।

একান্ত আলাপে জানা যায়, বিএমপি কমিশনার (ডিআইজি পদমর্যাদা) মোঃ শাহাবুদ্দিন খান ১৯৬৪ সালে ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপা থানার মনোহরপুর ইউনিয়নের হিতামপুর গ্রামে সম্ভ্রান্ত এক মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। শৈলকুপা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৯৮২ সালে কৃতিত্বের সঙ্গে এসএসসি এবং ১৯৮৪ সালে শৈলকুপা কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করেন। পরবর্তীতে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন এবং সেখান থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। ১৫তম বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ১৯৯৫ সালের ১৫ নভেম্বর তিনি সহকারী পুলিশ সুপার হিসেবে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে যোগ দেন। ২০১৭ সালের ১৮ অক্টোবর তিনি ডিআইজি হিসাবে পদোন্নতি লাভ করেন। বরিশালে বদলির আগে তিনি শিল্প পুলিশের ডিআইজি হিসেবে কর্মরত ছিলেন। গত ৩ এপ্রিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক আদেশে তাকে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ (বিএমপি) কমিশনার হিসেবে পদায়ন করা হয়। ১২ এপ্রিল তিনি বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার পদে যোগদান করেন।

জানা যায়, পুলিশ বিভাগে যোগদান করে বেসিক ট্রেনিং-এ সেরা চৌকস অফিসার হিসেবে বেস্ট ম্যানস কাপ অর্জন করেন। এছাড়া ট্রেনিংয়ের সমাপনী অনুষ্ঠানে তিনি প্যারেড কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া তার সততা, কর্মদক্ষতা, বিচক্ষণতা, যোগ্যতা, সাহসিকতার কারণে তিনি দুই দুইবার বিপিএম পদক এবং দুইবার আইজিপি গুড সার্ভিসেস ব্যাজ অর্জন করেন।

ব্যক্তিগত জীবনে তিনি দুই সন্তানের জনক। তার ১ম সন্তান (মেয়ে) ঢাকা বারডেম-এ মেডিকেলে ৩য় বর্ষে অধ্যায়নরত এবং ২য় সন্তান (ছেলে) মাস্টার মাইন্ড স্কুলে ৯ম শ্রেণীতে অধ্যয়নরত। তার স্ত্রী একজন গৃহিনী।

সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *










Facebook

© ভয়েস অব বরিশাল কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed BY: AMS IT BD