ইসলামের নামে কেউ নারীদের আর ঘরে ফিরিয়ে নিতে পারবে না : প্রধানমন্ত্রী Latest Update News of Bangladesh

মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:০৩ অপরাহ্ন

বিজ্ঞপ্তি :
Latest Update Bangla News 24/7 আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি ভয়েস অব বরিশালকে জানাতে ই-মেইল করুন- inbox.voiceofbarishal@gmail.com অথবা hmhalelbsl@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।*** প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে!! বরিশাল বিভাগের সমস্ত জেলা,উপজেলা,বরিশাল মহানগরীর ৩০টি ওয়ার্ড ও ক্যাম্পাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! ফোন: ০১৭৬৩৬৫৩২৮৩




ইসলামের নামে কেউ নারীদের আর ঘরে ফিরিয়ে নিতে পারবে না : প্রধানমন্ত্রী

ইসলামের নামে কেউ নারীদের আর ঘরে ফিরিয়ে নিতে পারবে না : প্রধানমন্ত্রী




ডেস্ক রিপোর্ট : নারীশিক্ষায় বেগম রোকেয়ার অবদান স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমাদের দেশে বাঙালি নারী, বিশেষ করে মুসলিম নারীদের শিক্ষার দ্বার বেগম রোকেয়া উন্মুক্ত করেছিলেন। যে কারণেই হয়তো আজকে আমরা এখানে সমবেত হতে পেরেছি। আমাদের এ উপমহাদেশে নারীরা কিন্তু প্রতিটি ক্ষেত্রে সব সময় অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছে। ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে প্রতিটি ক্ষেত্রেই আমরা নারীদের অবদান দেখেছি।

পাকিস্তান আমলে নারীদের অনেক বাধা ছিল। অনেক কর্মক্ষেত্রে নারীদের সুযোগও দেওয়া হতো না। স্বাধীনতার পরে জাতির পিতা কিন্তু সেই সুযোগটা দিয়েছেন। তিনি বাংলার মুক্তির সংগ্রামেও নারীদের অবদানের কথা শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন।

আজ শনিবার (৯ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বেগম রোকেয়া দিবস ও বেগম রোকেয়া পদক দেওয়া উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় এখানে ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে নারী ও পুরুষের সমান অধিকার নিশ্চিত করার জন্য বাঙালি নারীশিক্ষার অগ্রদূত এবং সমাজসংস্কারক বেগম রোকেয়ার অবদানের স্মরণে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

শেখ হাসিনা বলেন, বেগম রোকেয়ার আমলে মুসলমান নারীরা ঘরে অবরুদ্ধ থাকত। তাদের লেখাপড়া করার কোনো সুযোগ ছিল না।

তবে বেগম রোকেয়াকে তার স্বামী ও ভাই সব সময় সহযোগিতা করেছেন। তিনি নিজের প্রচেষ্টায় উর্দু, বাংলা, ইংরেজি এবং আরবি ভাষা শিখেছেন।

ইসলাম ধর্ম সবাইকে সমান অধিকার দিয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইসলাম ধর্মের নাম করে আমাদের মেয়েদের পর্দার আড়ালে রাখার চেষ্টা হতো। আর এখন চিকিৎসাবিজ্ঞান ও সাহিত্যে নারীদের অবদানকে বিশেষভাবে তুলে ধরা হচ্ছে। সৌদি আরবে ওআইসি সম্মেলনে গিয়ে আমি দেখেছি, সেখানে তাদের মেয়েদের বিভিন্ন কর্মস্থলে যারা আছে, তাদের ছবি প্রদর্শন করে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়েছে।

সৌদি আরবেও নারীদের অধিকার সুনিশ্চিত করা হচ্ছে। তাদের আর পর্দার আড়ালে বন্দি করে রাখা হচ্ছে না। কর্মক্ষেত্রে তাদেরও সুযোগ করে দেওয়া হচ্ছে। মেয়েদের অধিকার নিশ্চিত করতে সৌদি আরব এগিয়ে আছে। এখন আর কেউ মেয়েদের পর্দার আড়ালে নিতে পারবে না। সুতরাং ইসলামের নামে কেউ নারীদের ঘরে ফিরিয়ে নিতে পারবে না।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি চাই নারী স্বাবলম্বী হোক। নারীরা স্বাবলম্বী হলে পরিবার ও সমাজে তার অবস্থান সুদৃঢ় হয়। সব জায়গায় তার কথার মূল্যায়ন হয়। তাই আমার সরকারের নেওয়া উদ্যোগের কারণে নারীরা কোনো সেক্টরেই পিছিয়ে নেই।

তিনি বলেন, এখন আমাদের নারীদের বিচরণ সব জায়গায়। যেমন তারা রাজনীতিতেও আছে, অর্থনীতিতে আছে, পররাষ্ট্রনীতিতে আছে, আইন প্রণয়নের ক্ষেত্রে, প্রশাসন, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উচ্চ পর্যায়ে, সশস্ত্র বাহিনী, সেই সঙ্গে বর্ডার গার্ড সব ক্ষেত্রে কিন্তু নারীদের প্রবেশের সুযোগ আছে এবং তারা অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছে। সাংবাদিকতা, তথ্য ও প্রযুক্তি, শিল্প-সাহিত্য, সংস্কৃতি, খেলাধুলা সব ক্ষেত্রে এখন মেয়েরা তাদের দক্ষতার পরিচয় দিচ্ছে, বাংলাদেশের জন্য সুনাম নিয়ে আসছে।

শেখ হাসিনা বলেন, আপনারা জানেন, এশিয়ার শীর্ষে এখন বাংলাদেশের নারীরা, সেটাই হচ্ছে সবচেয়ে গর্বের বিষয়। জেন্ডার সূচকে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে শীর্ষ অবস্থানে বাংলাদেশ, নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়নে বাংলাদেশের অবস্থান বিশ্বে আজ সপ্তম, আমাদের স্বাস্থ্যসেবা কর্মীদের ৭০ শতাংশ নারী, তৈরি পোশাকশিল্পে ৮০ শতাংশের বেশি নারীকর্মী।

নিজের মায়ের স্মৃতিচারণা করে শেখ হাসিনা বলেন, আমার বাবা বেশির ভাগ সময় জেলে ছিলেন। সংসার চালানো, দল সুসংগঠিত করাসহ সব কাজই আমার মা করেছেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনুষ্ঠানে সমাজ, নারীশিক্ষা ও নারীর ক্ষমতায়নে অসামান্য অবদানের জন্য পাঁচ নারীকে বেগম রোকেয়া পদক ২০২৩-এ ভূষিত করেন। বেগম রোকেয়া পদক ২০২৩ প্রাপ্তরা হলেন- খালেদা একরাম (মরণোত্তর), ডা. হালিদা হানুম আক্তার, কামরুন্নেসা আশরাফ দিনা (মরণোত্তর), রণিতা বালা এবং নিশাত মজুমদার। পুরস্কারপ্রাপ্তদের প্রত্যেককে একটি করে স্বর্ণপদক, একটি সার্টিফিকেট ও চার লাখ টাকার চেক দেওয়া হয়েছে।

অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা এবং সচিব নাজমা মোবারেক। পুরস্কার বিজয়ীদের পক্ষে নিশাত মজুমদার পুরস্কার জয়ে নিজস্ব অনুভূতি ব্যক্ত করেন।
সূত্র: বাসস

সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *










Facebook

© ভয়েস অব বরিশাল কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed BY: AMS IT BD