শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০১:১৭ অপরাহ্ন
কলাপাড়া প্রতিনিধিঃ ছাত্র – জনতার গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সৃষ্ট পরিস্থিতিতে করণীয় এবং আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মানে ৯ দফা প্রস্তাব দিয়েছে ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম( চরমোনাই পীর)। এই ৯ দফা দাবি বাস্তবায়ন ও চলমান অস্থিরতা ও নৈরাজ্য বন্ধের লক্ষে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কুয়াকাটা পৌরশাখা সাংবাদিক সম্মেলন করেছে। সাংবাদিক সম্মেলনে চলমান অস্থিরতা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
গতকাল শনিবার রাতে ইসলামী আদোলন বাংলাদেশ কুয়াকাটা পৗর শাখার দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে দলটির মহিপুর থানা শাখার সাধারণ সম্পাদক মাস্টার মো. ফারুক এ ৯ দফা দাবি পেশ করেন। তিনি যে দাবি তুলে ধরেন
১. অনতিবিলম্বে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় এমন সকল রাজনৈতিক দল, পেশাজীবি ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধিদের সাথে পরামর্শক্রমে অনুর্ধ্ব ১৫ সদস্য বিশিষ্ট অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করতে হবে। যার মেয়াদ ৬ মাসের বেশি হতে পারবে না।
২. অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কেউ পরবর্তী নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না ।
৩. গ্রহনযোগ্য তদন্ত কমিশন ও স্বতন্ত্র ট্রাইবুনাল গঠন করে জুলাই গণহত্যাকান্ডের বিচার করতে হবে। একই সাথে গত ১৬ বছরে সংগঠিত সকল রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক হত্যাযজ্ঞ, গণহত্যা, গুম ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিচার করতে হবে। তদন্ত সাপেক্ষে আহত/নিহত পরিবারকে ক্ষতিপূরণসহ পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে হবে। এক্ষেত্রে যে সকল ব্যক্তি বা সংগঠন দোষী সাব্যস্ত হবে, তাদেরকে রাজনীতি ও নির্বাচন থেকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ করতে হবে।
৪. তদন্ত সাপেক্ষে গত ১৬ বছরে সকল দুর্নীতিবাজ ও বিদেশে অর্থ পাচারকারীদের সকল সম্পত্তি ক্রোক করে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা করতে হবে এবং বিদেশে পাচারকৃত টাকা ফেরত আনবার উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে । বিগত ১৬ বছরে যারা ক্ষমতায় ছিলেন তাদের সম্পদের হিসাব দিতে হবে। সকল দুর্নীতি ও টাকা পাচারের শ্বেতপত্র প্রকাশ করতে হবে।
৫. আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, প্রশাসন, বিচার বিভাগসহ প্রাতন্ত্রের যে সকল কর্মচারী আইন, সংবিধান,শপথ লঙ্ঘন করে অপেশাদার আচরণ করেছেন তাদেরকে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।
৬. দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগোষ্ঠির চিন্তা-চেতনা ও অনুভূতির বিরুদ্ধে কোন সিদ্ধান্ত নেয়া যাবে না।
৭. নির্বাচন কমিশনকে পুনর্গঠন করতে হবে এবং অবাধ, সুষ্ঠ গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের জন্য সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন পদ্ধতি (P.R) চালু করতে হবে।
৮. আওয়ামী দুঃশাসনের বিগত ১৬ বছরে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে এদেশের সাধারণ শিক্ষাখাতের মা ও নৈতিকতা। এই ক্ষতি দ্রুত সময়ের মধ্যে কাটিয়ে উঠার লক্ষ্যে দেশপ্রেমিক শিক্ষাবিদ ও উলামা কেরামের সমন্বয়ে একটি জাতীয় শিক্ষাকমিশন গঠন করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। ৯. উলামায়ে কেরাম জাতির ধর্মীয় নেতৃত্ব প্রদান করেন। তারা উম্মাহর ঈমান-আমল রক্ষায় কাজ করে তাদের নেতৃত্ব আনতে হবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আদোলন বাংলাদেশ পটুয়াখালী জেলা শাখার সভাপতি মুফতি হাবিবুর রহমান হাওলাদার,কুয়াকাটা পৌর শাখার সভাপতি হাজী ফজলুল হক খান, মহিপুর থানা শাখার সেক্রেটারি মাস্টার মো. ফারুক হোসেন, কলাপাড়া উপজেলা শাখার সহ- সভাপতি মাওলানা মো. নাইমুল ইসলাম, কুয়াকাটা পৌর শাখার সহ- সভাপতি শাহআলম হাওলাদার, শ্রমিক আন্দোলন মহিপুর থানা শাখার মুহিবুল্লাহ মোল্লাসহ প্রমূখ।
Leave a Reply