বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৪০ পূর্বাহ্ন
ভয়েস অব বরিশাল ডেস্ক॥ দেশের সড়ক-মহাসড়কে গত আগস্ট মাসে ৩৮৮টি দুর্ঘটনায় ৪৫৯ জন নিহত ও ৬১৮ জন আহত হয়েছেন। একই সময়ে রেলপথে ১৫টি দুর্ঘটনায় ১৪ জন নিহত ও ৩ জন আহত, নৌ-পথে ৪১টি দুর্ঘটনায় ৮০ জন নিহত হয়েছেন। এছাড়া ৫২ জন আহত এবং ৩১ জন নিখোঁজ হয়েছেন।
বুধবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরেছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি। সংগঠনটির সড়ক দুর্ঘটনা মনিটরিং সেল দেশের জাতীয় ও আঞ্চলিক দৈনিক, অনলাইন গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে এই প্রতিবেদন তৈরি করেছে।
যাত্রী কল্যাণ সমিতির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগস্ট মাসে সড়ক দুর্ঘটনায় আক্রান্তদের মধ্যে সংবাদপত্রে প্রকাশিত পরিচয় অনুযায়ী ১৯৮ জন চালক, ১২৫ জন পথচারী, ৮০ জন নারী, ৪৪ জন শিশু, ৩৮ জন শিক্ষার্থী, ২২ জন পরিবহন শ্রমিক, ৯ জন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য (৬ জন পুলিশ, ১ জন বিমানবাহিনী, ১ জন সিআইডি ও ১ জন সেনাবাহিনীর সদস্য), ৯ জন শিক্ষক, রাজনৈতিক দলের ৮ জন নেতাকর্মী, ৩ জন চিকিৎসক, ১ জন সাংবাদিক ও ১ জন প্রকৌশলী।
তাদের মধ্যে নিহত হয়েছেন ১৬৭ জন চালক, ১১০ জন পথচারী, ৬৩ জন নারী, ৩৪ জন শিশু, ৩২ জন ছাত্র-ছাত্রী, ১৭ জন পরিবহন শ্রমিক, রাজনৈতিক দলের ৬ জন নেতাকর্মী, ৬ জন শিক্ষক, ৩ জন চিকিৎসক, ৫ জন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য (৩ জন পুলিশ, ১ জন বিমানবাহিনী ও ১ জন সিআইডি), ১ জন প্রকৌশলী ও ১ জন সাংবাদিক।
গত মাসে ২৮ দশমিক ৯৮ শতাংশ মোটরসাইকেল, ২১ দশমিক ৬১ শতাংশ ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যান, ১৬ দশমিক ১২ শতাংশ বাস, ৮ দশমিক ৭৪ শতাংশ সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ৯ দশমিক ৭৭ শতাংশ ব্যাটারিচালিত রিকশা ও ইজিবাইক, ৭ দশমিক ৭১ শতাংশ নছিমন-করিমন, ৭ দশমিক ৩ শতাংশ কার-জিপ-মাইক্রোবাস সড়ক দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে।
পরিসংখ্যানে দুর্ঘটনার ধরন বিশ্লেষণে দেখা গেছে, আগস্টে মোট সংঘটিত দুর্ঘটনার ৪৮ দশমিক ৯৬ শতাংশ আঞ্চলিক মহাসড়কে, ২৮ দশমিক ৮৬ শতাংশ জাতীয় মহাসড়কে এবং ১৪ দশমিক ৬৯ শতাংশ ফিডার রোডে সংঘটিত হয়। এছাড়া সারাদেশে মোট দুর্ঘটনার ৫ দশমিক ১৫ শতাংশ ঢাকা মহানগরীতে, ২ দশমিক ০৬ শতাংশ চট্টগ্রাম মহানগরীতে ও ০ দশমিক ২৫ শতাংশ রেলক্রসিংয়ের সময় ঘটেছে।
বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, দীর্ঘ লকডাউনে গণপরিবহন বন্ধ থাকার সুযোগে নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক ও জাতীয় মহাসড়কে ব্যাটারিচালিত রিকশা ও ইজিবাইক উঠে আসায় এবং বর্ষায় ক্ষতিগ্রস্ত সড়কের কারণে দুর্ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে। মোটরসাইকেলের সংখ্যা ক্রমাগতভাবে বৃদ্ধি ও বেপরোয়া চলাচল এখন বড় ধরনের হুমকি। এছাড়া সড়ক নিরাপত্তায় দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থাগুলোর স্বেচ্ছাচারিতা, অনিয়ম, দুর্নীতি ক্রমাগত বৃদ্ধি ও জবাবদিহিতার অভাবে সড়ক দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি বাড়ছে।
নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত করতে উন্নত বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ট্রাফিক ব্যবস্থার আধুনিকায়ন, লাইসেন্স ও গাড়ির ফিটনেস পদ্ধতি ঢেলে সাজানোর পরামর্শ দিয়েছেন যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব।
Leave a Reply