সোমবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৫, ১২:৫৪ পূর্বাহ্ন
অনলাইন ডেস্ক : রাজশাহীতে একটি মামলার যাবজ্জীবন সাজা পাওয়া পলাতক আসামি বড় ভাইয়ের পরিবর্তে ছোট ভাই গ্রেফতার হয়ে কারাগারে রয়েছে। গত ৩০ এপ্রিল পুলিশ তাকে আটক করে কারাগারে পাঠায় বলে আদালত ও আসামি পক্ষের আইনজীবী সূত্রে জানা গেছে।
জানা গেছে, নগরের বোয়ালিয়া থানাধীন ছোটবনগ্রাম পশ্চিমপাড়ার তোফাজ উদ্দিনের পুত্র সজল মিয়াকে (৩৪) গত ৩০ এপ্রিল সাজা পরোয়ানা মূলে গ্রেফতার করা হয়। এর পর থেকে তিনি কারাগারে রয়েছেন। নারী ও শিশু মামলা নং- ৫৩৪/২০০১, শাহমখদুম থানার মামলা নং- ০৮, তাং-২০/৫/২০০১ এবং ধারাঃ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ এর ৬(১)। কিন্তু এ মামলায় সাজা হয়েছে সজল মিয়ার বড় ভাই ফজল মিয়ার।
সজল মিয়ার আইনজীবী মোহন কুমার সাহা জানান, অপরাধী না হয়েও সজল সাজা ভোগ করছে। বিষয়টি অবহিত করে সজলকে দায় হতে অব্যাহতির দেয়ার জন্য আবেদন জানানো হয়েছে রাজশাহীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-১ আদালতে। গত ২৬ মে বিষয়বস্তু তুলে ধরে আবেদন দাখিল করলে আদালতের বিচারক ১১ জুন আসামিকে আদালতে হাজির করে শুনানির দিন ধার্য্য করেন।সম্পূর্ণ ভুল তথ্যের ওপর ভিত্তি করে ছোট ভাই সজলকে ফজল বলে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
মোহন কুমার সাহা বলেন, এ মামলায় আসামি ছিলেন সজল মিয়ার বড় ভাই ফজল মিয়াসহ ৫ জন। আসামি ফজল মামলা থেকে জামিন পাওয়ার পর থেকে পলাতক রয়েছে। ২০০৯ সালের ২৮ আগস্ট ফজলকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ এর ৬(১) ধারায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা আনাদায়ে আরও ১ বছর সশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়। একই সঙ্গে অপর চার আসামিদের খালাস দেন আদালত।
কিন্তু রায় প্রদানের দীর্ঘ ১০ বছর পর গত ৩০ এপ্রিল রাতে শাহমখদুম থানা পুলিশ সজল মিয়াকে পলাতক আসামি ফজল বলে গ্রেফতার করে। আদালতে পুলিশ ফরোয়াডিং এ উল্লেখ করা হয়েছে, সজল মিয়া-ই অত্র মামলার আসামি ফজল মিয়া।
শাহমুখদুম থানার ওসি জিল্লুর রহমান বলেন, ফজল মিয়াকে গ্রেফতারের পর মামলার স্বাক্ষি ও স্থানীয়রা তাকে ফজল মিয়া বলে সনাক্ত করে। সে অনুযায়ী যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি হিসেবে ফরোয়াডিং দিয়ে ফজলকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
Leave a Reply