শুক্রবার, ১৬ মে ২০২৫, ০৬:২৯ অপরাহ্ন
ডেস্ক রিপোর্ট ॥ জাতিসংঘ এবং বাংলাদেশ সরকার যৌথভাবে একটি টেকসই, অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং ভবিষ্যত-নির্ভর উন্নয়ন কাঠামো গড়ে তুলতে অগ্রসর হচ্ছে। জাতিসংঘ কান্ট্রি টিম এবং সরকারের যৌথ স্টিয়ারিং কমিটির (JSC) দ্বিবার্ষিক সভায় এই দৃষ্টিভঙ্গি পুনর্ব্যক্ত করা হয়।
সভায় আলোচনা হয় জাতিসংঘের পাঁচটি কৌশলগত অগ্রাধিকারের উপর, যার মধ্যে রয়েছে— টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, মানবসম্পদ উন্নয়ন, জলবায়ু সহনশীল পরিবেশ, সুশাসন এবং লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা প্রতিরোধ।
ইআরডি সচিব শাহরিয়ার কাদের বলেন, “জাতিসংঘের অংশীদারিত্ব আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ, বিশেষ করে যখন বাংলাদেশ এলডিসি থেকে উত্তরণের মতো বড় এক রূপান্তরের পথে হাঁটছে।” তিনি জাতিসংঘকে বাংলাদেশের যুবসমাজের কর্মসংস্থান, সামাজিক উদ্যোগ ও অর্থনৈতিক অংশগ্রহণে আরও সক্রিয় হওয়ার আহ্বান জানান।
২০২৪ সালে জাতিসংঘের সহায়তায় কর্মসংস্থান, দক্ষতা উন্নয়ন, ব্যবসা প্রসার এবং জলবায়ু সহায়তা সংক্রান্ত যে কার্যক্রম হয়েছে, তা বৈঠকে তুলে ধরা হয়। বিশেষ করে HPV টিকা কর্মসূচি, সামাজিক সুরক্ষা, দুর্যোগ সহায়তা ও গ্রামীণ আদালতের কার্যকারিতা বৃদ্ধি উল্লেখযোগ্য উদাহরণ হিসেবে উঠে আসে।
এছাড়া যৌন হয়রানি প্রতিরোধ আইন ও গার্হস্থ্য সহিংসতা আইনের সংস্কারের ব্যাপারে জাতিসংঘের প্রচারণা ও সহায়তার কথা বিশেষভাবে আলোচিত হয়।
বৈঠকের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ ছিল তরুণদের সম্পৃক্ততা ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের উন্নয়ন নিয়ে আলোচনা। ‘সামিট অফ দ্য ফিউচার’ এর ধারাবাহিকতায় এই অংশে যুব কণ্ঠস্বর ও আন্তঃপ্রজন্ম সমতার ওপর জোর দেওয়া হয়।
জাতিসংঘের পক্ষ থেকে বলা হয়, তারা বাংলাদেশের জাতীয় পরিকল্পনার সঙ্গে মিল রেখে এসডিজি এবং এলডিসি উত্তরণে কাজ করে যাবে। চলতি বছরের শেষ নাগাদ UNSDCF কাঠামোর চূড়ান্ত মূল্যায়ন শুরু হবে।
সভায় উভয় পক্ষ ভবিষ্যতের অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে বেশ কিছু পরবর্তী পদক্ষেপে সম্মতি জানায়, যা বাংলাদেশের উন্নয়ন অভিযাত্রায় জাতিসংঘকে গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হিসেবে আরও সুদৃঢ় করবে।
Leave a Reply