রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:০৪ অপরাহ্ন
নিয়ামুর রশিদ শিহাব,গলাচিপা(পটুয়াখালী)সংবাদদাতা:
প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় খাতা মূল্যায়ন করার ক্ষেত্রে স্বজন প্রীতির অভিযোগ উঠেছে প্রধান শিক্ষক(চলতি দায়িত্ব) মাওঃ সুলতান মাহমুদ এর বিরুদ্ধে। তার নিকট আত্মীয়কে অধিক নম্বর পাইয়ে দেয়ায় দূর্নীতি করেছে বলে দুই মেধাবী ছাত্রের পিতা অভিযোগ করেন। অভিযোগকারীরা হলেন গলাচিপা সরকারী কলেজের অধ্যক্ষ মো: ফোরকান কবির ও একই কলেজের দর্শন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোঃ সফি-উল-ইসলাম। দূর্নীতির সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে ন্যায্য সমাধান পাওয়ার লক্ষ্যে জেলা শিক্ষা অফিসারসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, অভিযোগকারী পুত্রদ্বয় বাংলাদেশ তুরস্ক ফ্রেন্ডশীপ স্কুল থেকে ২০১৮সালের প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করে। বিগত স্কুল পরীক্ষা গুলোতে তারা ১ম ও ২য় স্থান অধিকার করে আসছে। কিন্তু কম নম্বর পেয়ে বিগত পরীক্ষাগুলোতে ৩য় স্থান অধিকারী ছাত্রের(পিইসি রোল নং ৪৯৯৯) অভিভাবক পরীক্ষার খাতা মূল্যায়ণে প্রভাব বিস্তার করেছে। তার অভিভাবক ও নিকটাত্মীয়ের পরামর্শে লিখিত উত্তরপত্র মূল্যায়নের সময় চিহ্নিত করণের জন্য প্রতিটি উত্তর পত্রের শেষ পৃষ্ঠায় নিজ রোল ও নিয়ম বহির্ভূত সংকেত ব্যবহার করেছে।
তার আপন ফুফা পশ্চিম রতনদী তালতলী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক(চলতি দায়িত্ব) ও ইংরেজি বিষয়ের নিরীক্ষক মাওঃ সুলতান মাহমুদ সহজে খাতা চিহ্নিত করনের সুবিধার্থে প্যারাগ্রাফে নিজ পিতার নাম লিখেছে বলে পরীক্ষকদের মাধ্যমে জানা গেছে। এছাড়া প্রধান শিক্ষক ঐ দুই ছাত্রকে ইসলাম শিক্ষা বিষয়ে কম নম্বর দিয়ে তার নিকট আত্মীয়কে অধিক নম্বর পাইয়ে দেন। এতে সুবিধা প্রাপ্ত ছাত্র উপজেলায় ১ম স্থান অধিকারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বলে অভিযোগে উল্লেখ করেন। সুবিধাপ্রাপ্ত ফল প্রাপ্তি গলাচিপা সরকারী কলেজের ইংরেজি বিষয়ের প্রভাষক জালাল উদ্দিনের পুত্র বলে জানা গেছে। বিষয়টি সুষ্ঠু তদন্তদের মাধ্যমে প্রকৃত সত্য উদঘাটন করে সঠিক ভাবে ফলাফল প্রকাশের জোর দাবি জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক মাওঃ সুলতান মাহমুদ জানান,আমার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে তা মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে। এক সময় অভিযোগকারী ফোরকান হোসেনের স্ত্রী ও জালাল উদ্দিনের স্ত্রী সহ আমি একই বিদ্যালয়ে চাকরি করতাম।
গলাচিপা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার(ভারপ্রাপ্ত) মোঃ মিজানুর রহমান জানান, আমি অভিযোগ পত্রটির অনুলিপি পেয়েছি। জেলা শিক্ষা অফিসার বরাবর অভিযোগ পত্রটি দেয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে তিনিই সিদ্ধান্ত নিবেন।
Leave a Reply