সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:১৫ পূর্বাহ্ন
ডেস্ক রিপোর্ট ॥ ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের শীর্ষস্থানীয় ১২ জন নেতার বিরুদ্ধে ‘রেড নোটিশ’ জারির জন্য আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থা ইন্টারপোলের কাছে আবেদন করেছে বাংলাদেশ পুলিশের ন্যাশনাল সেন্ট্রাল ব্যুরো (এনসিবি)। বিদেশে পলাতক থাকা এই ১২ জনের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের মাধ্যমে ধরপাকড় নিশ্চিত করতে পৃথক তিনটি ধাপে আবেদন করা হয়েছে।
শনিবার (১৯ এপ্রিল) পুলিশের উচ্চপর্যায়ের সূত্র এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আবেদনে নাম অন্তর্ভুক্ত ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক, শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, ডিএসসিসির সাবেক মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস, প্রধানমন্ত্রীর প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত এবং সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ।
পুলিশ সদর দপ্তর সূত্র জানায়, আন্তর্জাতিক সংস্থা ইন্টারপোলে রেড নোটিশ জারি করার জন্য কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে দেশের আদালত, রাষ্ট্রপক্ষ (প্রসিকিউশন) অথবা তদন্তকারী সংস্থার কাছ থেকে সুপারিশপ্রাপ্ত হতে হয়। সে অনুযায়ীই এনসিবি শাখা ইন্টারপোলের কাছে আবেদন করে।
বিশেষ সূত্রের বরাত দিয়ে জানা যায়, আবেদনকৃত ব্যক্তিদের মধ্যে বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে আর্থিক অপরাধের অভিযোগ উত্থাপন করা হয়েছে। অন্যদিকে বাকি ১১ জনের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ ও সংশ্লিষ্ট তথ্য-উপাত্ত যুক্ত করে আবেদনপত্র প্রস্তুত করা হয়েছে।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটরের কার্যালয় গত কয়েক সপ্তাহ ধরে এসব অভিযোগ ও তথ্য যাচাই-বাছাইয়ের পর প্রয়োজনীয় নথিপত্রসহ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পুলিশ সদর দপ্তরে চিঠি পাঠায়। এরপরই গত ১০ এপ্রিল এনসিবির পক্ষ থেকে ইন্টারপোলে আনুষ্ঠানিকভাবে আবেদন করা হয়।
আন্তর্জাতিক আইন ও কূটনৈতিক নিয়মনীতি অনুসরণ করে ইন্টারপোল এই আবেদন পর্যালোচনা করে ‘রেড নোটিশ’ জারির সিদ্ধান্ত নেয়। রেড নোটিশ জারি হলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বিশ্বের যেকোনো দেশে শনাক্ত বা আটক হওয়ার ঝুঁকিতে থাকেন এবং সংশ্লিষ্ট দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের হেফাজতে নিয়ে বাংলাদেশের অনুরোধে প্রত্যর্পণের ব্যবস্থা নিতে পারে।
Leave a Reply