শনিবার, ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১১:০০ অপরাহ্ন
ডেস্ক রিপোর্ট ॥ ছয় সংস্কার কমিশনের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সরকার। শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে মন্ত্রিসভার ওয়েবসাইটে আনুষ্ঠানিকভাবে এসব প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। সংশ্লিষ্ট কমিশনগুলোর সুপারিশকৃত আশু করণীয় বিষয়ে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।
গত বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদের অস্থায়ী কার্যালয়ে এক বৈঠকে ছয় সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন প্রকাশের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা হয়। বৈঠকে প্রতিবেদনে উল্লেখিত আশু পদক্ষেপগুলো বাস্তবায়নের জন্য সরকারের করণীয় বিষয়েও বিস্তারিত আলোচনা হয়।
সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান অধ্যাপক আলী রীয়াজ, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. বদিউল আলম মজুমদার, পুলিশ সংস্কার কমিশনের প্রধান সফর রাজ হোসেন, দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. ইফতেখারুজ্জামান এবং জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
সংবিধান সংস্কার কমিশন দেশের শাসনতান্ত্রিক কাঠামো ও মৌলিক অধিকার সংরক্ষণে সংশোধনী ও সুপারিশ উত্থাপন করেছে। নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন একটি স্বাধীন ও নিরপেক্ষ নির্বাচনী পরিবেশ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে নির্দিষ্ট দিকনির্দেশনা দিয়েছে। পুলিশ সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দক্ষতা বৃদ্ধি ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।
দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে দুর্নীতিবিরোধী আইনের শক্তিশালীকরণ ও সংস্থাটির কার্যকারিতা বাড়ানোর সুপারিশ করা হয়েছে। অপরদিকে, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন সরকারি প্রশাসনের জবাবদিহিতা ও দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন কাঠামোগত পরিবর্তনের প্রস্তাব করেছে।
প্রতিবেদনগুলো জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে এবং মন্ত্রিসভার ওয়েবসাইট থেকে এগুলো ডাউনলোড করা যাবে। সরকার জানিয়েছে, এসব সংস্কার বাস্তবায়নের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোর সঙ্গে পরামর্শ করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সংস্কারের সুপারিশগুলো দ্রুত কার্যকর করতে একটি বিশেষ টাস্কফোর্স গঠন করা হবে। সংশ্লিষ্ট কমিশনগুলোর প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে গঠিত এই টাস্কফোর্স সুপারিশ বাস্তবায়নের অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ করবে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এসব সংস্কারের বাস্তবায়ন দেশের রাজনৈতিক, প্রশাসনিক ও আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থায় ইতিবাচক পরিবর্তন আনবে। তবে সুপারিশগুলো কত দ্রুত কার্যকর হবে এবং রাজনৈতিক বাস্তবতায় কতটা প্রভাব ফেলবে, সেটিই এখন দেখার বিষয়।
Leave a Reply