শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:৩৬ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বরিশাল বিভাগের ৬ জেলায় ২১টি আসনে ভোটগ্রহণের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। এখন শুধু ভোটগ্রহণের অপেক্ষা। বিষয়টি নিশ্চিত করে বরিশালের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দীন বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, প্রিসাইডিং কর্মকর্তাসহ ভোটগ্রহণের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবার নিয়োগ ও প্রশিক্ষণ কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে। বিভাগে মোট ২ হাজার ৮১৮টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ২৫০ কেন্দ্রে (দুর্গম হিসেবে চিহ্নিত) ব্যালট আগে সরবরাহ করা হবে। বাকিগুলোতে নির্দেশনা অনুযায়ী ভোটের দিন অর্থাৎ ৭ জানুয়ারি সকালে পাঠানো হবে।
আলাউদ্দীন বলেন, আমরা সুষ্ঠু নির্বাচন জনগণকে উপহার দিতে বদ্ধ পরিকর। সে লক্ষ্যে ভোটের দিন পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করা হচ্ছে। পুরো নির্বাচন প্রক্রিয়াকে ঘিরে ইতোমধ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের কার্যক্রমও চলমান রেখেছে।
আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বরিশাল বিভাগে ২১টি আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ৭৪ লাখ ২৩ হাজার ৫২২। যার মধ্যে ৩৭ লাখ ৭৪ হাজার ১৪৮ জন পুরুষ ও ৩৬ লাখ ৪৯ হাজার ৩১৭ নারী। হিজড়া ভোটার রয়েছে ৫৭ জন। আর এ ভোটারদের জন্য ২ হাজার ৮১৮টি ভোটকেন্দ্রে পুরুষদের জন্য ৮ হাজার ১১৬ ও নারীদের জন্য ৯ হাজার ১৮০টিসহ ১৭ হাজার ২৯৬টি কক্ষ প্রস্তুত করা হয়েছে। এ ছাড়া অস্থায়ী ভোট কক্ষের সংখ্যা রয়েছে ১ হাজার ৩২০টি।
আরো জানা যায়, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই ৬ জেলার ৬ জন জেলা প্রশাসককে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয় এবং বরিশাল সিটি করপোরেশন এলাকায় অতিরিক্ত ৩ জনসহ ৪৫ জন সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে বরিশাল জেলায় ১৬ জনসহ গোটা বিভাগে ৬১ জন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটকে নির্বাচনী এলাকায় আসনভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হয়। পাশাপাশি ২১ জন বিভিন্ন পদমর্যাদার বিচারকের সমন্বয়ে ইলেক্টোরাল ইনকুয়ারি কমিটি গঠন করা হয়।
প্রসঙ্গত: গোটা বিভাগে ২১টি বিভিন্ন দলের ৯৫ প্রার্থী ও স্বতন্ত্র ২৫ জন প্রার্থীসহ ১২০ জন প্রার্থী নির্বাচনের ভোটের মাঠে রয়েছেন। তবে জাতীয় পার্টির দুজন ও স্বতন্ত্র একজন প্রার্থী নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। এবার ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ বরিশাল বিভাগের ২১টি আসনেই প্রার্থী দিলেও শেষ পর্যন্ত সমমনাদের সাথে আসন ভাগাভাগিতে জাতীয় পার্টিকে ৪টি এবং ওয়ার্কার্স পার্টি ও জেপি (মঞ্জু)কে ১টি করে আসন ছেড়ে দেয়ায় তাদের নিজস্ব প্রার্থী রয়েছেন ১৪ জন। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহলের মতে, এবারের নির্বাচনে প্রধান বিরোধী দল না থাকলেও দক্ষিণাঞ্চলে আওয়ামী লীগের ১৪ প্রার্থীকেই দলীয় স্বতন্ত্র প্রার্থীদের কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বিতার সম্মুখিন হতে হচ্ছে। নিরুত্তাপ এ নির্বাচনে এবার দক্ষিণাঞ্চল জুড়ে ভোটারদের কেন্দ্রে নেয়া-ই বড় চ্যালেঞ্জ দলীয় স্বতন্ত্র প্রার্থীদের বলেও মনে করেন তারা।
Leave a Reply