রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৪৮ পূর্বাহ্ন
পটুয়াখালী প্রতিনিধি॥ পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় বাস শ্রমিকদের হামলা ও মারধরের শিকার হয়েছে এক পর্যটক পরিবার। এসময় ভিডিও করার অপরাধে মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে আছড়ে ভেঙে ফেলা হয়েছে।
শনিবার (১৬ জুলাই) বিকেল ৩টার দিকে তুলাতলী বাসস্ট্যান্ডে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এতে আহত হন পর্যটক মো. রুবেল, রিপন মাহমুদ ও মোসাম্মৎ হনুফা বেগম।
পুলিশ ও স্থানীয়দের সূত্রে জানা যায়, নরসিংদীর বাবুর হাট থেকে আসা রুবেল নামের এক ব্যবসায়ী তার পরিবারের আট সদস্যকে নিয়ে বরিশাল থেকে বাসে কুয়াকাটায় আসেন। বাসে দাঁড়িয়ে থাকা নিয়ে হেলপারের সঙ্গে তাদের কথা কাটাকাটি হয়। এসময় বাস স্টাফরা তাদের গালাগাল করেন। পরে কুয়াকাটায় পৌঁছে বাস থেকে নামার সময় বাস স্টাফরা তাদের ওপর হামলা চালায়। এসময় রেহাই পাননি ওই পর্যটক পরিবারের নারী সদস্যরাও। মারধরের একপর্যায়ে পর্যটক রুবেলের আড়াই ভরি ওজনের স্বর্ণের চেইন খোয়া যাওয়ার অভিযোগ করা হয়েছে।
হামলার শিকার হওয়া পর্যটক রুবেল জানান, তারা পারিবারিকভাবে শিশু সন্তানসহ ৮ জন বরিশাল থেকে কুয়াকাটার উদ্দেশ্যে ‘ছন্দা’ নামের বাসে বেলা ১১টার দিকে ওঠেন। পথিমধ্যে রুবেলের সঙ্গে থাকা তার শিশু সন্তান অসুস্থ হয়ে পড়লে তারা নির্ধারিত সিটে ওই শিশুকে শুইয়ে রেখে নিজে দাঁড়িয়ে থাকেন। এসময় বাসের হেলপার এসে দাঁড়িয়ে থাকলে একজনের বাড়তি ভাড়া গুনতে হবে বলে উচ্চবাচ্য করেন। এ ঘটনার কিছু অংশ ভিডিও করেন রুবেল এবং পাশের সিটে বসা পর্যটক লক্ষ্মীপুর থেকে কুয়াকাটায় ভ্রমণে আসা ওই বাসের যাত্রী রিপন মাহমুদ। মোবাইল ফোনে ভিডিও করায় হেলপার তাদের হুমকি দেন। পরে ভিডিও করার অপরাধে মার খায় পর্যটক রিপন মাহমুদ এবং তার মোবাইল ভেঙে ফেলা হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে মহিপুর থানার এসআই মোজাম্মেল গিয়ে বাসের চালক মো. কামাল ও সুপারভাইজার জামালসহ ওই পর্যটকদের থানায় ডেকে নেয়।
বাসচালক কামাল হামলার বিষয় অস্বীকার করে বলেন, ‘একটু কথা কাটাকাটি হয়েছে। মহিপুর থানার ওসি মো. আবুল খায়ের ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, পর্যটক পরিবারটি লিখিত অভিযোগ দিতে অস্বীকার করায় আইনগত পদক্ষেপ নেয়া যায়নি, তবে আলোচনা করে ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
Leave a Reply