শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫, ০৩:৪২ পূর্বাহ্ন
ভয়েস অব বরিশাল ডেস্ক॥ লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে এক কাজের মেয়েকে (গৃহকর্মী) ধর্ষণের অভিযোগে স্বামী দুলাল ও তার স্ত্রী পারভীনকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। বুধবার দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়।
একইদিন দুপুরে ৩ জনের নাম উল্লেখসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করেন ভুক্তভোগী কিশোরীর দাদি। মামলার পরই তাদের গ্রেফতার করে পুলিশ। এছাড়া ঐ কিশোরী গৃহকর্মীকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এর আগে, সোমবার (৭ মার্চ) রাতে রায়পুর পৌরসভার নতুনবাজারের খাজুরতলা গাংপার শ্বশানঘাট এলাকায় ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটে।
জানা গেছে, ধর্ষণের শিকার কিশোরীর ৬ বছর আগে বাবা মারা গেছেন। এরপর মা অন্য পুরুষের হাত ধরে চলে গেছেন। সেই থেকে ভুক্তভোগী কিশোরীসহ চার বোন দাদা-দাদির কাছে বড় হয়। দারিদ্রতার কারণে ঐ কিশোরী রায়পুর শহরে গৃহকর্মীর কাজ করতে গিয়ে গৃহকর্তার হাতে ধর্ষণের শিকার হয়।
পুলিশ জানায়, রায়পুরের ঝাউডুগি গ্রামের দালাল জাকির হোসেন ঐ কিশোরীকে ৮০ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেয় নারী ব্যবসায়ী দুলালের কাছে। বিক্রির রাতেই দুলাল-জাকিরসহ ৩-৪ জন ঐ কিশোরীকে ধর্ষণ করে। কিন্তু দুলাল চুক্তি অনুযায়ী টাকা কম দেওয়ায় মঙ্গলবার সকালে ঐ কিশোরিকে নিয়ে গ্রামে চলে যায় দালাল জাকির। এ ঘটনা জানতে পেরে বুধবার সকালে স্থানীয় দুই যুবক ঐ কিশোরী ও তার দাদিকে থানায় নিয়ে যান।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মংনেথোয়াই মারমা (সদর) বলেন, প্রাথমিকভাবে গণধর্ষনের সততা পেয়েছি। ভুক্তভোগী কিশোরীর দাদি ৬ জনকে আসামি করে মামলা করেছেন। ঐ কিশোরীকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্ত দুলাল ও তার স্ত্রী পারভিনকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
Leave a Reply