সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৩৪ পূর্বাহ্ন
দুমকি প্রতিনিধি॥ পটুয়াখালীর দুমকিতে ৩ কোটি টাকা ব্যয় করে সড়ক নির্মাণ করা হয়েছে ৬ মাস হলো। কিন্তু এরই মধ্যে পাকা সড়ক নদী গর্ভে বিলিন হয়ে যাচ্ছে। শুধু নদী গর্ভে বিলিনই নয়, পাংগাশিয়া নেছারিয়া মাদরাসা থেকে পুকুরজনা পর্যন্ত রাস্তার মধ্যে বড় বড় গর্ত হয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে আছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার পাংগাশিয়া ইউনিয়নের কচাবুনিয়া নদীর পশ্চিমপাড় দিয়ে তৈরি করা পাকা রাস্তা নেছারিয়া মাদরাসা থেকে পুকুরজানা বাজারের মাঝামাঝিতে অনেকটাই নদীতে ভেঙে পড়েছে, বাকি অংশেও ফাটল ধরেছে। স্থানীয়দের অভিযোগ উপজেলা প্রকৌশলীর উদাসীনতায় প্রকল্পে নদীর তীরে পাইলিং বা সাপোর্টিং না থাকায় সাড়ে ৩ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত নতুন সড়কটি ৬ মাসেই নদী গর্ভে বিলিন হচ্ছে। সড়কটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ার কারণে তেতুল বাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পাংগাশিয়া নেছারিয়া মাদরাসা, ধোপার হাট, হাজীর হাটসহ দুমকি উপজেলায় যাতায়তের জন্য তেতুল বাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দাদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
অন্যদিকে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যেতে সমস্যায় পড়েছে শিক্ষার্থীরা। রাস্তার পাশের সরদার, হাওলাদার ও বয়াতী বাড়ির ১০টি বসতঘরের বসবাসরত বাসিন্দারা আতঙ্কিত অবস্থায় বসবাস করছেন।
অটোড্রাইভার এছহাক ও মুছা হাওলাদার জানান, রাস্তাটির বিভিন্ন জায়গায় বড় বড় গর্ত হওয়ার কারণে নূন্যতম ৬০ জন অটোড্রাইভার যাতায়াত করতে পারছে না। প্রতি সপ্তাহে রয়েছে তাদের বিভিন্ন এনজিও থেকে ঋণের কিস্তি। দ্রুত রাস্তাটির সংস্কারের উপযোগী না করলে রিকশা, অটো, মাহেন্দ্রা, ভটভটি ড্রাইভাররা বিভিন্ন সমস্যার সম্মূখীন হবে।
সাবেক পাংগাশিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন সিকদার বলেন, ঠিকাদার তড়িগড়ি করে রাস্তাটির কার্পেটিং কাজ শেষ করলেও অনেক কাজে ত্রুটি রয়েছে। নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার, যথাযথ পরিমাপ ঠিক না রাখাসহ নানা অনিয়মের আশ্রয় নেওয়ায় কাজের গুণগতমান ঠিক নেই। তাছাড়া নদীর তীরে ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে পাইল-সাপোর্ট না থাকায় জোয়ারের স্রোতে নিচের মাটি সরে যাওয়ায় সড়ক ভেঙে যাচ্ছে।
নদীর পাশের রাস্তা হওয়ায় কালভার্টের প্রয়োজন থাকলেও প্রকল্পে কোনো কালভার্ট রাখেনি। এবিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী সাথে আলাপকালে তিনি বলেন, রাস্তাটি পানি উন্নয়ন বোর্ডের অধীনে থাকায় বিধিনিষেধের কারণে কালভার্ট করা সম্ভব হয়নি।
পাংগাশিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট গাজী নজরুল ইসলাম বলেন, উপজেলা প্রকৌশলীকে অবিহিত করা হয়েছে।
দুমকি উপজেলা প্রকৌশলী মো. আজিজুর রহমান জানান, সড়কের ভাঙন দ্রুত মেরামতের জন্য প্রকল্প পটুয়াখালী এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলীর দপ্তরে তথ্য প্রেরণ করা হয়েছে। যতদ্রুত সম্ভব রাস্তাটি সংস্কার করা হবে।
দুমকি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ আব্দুল্লাহ সাদীদ জানান, সড়কটি সরেজমিনে পরিদর্শন করা হয়েছে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।
Leave a Reply