বাকি না দেওয়ায় ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে মাথার খুলি ভাঙলেন সন্ত্রাসীরা Latest Update News of Bangladesh

শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫, ০২:১১ পূর্বাহ্ন

বিজ্ঞপ্তি :
Latest Update Bangla News 24/7 আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি ভয়েস অব বরিশালকে জানাতে ই-মেইল করুন- inbox.voiceofbarishal@gmail.com অথবা hmhalelbsl@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।*** প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে!! বরিশাল বিভাগের সমস্ত জেলা,উপজেলা,বরিশাল মহানগরীর ৩০টি ওয়ার্ড ও ক্যাম্পাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! ফোন: ০১৭৬৩৬৫৩২৮৩




বাকি না দেওয়ায় ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে মাথার খুলি ভাঙলেন সন্ত্রাসীরা

বাকি না দেওয়ায় ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে মাথার খুলি ভাঙলেন সন্ত্রাসীরা

বাকি না দেওয়ায় ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে মাথার খুলি ভাঙলেন সন্ত্রাসীরা




ভয়েস অব বরিশাল ডেস্ক॥ বাকি না দেওয়ায় ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে ব্যবসায়ী মো. সেলিমকে পিটিয়ে তার মাথার খুলি ভেঙে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। পরে তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। শুক্রবার (১৩ আগস্ট) রাত ৩টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

 

 

সেলিমের বাড়ি দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের নতুন বাক্তারচর এলাকায়। পাশের মোল্লারহাট বাজারে তার জ্বালানি তেলের দোকান রয়েছে।

 

 

জানা যায়, রানা রায়হান নামে এক কাস্টমারের কাছে সেলিম ডিজেল বিক্রির ১১ হাজার টাকা পাওনা ছিলেন। সেই টাকা না দিয়ে রানা আরো ৬৩ হাজার টাকার তেল বাকিতে নিতে চাইলে দোকানে থাকা সেলিমের ছোটভাই শরীফ ও বোনজামাই নূর মোহাম্মদ বাকিতে তেল দিতে অস্বীকৃতি জানান।

 

 

এতে ক্ষুব্ধ হয়ে গত ৩ জুন দুপুরে রানা রায়হানের নেতৃত্বে আব্বাস আলী, হাতিম মিয়া, রবিউল্ল্যাহ, জাহের আলী, শাহীন, সজিবসহ ১০-১২ জন লাঠিসোটা নিয়ে শরীফ ও নূর মোহাম্মদের ওপর হামলা চালায়। এ সময় বাড়িতে ছিলেন সেলিম। খবর পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে গেলে সন্ত্রাসীরা পিটিয়ে তার মাথার খুলি ভেঙে দেয়।

 

 

গুরুতর অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে কয়েক দফা মাথায় অস্ত্রোপচার করা হয়। অস্ত্রোপচারের সময় খুলির অনেকটা অংশ মাথা থেকে খুলে আলাদা করে রাখেন ডাক্তাররা। সেই খুলি এনে রাখা হয় সেলিমের বাড়ির ফ্রিজে।

 

 

সেলিমের স্ত্রী আকলিমা বেগম জানান, মাথার অপারেশনের পর খুলির কিছু অংশ ডাক্তাররা তাদের দেন ফ্রিজে রাখার জন্য। ডাক্তাররা জানিয়েছিলেন, অপারেশন সফল হলে ফ্রিজে রাখা খুলির অংশ মাথায় প্রতিস্থাপন করা হবে; কিন্তু সেটি আর হলো না। শুক্রবার রাত ৩টার দিকে তিনি মারা গেছেন। কথা বলার সময় আকলিমা বারবার মূর্ছা যাচ্ছিলেন।

 

 

এ সময় তিনি বলেন, বিনা অপরাধে ওরা আমার স্বামীকে হত্যা করেছে। তিন সন্তান (দুই মেয়ে ও এক ছেলে) নিয়ে এখন আমি কীভাবে চলবো।

 

 

জানা গেছে, ঘটনার পর স্বামীকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় একটি মামলা করেন আকলিমা। তার দায়ের করা মামলায় পুলিশ তিনজনকে গ্রেপ্তার করলেও পরে তারা আদালত থেকে জামিনে ছাড়া পেয়ে যান। হত্যাচেষ্টা মামলাটির প্রথম তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন তৎকালীণ জাজিরা পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মো. কায়সার।

 

 

নিহতের স্বজনদের অভিযোগ, প্রথম কর্মকর্তা তদন্তে গুরুত্ব দেননি। পরে তারা এ ব্যাপারে মৌখিকভাবে থানার ওসিকে জানালে তিনি তদন্ত কর্মকর্তা পরিবর্তন করেন।

 

 

বর্তমানে মামলাটির তদন্ত করছেন এসআই নাজমুল আলম। এ বিষয়ে তিনি বলেন, হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলাটি দায়ের করা হয়েছিল। যেহেতু আহত ব্যক্তি মারা গেছেন, তাই মামলাটি এখন হত্যা মামলায় রূপ নেবে। আগের ধারাগুলোর সঙ্গে ৩০২ ধারা যোগ হবে। এখন হত্যা মামলা হিসেবেই এটি তদন্ত করা হবে।

সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *










Facebook

© ভয়েস অব বরিশাল কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed BY: AMS IT BD