শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫, ০৫:৫৪ অপরাহ্ন
৩ বছরের শিশু নিয়ে বিচারের জন্য দ্বারে দ্বারে ঘুড়ছে.
আগৈলঝাড়া প্রতিনিধি:
বরিশালের আগৈলঝাড়ায় এক নরপিচাশ বহু বিবাহের হোতা, যৌতুক লোভী স্বামীর নির্যাতনে স্ত্রী শিখা বেগম ৩ বছরের শিশু কন্যা নিয়ে বিচারের জন্য দ্বারে দ্বারে ঘুড়ছে। নির্যাতিতা শিখা বেগমের সাংবাদিকদের কাছে দেয়া লিখিত অভিযোগ ও স্বীকার উক্তির মাধ্যমে জানাগেছে। আগৈলঝাড়া উপজেলার বাকাল গ্রামের মৃত্যু তাজেম হাওলাদারের মেয়ে শিখা বেগমের সাথে ৪ বছর পূর্বে একই উপজেলার পূর্ব সুজনকাঠী গ্রামের, ইউসুফ সরদারের পুত্র নরপিচাশ সোহাগ সরদারের সাথে বিবাহ হয়। বিবাহের পর থেকে শিখার উপর নেমে আসে নির্যাতনের নিষ্ঠুর খড়গ। প্রায়ই শিখাকে সোহাগ মারধর করে।
পিত্রালয় থেকে টাকা পয়সা এনে দিতে বলে। শিখার স্বজনরা সুখ শান্তির কথা ভেবে এ পর্যন্ত লক্ষাধীক টাকা সোহাগকে যৌতুক দেয়। তার পরেও থামেনি শিখার উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন। নির্যাতনের বর্ননা শিখা যা জানায়, তাতে মধ্য যোগীয় নিষ্ঠুরতাকেও হার মানায়। শিখা জানায় তাকে কয়েকবার হত্যা করার পদক্ষেপ নিলেও সে কৌশলে বেঁচে যায়। সর্বশেষ শিখাকে ফুঁসলিয়ে নিষ্ঠুর স্বামী সোহাগ ঢাকা নিয়ে যায়। ঢাকা গিয়ে সে জানতে পারে তার স্বামী সোহাগ পূর্বে ৪-৫ টি বিবাহ করেছিল।
ঐসব স্ত্রীদের পর্যাক্রমে অত্যাচার নিপিড়ন করে তাড়িয়ে দেয়। ঢাকায় শিখার স্বজনরা কেউ না থাকার কারণে তার উপর চলে কঠিন নির্যাতন। আর নির্যাতনের হাত থেকে বাঁচতে হলে সোহাগকে শিখার পিত্রালয় থেকে এনে দিতে হবে দেড় লক্ষ টাকা। এ টাকা দিতে শিখা অস্বীকার করায় তাকে মেরে ফেলার ষড়যন্ত্র করে হাত, পা বেধে বেধরক মারধর করা হয়। জীবনের ভয়ে শিখা পালিয়ে তার পিত্রালয়ে আশ্রয় নেয়। পিত্রালয়ে সোহাগ তার বাড়ির নিকট এক পড়শীকে পাঠায়। ঐ পড়শী শিখাকে বলে যে তুমি তোমার মা ভাইকে বল টাকা দিতে আমি মিমাংশা করে দিব। অসহায় শিখা তার ৩ বছরের শিশু কন্যা হাবিবাকে নিয়ে বিচারের আশায় দ্বারে দ্বারে ঘুড়ে বেড়াচ্ছে।
Leave a Reply