শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:৩৭ পূর্বাহ্ন
ভয়েস অব বরিশাল ডেস্ক॥ ঢাকার ধামরাইয়ে শত্রুতার জেরে অসামাজিক কার্যকলাপের অভিযোগ এনে এক গৃহবধূসহ দুজনকে সারারাত ঘরের বাইরে বেঁধে রাখার অভিযোগ উঠেছে এক গ্রামপুলিশের বিরুদ্ধে। পরে তাদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। শনিবার সকালে ভুক্তভোগী দুজনকেই পুলিশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। এর আগে শুক্রবার রাত ১১টার দিকে উপজেলার সুতিপাড়া ইউনিয়নের বেলিশ্বর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগীর স্বামী অধীর ঘোষ বলেন, বেলিশ্বর গ্রামের লালচানের সঙ্গে আমার দীর্ঘদিনের সম্পর্ক। সে আমার কাছে টাকা পাবে। সে টাকা নিতেই কাল সন্ধ্যার দিকে লালচান আমাকে ফোন দিয়ে তার পাওনা টাকা চায়। আমি এক বিয়েবাড়িতে ছিলাম। আমি দূরে থাকায় আমার স্ত্রীকে ফোন করে বলে দেই লালচান গেলে যেন তাকে টাকা ৪-৫ হাজার টাকা দিয়ে দেয়। পরে গভীর রাতে আমি জানতে পারি অসামাজিক কার্যকলাপের অভিযোগে আমার স্ত্রীসহ লালচানকে ঘরের বাইরে বেঁধে রাখা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, এসব মিথ্যা। আমি আমার স্ত্রীকে চিনি। এলাকার কেউ তাকে খারাপ বলতে পারবে না। ভুক্তভোগীর ভাই খুশি মহোন তাম্বলি জানান, গত সাত বছর ধরে আমার বোনজামাই ও বোন আমাদের বাড়িতেই থাকে। এর মধ্যে কয়েক বছর আগে সামান্য কথা নিয়ে তর্ক-বিতর্ক হয় স্বপন চৌকিদারের সঙ্গে। তারপর থেকেই আমার বোন ও বোনজামাইকে এখান থেকে তাড়ানোর বিভিন্ন পায়তারা করছে তারা। শত্রুতার জেরেই আমার বোনের নামে মিথ্যা বদনাম দিয়ে সারারাত বেঁধে রাখে স্বপন চৌকিদারসহ আরো কয়েকজন।
গ্রামপুলিশ স্বপন বলেন, ওই নারীর চরিত্র খারাপ। কয়েক বছর ধরেই লালচানের সঙ্গে তার সম্পর্ক আছে। গতকাল রাতেও লালচানকে এ ঘর থেকেই বের করি। পরে দুজনকেই বেঁধে রাখা হয়। আমি সারারাত পাহারা দেই। সকালে পুলিশ এসে দুজনকেই নিয়ে যায়।
ওই ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. মেহের আলী দেওয়ান বলেন, গভীর রাতে লালচানের বাবা-মা আমাকে ঘুম থেকে উঠিয়ে ঘটনাস্থলে নিয়ে আসে। আমি এসে দেখি এ শীতের মাঝে দুজনকেই বেঁধে রাখা হয়েছে। পরে আমি বাঁধন খুলতে বললেও আমার কথা কেউ শোনেনি। পরে সকালে পুলিশ এসে দুজনকেই থানায় নিয়ে গেছে।
স্থানীয়রা জানায়, লালচান ও ভুক্তভোগীর স্বামী অধীর ঘোষের সাথে দীর্ঘদিনের সম্পর্ক। গ্রামপুলিশ স্বপন তাদের এ সম্পর্ক মেনে না নিয়ে তাদের পেছনে পড়ে থাকে। শত্রুতার জেরেই স্বপন তাদের ঘর থেকে বাইরে এনে আটকে রাখে। ঘটনা গতকাল রাত ১১টার দিকে ঘটলেও গ্রামপুলিশ সকালে বিষয়টি থানায় জানয়। পরে পুলিশ তাদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
তারা বলেন, লালচান কখন অধীর ঘোষের বাড়িতে আসে পাওনা টাকা নেয়ার জন্য, স্বপন চৌকিদার তখন ওঁৎ পেতে থাকে।
ধামরাই থানার এসআই মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, ভুক্তভোগী দুইজনকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। তাদের নামে একটি মামলা হয়েছে। আসামিদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।
Leave a Reply