সোমবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৫, ০১:১৪ পূর্বাহ্ন
ভয়েস অব বরিশাল ডেস্ক॥ হত্যার হুমকি দিয়ে চাঁদা দাবির অভিযোগে যাত্রাবাড়ী থানার চার পুলিশসহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নিভানা খায়ের জেসির আদালতে মো. আলম হাওলাদার নামের এক ব্যক্তি মামলাটি দায়ের করেন।
আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নির্দেশ দেন। আসামিরা হলেন যাত্রাবাড়ী থানার এসআই মো. আক্তার, এসআই আব্বাস উদ্দিন, এএসআই ওলিউল ইসলাম, কনস্টেবল মো. রিয়াজুল এবং জনৈক আয়েশা আক্তার বেলি।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, গত ১২ ডিসেম্বর রাত ১টার দিকে বাদী আলম হাওলাদারের ভাড়া করা বাড়ির গেটে জোর ধাক্কা ও লাথি মারে। এসময় আলম হাওলাদারের স্ত্রী রেশমা বেগম ঘরের ভেতর থেকে এসে আসামিদের পরিচয় জিজ্ঞাসা করলে, তারা আইনের লোক বলে জানান। এই কথা শুনে রেশমা ঘরের দরজা খুলে দেওয়ার পর আসামিরা তাকে ধাক্কা দিয়ে ঘরের মেঝেতে ফেলে দেয়।
এসময় আসামিরা আলম হাওলাদারকে খুঁজতে থাকে। তখন আলম হাওলাদারকে না পেয়ে ঘরের মালামাল তছনছ করে এবং এস আই আক্তার ওয়ারড্রব খুলে জমি বিক্রির দুই লাখ টাকা পকেটে ভরে নেন। আর আলম হাওলাদার ও তার স্ত্রী রেশমাকে গালাগালি করতে থাকে। তখন রেশমা প্রতিবাদ করলে এসআই আক্তার রেশমাকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেয়। এএসআই ওলিউল ইসলাম রেশমার হাত ধরে টানাহেঁচড়া করে এবং এসআই আব্বাস অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে। এরপর রেশমার ফোন দিয়ে এসআই আক্তার তার স্বামী আলম হাওলাদারকে ফোন দেন। তখন আলম হাওলাদার পরিচয় এবং কোন থানা এসেছেন জানতে চাইলে, এসআই আক্তার বলে তোকে পাইলে দেখাতাম আমরা কোন থানা থেকে এসেছি।
তখন আক্তার বলে, ঢাকায় ফিরে এসে ৫ লাখ টাকা দিবি, আর যদি না দিস তাহলে তোকে ক্রস ফায়ার দিয়ে নদীতে ফেলে দেব। পরে মামলার বাদী আলম হাওলাদার বাসার সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ দেখেন। এরপর আসামিরা যাত্রাবাড়ী থানার লোক এবং অপর এক আসামি আয়েশা আক্তার বেলি তার ভাবি বলে পরিচয় জানতে পারে। এখনো আসামিরা বিভিন্ন মোবাইলের মাধ্যমে ফোন দিয়ে পাঁচ লাখ টাকা দাবি করছে। আর টাকা না দিলে ক্রসফায়ার দিয়ে নদীতে ফেলে দেবে বলে হুমকি দেন।
Leave a Reply