বুধবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৫৫ পূর্বাহ্ন
তানজিল জামান জয়,কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি॥ পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার ধানখালীতে ১৩২০ মেগাওয়াট কোল ফায়ার্ড থার্মল পওয়ার প্লান্ট প্রকল্পের বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠান আরপিসিএল নরিনকো ইন্টারন্যাশনাল পাওয়ার লিমিটেড এর উদ্যোগে প্রকল্পের আগ্রগতি ও অবহিত করন সভা অনুষ্ঠিত হয়ছে।
বুধবার বেলা ১১ টায় আরপিসিএল প্রকল্পের সভা কক্ষে ঢাকা ও স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে বিদ্যুৎ প্রকল্পের অগ্রগতি ও বিভিন্ন দিক তুলে ধরা হয়েছে। প্রকল্প পরিচালক মো. তৌফিক ইসলামের সঞ্চলনায় প্রকল্পের অগ্রগতিসহ বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন আরপিসির নির্বাহী পরিচালক প্রকৌশলী মো. সেলিম ভুইয়া। অন্যণ্যানের মধ্যে বক্তব্য রাখেন. প্রকল্প পরিচালক মি. মেং ,প্রকল্পের ইডি মি. কিউ ইয়ে, মি. ডল ফিউ,মো. আব্দুস সবুর প্রমুখ।
আরপিসির নির্বাহী পরিচালক প্রকৌশলী মো. সেলিম ভুইয়া বলেন, প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য ভূমি অধিগ্রহন সবচেয়ে জটিল ও সময় সাপেক্ষ বিধায় মূল প্রকল্প শুরুর আগেই আরপিসিএল কর্তৃক ভূমি অধিগ্রহন সহ ভূমি সুরক্ষা এবং বাস্তুচ্যুত ভূমি মালিকদের পুর্নবাসনের লক্ষে আরপিসিএল কর্তৃক মূল প্রকল্পের সহযোগী প্রকল্প হিসেবে “পটুয়াখালী ১৩২০ (২দ্ধ৬৬০) মেঃওঃ কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের জন্য ভূমি অধিগ্রহণ, ভূমি উন্নয়ন এবং পুনর্বাসন” শীর্ষক প্রকল্প গ্রহণ করেছে এ প্রকল্পের আওতায় ইতিমধ্যে ৫টি ধাপে মোট ৯১৫.৭৪ একর ভূমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে ।
যা গত ডিসেম্বর ২০১৯ সম্পন্ন হয়েছে এবং ভূমি অধিগ্রহণের পরে ভূমি সুরক্ষাসহ ভূমি উন্নয়ন কাজ ৮০% শেষ হয়েছে, তবে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য প্রয়োজনীয় ভূমি উন্নয়ন সম্পন্ন হয়েছে। ভূমি অধিগ্রহনের ফলে বাস্তুচ্যুত পরিবারদের পুনর্বাসনের জন্য ৩০ একর ভূমিতে দৃষ্টিনন্দন আবাসিক এলাকা গড়ে তোলা হয়েছে যাতে ২৮১ টি বাড়ি, মসজিদ, স্কুল, ক্লিনিক, দোকান, কমিউনিটি সেন্টার, সাইক্লোন সেন্টার, খেলার মাঠ, কররস্থান, পুকুর ইত্যাদি নির্মাণ কাজ শেষ করে ফিনিশিং কাজ চলছে। অচিরেই ক্ষতিগ্রস্থদের কাছে বাড়ীসমূহ হস্তান্তর করা হবে।
তিনি আরও বলেন, প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য লক্ষে গত র্ফেরুয়ারি ২০১৯ তারিখ বিপিডিবি এবং আরএনপিএল এর মধ্যে বিদ্যুৎ ক্রয়ের জন্য এবং ৮ এপ্রিল ২০১৯ খ্রিঃ তারিখ বিদ্যুৎ বিভাগ, পিজিসিবি আই আরএনপিএল এর মধ্যে চুকক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।
বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের লক্ষে আন্তর্জাতিক দরপত্র আহবান করা হয়। দরপত্র মূল্যায়ন ও সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়/বিভাগের ভেটিং শেষে বিদ্যুৎ বিভাগের অনুমোদনক্রমে নির্বাচিত ইপিসি ঠিকাদারের সাথে গত ০৬মার্চ ২০১৯ চুক্তি সম্পন্ন হয়। ইপিসি ঠিকাদার গত ৩১ আগষ্ট ২০১৯ তাদের কাজ শুরু করেছে। প্রকল্পের নির্মাণ কাজ চলমান আছে।
বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির প্রদান সরঞ্জাম যথা বয়লার, স্টিম টারবাইন এবং জেনারেটর নির্মানের জন্য ঠিকাদার কর্তৃক নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে কার্যাদেশ প্রদান করা হয়েছে, যার অধিকাংশ ম্যানুফাকচারিং শেষ পর্যায়ে এবং আগামী মে, ২০২১ হতে পরবর্তী ৮ মাসের মধ্যে প্রধান ইকুইপমেন্ট সমূহের কারখানা পরিদর্শন সম্পন্ন হবে।
বর্তমানে পাইলিংসহ মালামাল হ্যান্ডলিং জেটি, একসেস রোডসহ প্রকল্পের অফিস ও আবাসন সুবিধাদি এর নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। ডিসেম্বর, ২০২০ পর্যন্ত প্রকল্পের ২৬.৫৩% কাজ সম্পন্ন হয়েছে। বিউবোর সাথে স্বাক্ষরিত পিপিএ অনুযায়ী বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির প্রথম ইউনিট (৬৬০ মেঃ ওঃ) আগামী ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ এ এবং দ্বিতীয় ইউনিট (৬৬০ মেঃ ওঃ) আগামী আগষ্ট, ২০২৩ এ চালুর পরিকল্পনা রয়েছে এবং এ লক্ষে যাবতীয় কর্মকান্ড চলমান রয়েছে। করোনা মহামারীর কারণে প্রকল্প কর্মকান্ড কিছুটা বাধাগ্রস্থ হলেও প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যবিধি মেনে নির্মাণ কাজ অব্যাহত রয়েছে। যথাসময়ে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি চালুর লক্ষ্যে পরিকল্পনা অনুযায়ী নির্মাণ কাজ এগিয়ে চলছে।
Leave a Reply