রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:২৪ পূর্বাহ্ন
অনলাইন ডেস্ক// পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজের ৫তলা বিশিস্ট ছাত্রাবাস নির্মানকারী ঠিকাদার মো. মিজানুর রহমান খানের কাছে দাবিকৃত ২০ লাখ টাকা চাঁদা না পেয়ে তার কর্মচারীদের বেদম মারধর করে প্রায় ৫ লাখ টাকা ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. হাসান সিকদারের বিরুদ্ধে। আজ সোমবার দুপুর আড়াইটার দিকে পৌর শহরের কালীকাপুর এলাকায় নির্মানাধীন মেডিকেল কলেজের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের সাইট অফিসে হামলা চালিয়ে ভাংচুর এবং ম্যানেজার সহ দুইজনকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ ঠিকাদার মিজানের। এ ঘটনায় মামলা দায়ের সহ আইনগত পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানিয়েছেন তিনি।
ঠিকাদার মো. মিজানুর রহমান খান জানান, প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার ভিত্তিতে প্রকল্পের অধীনে ১২ কোটি টাকা ব্যয়ে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজের ছাত্রাবাসের নির্মানের দায়িত্ব পায় মেসার্স খান বিল্ডার্স। তিনি ওই প্রতিষ্ঠানের পক্ষে ৪ মাস আগে ঠিকাদার নিযুক্ত হয়ে সরেজমিন কাজ শুরু করেন। বর্তমানে সেখানে পাইলের কাজ চলছে। কাজ শুরুর পর থেকেই জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হাসান সিকদার তার কাছে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না দেওয়ায় ছাত্রলীগ সভাপতি হাসান তাকে বিভিন্ন সময় লোক মারফত দেখা করতে বলে এবং দেখা না করলে সাইট বন্ধ করে দেওয়ার হুশিয়ারী দেয়। তার সাথে দেখা না করায় এবং দাবীকৃত চাঁদা না দেওয়ায় আজ বেলা আড়াইটার দিকে হাসান সিকদার ১৫/২০ সহযোগী নিয়ে নির্মানাধীন সাইটে গিয়ে তাকে (মিজান) খুঁজতে থাকে। তাকে না পেয়ে তারা সাইড ম্যানেজার মো. কবির হোসেন ও কর্মচারী মো. রাজিবকে বেদম মারধর করে এবং অফিসের আসবাবপত্র ও গ্লাস ব্যাপক ভাংচুর করে। এ সময় অফিসে শ্রমিকদের মজুরী বাবদ রাখা ৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা হাসান সিকদার ছিনিয়ে নেয় বলে অভিযোগ করেন ঠিকাদার মিজান। ঘটনার পরপরই তিনি মুঠোফোনে বিষয়টি পটুয়াখালী সদর থানার ওসি এবং জেলা পুলিশ সুপারকে অবহিত করেছেন বলে জানান। এ ঘটনায় থানায় মামলা করার কথা বলেন তিনি।
অভিযোগ অস্বীকার করে পটুয়াখালী জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. হাসান সিকদার বলেন, তিনি এই ঘটনা সম্পর্কে কিছুই জানেন না। কেন তার নামে অভিযোগ করা হয়েছে তা তার কাছে বোধগম্য নয়। কে বা কারা হামলা চালিয়েছে তাও তিনি জানেন না। তিনি সংশ্লিস্ট ঠিকাদারের মুঠোফোন নম্বর সংগ্রহ করে এ বিষয়ে কথা বলবেন বলে জানান।
পটুয়াখালী সদর থানার ওসি মোস্তফিজুর রহমান জানান, ঠিকাদার মিজানুর রহমান মুঠোফোনে তার সাইট অফিসে হামলা-ভাংচুরের অভিযোগ জানিয়েছেন। তিনি তাকে লিখিত অভিযোগ দিতে বলেছেন। সন্ধ্যা পর্যন্ত কোন লিখিত অভিযোগ পাননি। এ ঘটনায় অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেন ওসি মোস্তাফিজুর রহমান।
Leave a Reply