সোমবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৫, ০১:৫৫ অপরাহ্ন
ভয়েস অব বরিশাল ডেস্ক॥ ঠাকুরগাঁওয়ে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় বিধবা ভাতার কার্ড করে দেওয়ার কথা বলেন এক বিধবা নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে রফিকুল ইসলাম নামে এক ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে। ধর্ষণে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়া ওই নারীর পেটের সন্তান গর্ভপাতের অভিযোগও তার বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার ( ২২ অক্টোবর) ঠাকুরগাঁও বিজ্ঞ নারী শিশু জেলা জজ আদালতে ওই নারীর পিতা বাদী হয়ে ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন।
বাদীপক্ষের আইনজীবি এ্যাড. আবেদুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বিজ্ঞ নারী শিশু জেলা জজ আদালতের বিচারক মামলাটি স্থানীয় থানার ওসিকে নথিভুক্ত করে আসামি গ্রেপ্তারের নির্দেশনা প্রদান করেছেন।
মামলার আসামি রফিকুল ইসলাম বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ১নং পাড়িয়া ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের বর্তমান ইউপি সদস্য ও পাড়িয়া গ্রামের মৃত আব্দুল হাকিমের ছেলে।
মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ৪ মাস আগে বিধবা ও ভিজিডির কার্ড করে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন সময়ে একাধিকবার ওই নারীকে ধর্ষণ করে ইউপি সদস্য রফিকুল। পরে ওই নারী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে গত ১৮ অক্টোবর ঠাকুরগাঁওয়ের একটি বেসরকারি ক্লিনিকে শিশুটির গর্ভপাত ঘটানো হয়।
মামলার বাদী জানান, গোপনে গর্ভপাতের পর পেটের ব্যথা ও রক্তপাত বন্ধ না হওয়ায় গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে ওই নারীকে ২০ অক্টোবর বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করানো হয়। দুইদিন চিকিৎসা গ্রহণের পর রক্তক্ষরণ বন্ধ না হলে আল্ট্রসনোগ্রাম করান চিকিৎসক। আল্ট্রসনোগ্রাম রিপোর্টে দেখা যায়, ওই নারীর পেটে গর্ভপাত ঘটানো শিশুর অংশ বিশেষ রয়ে গেছে।
বালিয়াডাঙ্গী হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, উন্নত চিকিৎসার জন্য ওই নারীকে ২১ অক্টোবর ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. রাকিবুল ইসলাম জানান, ওই নারীকে চিকিৎসা প্রদান করা হয়েছে। তিনি এখন সুস্থ ও আশঙ্কামুক্ত।
পাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ার্যান এ্যাড. জিল্লুর রহমান বলেন, মামলা হয়েছে শুনেছি। পুলিশ তদন্ত করবে। আইনী প্রক্রিয়ায় অপরাধ প্রমাণিত হলে শাস্তি হবে, আইনের বাইরে কিছু বলার সুযোগ নেই।
মামলার আসামি ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলামের সাথে একাধিকবার যোগাযাগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
বালিয়াডাঙ্গী থানার ওসি হাবিবুল হক প্রধান জানান, পূজামণ্ডপ পরিদর্শনে বাইরে আছি। মামলার নথি আমরা এখনও পায়নি।
Leave a Reply