বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৩২ পূর্বাহ্ন
ভয়েস অব বরিশাল ডেস্ক॥ সোমবার দিবাগত রাত ১২টা ৪৫ মিনিটে সাবেক ডাকসু ভিপি নুরুল হক নুরকে ছেড়ে দেয়া হয়। মুক্তির পরে ভিপি নূর বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করছিলাম কিন্তু হঠাৎ পুলিশ কেন আমাদের ওপর হামলা করেছে সেটা বুঝতে পারিনি। রড, কাঠ এসব দিয়ে ফিল্মি স্টাইলে আমাদের উপর হামলা চালানো হয়।
তিনি বলেন, আমরা বিভিন্ন সময় হামলা-মামলার শিকার হয় কিন্তু দেশে যা ঘটে তাতে দেখা যায় রাষ্ট্রের কোনো অঙ্গের সাথে কোনো অঙ্গের মিল নাই। একারণেই দেখা যায় একজন মারে, একজন গ্রেফতার করে আরেকজন ছাড়ে এটাই চলতেছে। আমি আগেও বলছি এদেশে বিচার নাই, আইনের শাসন নাই, গণতন্ত্র নাই। সুতরাং আমার বিচার হচ্ছে জনগনের কাছে।
আমরাতো কোনো অপরাধী না, আমরা ছাত্রনেতা। আমরা মাইর খেলাম, শার্ট ছিঁড়ে গেলো। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালন করে চলে যাচ্ছিলাম। কোনো প্রকার উস্কানি ছাড়া পুলিশ কেনো আক্রমণ করলেন তা বুঝতে পারিনি। মোট কথা আপনারা আমাদের জন্য দোয়া করবেন, আমাদের কয়েকজনকে এখন চিকিৎসা দিতে হবে। আসলে আমরা বুঝতে পারিনি কি কারণে আমাদের ধরে আনা হলো এবং কি কারণে ছেড়ে দেয়া হলো। যেটা মনে হচ্ছে মানুষকে ভয়ভীতি দেখানোর জন্য এরকম গ্রেফতার করা হয়েছে।
ডিবি কার্যালয়ে নির্যাতন করা হয়েছে কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে নূর বলেন, ডিবি কার্যালয়ে যারা ছিলেন তারা খুব ভালো ব্যবহার করেছেন কিন্তু আধামরাতো আমাদের রাস্তা থেকেই করছে। রাস্তায় আনার সময়ইতো আমাকে মারছে। সিনেমার স্টাইলে জাম্প করে আমাকে কাঠ দিয়ে বেধড়ক মারা হয়েছে। আমি বলেছি আমি এখান থেকে আমার নেতাকর্মীদের রেখে পালাবো না। তখন পেছন থেকে পুলিশ বলছিল ওই যে নুর যাচ্ছে ওর উপরে হামলা কর।
এ দিকে ডাকসু ভিপি নুরুলহক নুরসহ নেতাকর্মীদের উপর পুলিশের হামলা ও গ্রেফতারের প্রতিবাদে মঙ্গলবার সকাল ১১টায় একযোগে সারাদেশে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশের ডাক দিয়েছে ছাত্র অধিকার পরিষদ।
প্রসঙ্গত, সোমবার রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের সদ্য সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরকে আটকের পর তার মুক্তি নিয়ে বিভ্রান্তি দেখা দেয়।
সোমবার রাতে ধর্ষণের অভিযোগে মামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ থেকে নূরসহ সাতজনকে আটক করে পুলিশ।
পুলিশের কাজে বাধা দেয়া এবং পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে শাহবাগ থেকে তাদের আটক করা হয়। এর ঘণ্টা খানেকের মধ্যেই তাকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে বলে বিভিন্ন সূত্রে খবর এলেও বিষয়টি নিয়ে বিভ্রান্তি দেখা দেয়।
ছাত্র অধিকার পরিষদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা বলেন, ভিপি নুরসহ আমাদের কয়েকজন সহযোদ্ধার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক ধর্ষণ মামলার প্রতিবাদে আমরা বিক্ষোভ মিছিল করছিলাম।
বিক্ষোভ মিছিলের শেষের দিকে শাহবাগ থেকে পুলিশ ভিপি নুরকে আটক করে। এ সময় পুলিশের অতর্কিত আক্রমণে নুরকে বাঁচাতে গিয়ে আমাদের অনেকেই আহত হয়েছেন। আমি নিজেও আহত হয়েছি।
এর আগে রোববার নুরসহ কোটা সংস্কার আন্দোলনের ৬ নেতার বিরুদ্ধে মামলা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী।
মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী হাসান আল মামুনকে। ধর্ষণে সহযোগী হিসেবে ভিপি নুরকে করা হয়েছে ৩ নম্বর আসামি।
গত ৩ জানুয়ারি ধর্ষণ এবং এতে সহযোগিতার অভিযোগ এনে লালবাগ থানায় তাদের নামে এ মামলা করা হয়।
Leave a Reply