মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৫, ০৫:১১ অপরাহ্ন
আহমেদ জামিল, সিলেট॥ ১৯১৯ সালের ৫ নভেম্বর তিনদিনের সফরে সিলেট এসেছিলেন বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। কবিগুরুর আগমণের একশ বছর পূর্তিতে গত বছর বেশ ঘটা করে রবীন্দ্রনাথ স্মরণোৎসব উদযাপন করা হয়। ওইদিন সিলেটের ঐতিহ্যবাহী কিন ব্রিজের নিচে স্থাপন করা হয় রবীন্দ্রনাথের ম্যুরাল।
বছর গড়ানোর আগেই অবহেলার ছাপ পড়েছে ম্যুরালে। সাত দিনব্যাপী উৎসবে কবিগুরুর ম্যুরালের বেশ গুরুত্ব থাকলেও বছরের বাকি সময় তা পরিণত হয় মাদকসেবী ও টোকাইদের নিরাপদ আস্তানায়। এ সব কারণে হতাশ হয়ে ফিরে যান ম্যুরাল দেখতে আসা রবীন্দ্রপ্রেমীরা।
কবিগুরুর স্মৃতি বিজড়িত কিন ব্রিজের নিচে আলী আমজাদের ঘড়ির পাশেই স্থাপন করা হয় বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নান্দনিক এ ম্যুরাল। এটি উদ্বোধন করেন রবীন্দ্রনাথ স্মরণোৎসবের আয়োজক কমিটির আহবায়ক সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত। কিন ব্রিজের নিচে অবস্থানের কারণে অনেকটা চোখের আড়ালে পড়ে আছে ম্যুরালটি। দিনের আলোয় লোকজন কম দেখা গেলেও রাতের আঁধারে ম্যুরালের আশপাশ ও মূল স্তম্ভে বসে মাদকসেবীদের আসর।
সম্মিলিত নাট্য পরিষদ সিলেটের সাধারণ সম্পাদক রজত কান্তি গুপ্ত জানান, সুরমা নদীর তীর, কিন ব্রিজ ও আলী আমজাদের ঘড়ি কবিগুরুর স্মৃতি বিজড়িত স্থান হওয়ায় এখানেই ম্যুরাল স্থাপনের তাৎপর্য ছিল। সে আলোকেই ম্যূরালটি স্থাপন করা হয়েছে। কিন্তু এলাকাটি দীর্ঘদিন ধরে মাদকসেবী ও টোকাইদের আস্তানায় পরিণত হওয়ায় ম্যুরালের পাশপাশের পরিবেশ নষ্ট হয়ে গেছে। যা খুবই হতাশাজনক। এ বিষয়ে সিটি কর্পোরেশন ও পুলিশ বিভাগের আরো সচেতন হওয়া প্রয়োজন।
সম্মিলিত নাট্যপরিষদ সিলেটের সভাপতি মিশফাক আহমদ মিশু জানান, এখানে ম্যুরাল স্থাপন নিয়ে অনেক পরিকল্পনা ছিল। সারদা হলসহ পুরো এলাকায় ফুলের বাগান করা হবে। কিন্তু করোনার কারণে সবকিছু পিছিয়ে গেছে। সিটি কর্পোরেশনকে বর্তমান অবস্থা জানানো হয়েছে। আশা করি শিগগিরই ম্যুরালটি সংরক্ষণের কাজ শুরু হবে।
সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বিধায়ক রায় চৌধুরী জানান, কিন ব্রিজের নিচের অবস্থা দীর্ঘদিন ধরে বেহাল। এখান থেকে মাদকসেবীদের উচ্ছেদে ব্যবস্থা নেয়া হবে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ম্যুরাল পরিচ্ছন্ন ও অক্ষত রাখতে সিসিকের পক্ষ থেকে পদক্ষেপ নেয়া হবে।
Leave a Reply