রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৩৮ পূর্বাহ্ন
ভয়েস অব বরিশাল ডেস্ক॥ নন্দিত কৌতুক অভিনেতা দিলদারের কথা মনে আছে কি? একটা সময় ছিল যখন, কেউ কাউকে হাসালেই তাকে ‘দিলদার’ উপাধি দেয়া হতো। বলা চলে প্রবাদে পরিণত হয়েছিলেন এই অভিনেতা। অনেকদিন হলো তিনি আর বেঁচে নেই। তাকে আর মনেও পড়ে না তেমন করে। তাই নিরবেই চলে যায় এই অভিনেতার মৃত্যুদিন। আজ ১৩ জুলাই দিলদারের ১৭তম মৃত্যুবার্ষিকী। ২০০৩ সালের এই দিনে ৫৮ বছর বয়সে তিনি জীবনের মায়া কাটিয়ে চিরদিনের মতো পৃথিবী ছেড়ে চলে যান।
দেখতে দেখতে কেটে গেল ১৭টি বছর। মুছে গেছেন তিনি সবখান থেকে। নতুন প্রজন্মের দর্শকও তাকে চেনেন না খুব একটা। তবে, দিলদার থেকে গেছেন অসংখ্য চলচ্চিত্রে তার দুর্দান্ত অভিনয়ে; কৌতুক অভিনেতার কিংবদন্তি হয়ে। ১৯৪৫ সালের ১৩ জানুয়ারি চাঁদপুরে জন্মগ্রহণ করেন দিলদার। তিনি এসএসসি পাস করার পর পড়াশোনার ইতি টানেন। ২০০৩ সালের ১৩ জুলাই যদি ৫৮ বছর বয়সে এ পৃথিবী ছেড়ে তিনি চলে না যেতেন, তাহলে হয়তো আজও উপহার দিতেন নতুন কোনো হাস্য রসাত্মক চলচ্চিত্র।
১৯৭২ সালে ‘কেন এমন হয়’ নামের চলচ্চিত্র দিয়ে অভিনয় জীবন শুরু করেন দিলদার। আর পেছনে ফিরে তাকাননি তিনি। অভিনয় করেছেন ‘বেদের মেয়ে জোসনা’ ‘বিক্ষোভ’, ‘অন্তরে অন্তরে’, ‘কন্যাদান’, ‘চাওয়া থেকে পাওয়া’, ‘সুন্দর আলীর জীবন সংসার’, ‘স্বপ্নের নায়ক’, ‘আনন্দ অশ্রু’, ‘শান্ত কেন মাস্তান’সহ অসংখ্য জনপ্রিয় সব চলচ্চিত্রে।
দিলদারের জনপ্রিয়তা এতটাই তুঙ্গে ছিল যে, তাকে নায়ক করে নির্মাণ করা হয়েছিল ‘আব্দুল্লাহ’ নামে একটি চলচ্চিত্র। নূতনের বিপরীতে এই ছবিতে বাজিমাত করেছিলেন তিনি। দারুণ জনপ্রিয়তা পেয়েছিল ছবিতে ঠাঁই পাওয়া গানগুলো।
সেরা কৌতুক অভিনেতা হিসেবে ২০০৩ সালে ‘তুমি শুধু আমার’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের সুবাদে তিনি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও লাভ করেন। জীবনভর অভিনয় করে যে বছর সেরার স্বীকৃতি পেলেন সে বছরই তিনি দেশ বিদেশে বাংলা ছবির কোটি কোটি দর্শককে শোক সাগরে ভাসিয়ে চলে গেলেন আর না ফেরার দেশে। তার মৃত্যুর পর আরো অনেক কৌতুক অভিনেতাই এসেছেন, আবার সময়ের স্রোতে হারিয়েও গেছেন। কিন্তু কেউই দিলদারের অভাব পূরণ করতে পারেননি।
Leave a Reply