বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ০৭:১৩ অপরাহ্ন
ভয়েস অব বরিশাল ডেস্ক॥ চট্টগ্রাম মহানগরীর কোতোয়ালী থানার সিআরবি এলাকায় মালেকা বেগম নামের এক নারীকে ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে হত্যা করা হয়েছে। এই ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃত দুই আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়ে হত্যাকান্ডে দায় স্বীকার করেছে। হত্যাকান্ডে ঘটনায় ওই নারীর মোবাইল ফোন সেট খুনিদের কাছ থেকে ক্রয় করার অভিযোগে আরো একজন গ্রেপ্তার হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, ভোলা চরফ্যাশন থানার মিয়া বাজার এলাকার মো. লোকমানের ছেলে মো. রুবেল প্রকাশ ভোলাইয়া (২৭), চাঁদপুর জেলার কচুয়া থানার ছাচার বাড়ি গ্রামের মো. রজিমের ছেলে মো. সুমন (২০) ও চট্টগ্রামের রাউজান থানার আবুরখিল এলাকার মৃত মন্টু বড়ুয়ার ছেলে মাইকেল বড়ুয়া (৩২)। তাদের মধ্যে মাইকেল বড়ুয়া ছিনতাই হওয়া মোবাইল ফোন ক্রয় করার অপরাধে গ্রেপ্তার হয়েছেন। তিন আসামিই নগরীতে বাস করেন।
কোতোয়ালী থানা পুলিশ ক্লুলেস এই হত্যাকান্ডের রহস্য উম্মোচনের পর বৃহস্পতিবার দুপুরে গণমাধ্যমে এসব তথ্য জানিয়েছে। হত্যা রহস্য উম্মোচনের তথ্য জানিয়ে মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) এস এম মেহেদী হাছান।
পুলিশের ওই কর্মকর্তা জানান, মালেকা বেগমের স্বামী আবুল হোসেন ফলমন্ডিতে শ্রমিক হিসেবে কাজ করেন। ঘটনার আগের দিন স্বামী-স্ত্রী ঝগড়া করে যে যার মতো রাগ করে ঘর থেকে বেরিয়ে যান। ঘরে এক বছরের সন্তান ছিল। পরে মালেকা বেগম বাসায় এসে ফলমন্ডি এলাকায় স্বামীকে খুঁজতে যান। কিন্তু ফলমন্ডিতে গিয়ে তিনি স্বামীকে খুঁজে পাননি। এই সময় স্বামীর এক বন্ধুর কাছ থেকে রিকশা ভাড়ার টাকা নিয়ে তিনি বিআরটিসি মোড়ে ফ্লাইওভারের নিচে রিকশার জন্য অপেক্ষা করছিলেন।
রাতে এক নারীকে একা দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে আসামি মো. রুবেল গিয়ে মালেকার সঙ্গে কথা বলেন এবং স্বামীর সন্ধান করে দেবে বলে মালেকা নিয়ে সিআরবির একটি পরিত্যক্ত বাংলোয় চলে যায়। সেখানে রুবেলের সঙ্গে সুমন নামের আরেকজন যোগ দেয়। তারা দুজনই মালেকা বেগমকে ধর্ষণের চেষ্টা করলে তিনি চিৎকার করেন এবং পুলিশকে এই তথ্য জানিয়ে দেবে বলে জানায়। তখনই রুবেল ও সুমন নিহত মালেকা বেগমের শরীরে থাকা বোরকার ওড়না দিয়ে গলা প্যাঁচিয়ে তাকে হত্যা করে। মরদেহ ফেলে যাওয়ার সময় মালেকা বেগমের কাছে থাকা একটি মোবাইল ফোনসেট নিয়ে যায়। পরে মোবাইল সেটটি দুই হাজার ৮০০ টাকায় বিক্রি করে মাইকেল বড়ুয়ার কাছে।
পরদিন মঙ্গলবার মালেকা বেগমের মরদেহ উদ্ধারের পর এই ঘটনায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক সজল দাশ আসামিদের গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করে। আসামিরা নিজদের দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দেয় আদালতে।
Leave a Reply