শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৪৩ অপরাহ্ন
পটুয়াখালী প্রতিনিধি॥ পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার উলানিয়া বাজারের একটি উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় ভূমি অফিসের বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যে ওই উপস্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জমিতে সীমানা প্রাচীর দেয়া হয়েছে।
পটুয়াখালী স্বাস্থ্য দফতর থেকে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে কয়েক দফা চিঠি চালাচালি করলেও বন্ধ হয়নি কাজ। বরং করোনা পরিস্থিতি উপেক্ষা করে যেনতেন ভাবে নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করে উন্নয়ন কাজ করছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
এ ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছে স্থানীয় পটুয়াখালী-৩ আসনের এমপি এসএম শাহাজাদা সাজুও। তিনি বলেন, স্থানীয়রা সম্মিলিতভাবে এই দখলের বিরুদ্ধে আমার কাছে অভিযোগ দিয়েছিল। আমি তাৎক্ষনিক উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অবহিত করে বিষয়টি দেখতে বলেছিলাম, কিন্তু কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।
গলাচিপা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার মু. মনিরুল ইসলাম বলেন, ৭০ বছরের পুরনো এই উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে ওই অঞ্চলের অন্তত ৫০ হাজার মানুষ স্বাস্থ্যসেবা পেয়ে আসছে। মূলত উলানিয়া বাজারটি একটি বিশাল বন্দর হিসাবে পরিচিতি হওয়ায় অন্তত পাঁচটি ইউনিয়নের ৫০ হাজার মানুষ ওই স্বাস্থ্য কেন্দ্রের সেবা উপর নির্ভরশীল। দুইজন ডাক্তারসহ মোট ৫ জন কর্মচারী নিয়মিতভাবে চিকিৎসা সেবা দিয়ে আসছে।
স্বাস্থ্যকেন্দ্রের পাশেই রয়েছে স্থানীয় আটখালী ভূমি অফিস। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথমদিকে ওই ভূমি অফিস বর্ধিতকরণের লক্ষ্যে স্বাস্থ্যকেন্দ্রের জমি দখলের চেষ্টা করলে জনপ্রতিনিধিসহ স্থানীয়দের বাধার মুখে কাজ বন্ধ হয়। কিন্তু করোনা দুর্যোগ পরিস্থিতির সুযোগে স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ৪৫ শতাংশ জমি দখল করে সীমানা প্রাচীর নির্মাণের কার্যক্রম শুরু করে ভূমি অফিসের লোকজন।
এ প্রসঙ্গে গলাচিপা উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহ মো. রফিকুর ইসলাম বলেন, উল্লেখিত জমিতে উন্নয়ন কাজ বাস্তবায়ন করছে এলজিইডি, উপজেলা প্রশাসন নয়। আর উপজেলা প্রশাসন অন্যের জমি দখল করে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করছে না। এ ধরনের কোনো বিষয় থাকলে কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে দেখা হবে।
এ প্রসঙ্গে পটুয়াখালী সিভিল সার্জন মোহাম্মদ জাহাংগীর আলম বলেন, বিষয়টি শুনে তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ ছাড়াও লিখিতভাবে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ জানানো হয়েছে এবং জেলা প্রশাসককে অবহিত করা হয়েছে।
Leave a Reply