মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৫, ০৫:০৬ অপরাহ্ন
ভয়েস অব বরিশাল ডেস্ক॥ টাঙ্গাইলের নাগরপুরে সিঁধ কেটে মুক্তিযোদ্ধার বাড়িতে চুরি করতে গিয়ে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের এক নেতা এলাকাবাসীর হাতে ধরা পড়েছেন বলে জানা গেছে। পরে তাকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোর্পদ করা হয়। শুক্রবার (১৭ এপ্রিল) দিবাগত রাতে উপজেলার সহবতপুর ইউনিয়নের নন্দপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আটক ওই ব্যক্তির নাম শাহীন খান (৪২)। তিনি সহবতপুর ইউনিয়নের নন্দপাড়ার মৃত ছামু খানের ছেলে ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের বর্তমান কমিটির সভাপতি। এছাড়া তিনি ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক সদস্য।এলাকাবাসী জানায়, শাহীন অনেক দিন ধরেই চুরি করেন। এর আগে একাধিকবার চুরি করতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়েছেন।
তার বিরুদ্ধে একাধিক চুরির অভিযোগও রয়েছে। ইউপি সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর কিছুদিন ভালো চললেও আবার তার উপদ্রব বেড়ে গেছে। এরই ধারাবাহিকতা শাহীন শুক্রবার গভীর রাতে একই গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা হাশেম মিয়ার বাড়িতে চুরি করতে যান। হাশেম মিয়ার ছেলে ওসমান গনি বলেন, আমি শুক্রবার দিবাগত রাতে বাড়ির পাশের জমিতে ইরি স্কিম থেকে জমিতে পানি দিয়ে বাড়িতে এসে টর্চের আলো জ্বালালে কুখ্যাত সিঁধেল চোর শাহীনকে দৌড় দিতে দেখি। এসময় আমি ও আমার পরিবারের ডাক চিৎকারে এলাকাবাসী এগিয়ে এসে পালানোর সময় তাকে ধরে ফেলে। ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে গ্রামবাসী শাহীনকে পিটিয়ে গাছের সাথে বেঁধে পুলিশকে খবর দেয়।
এ ব্যাপারে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান তোফায়েল হোসেন মোল্লা বলেন, ঘটনাটা আমি শুনেছি। ঘটনাস্থলে ইউপি সদস্য তোফাজ্জল হোসেন গিয়ে তাকে উদ্ধার করে পুলিশে সোপর্দ করে।
সহবতপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি নূরু সরকার বলেন, গতকাল রাতেই স্থানীয় মেম্বার তোফাজ্জল হোসেন আমাকে মোবাইলে বিষয়টি জানিয়েছেন। আজ সকালেই আমি উপজেলা নেতৃবৃন্দকে জানিয়েছি। স্থানীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে বিষয়টি তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ বিষয়ে নাগরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলম চাঁদ বলেন, খবর পেয়ে আহত অবস্থায় শনিবার সকালে শাহীনকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। তার অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠান। বিষয়টি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Leave a Reply