দাঙ্গাবাজদের হাতে পা হারানো মোবারক মিয়া আর নেই Latest Update News of Bangladesh

শনিবার, ২৩ অগাস্ট ২০২৫, ০১:০৯ অপরাহ্ন

বিজ্ঞপ্তি :
Latest Update Bangla News 24/7 আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি ভয়েস অব বরিশালকে জানাতে ই-মেইল করুন- inbox.voiceofbarishal@gmail.com অথবা hmhalelbsl@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।*** প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে!! বরিশাল বিভাগের সমস্ত জেলা,উপজেলা,বরিশাল মহানগরীর ৩০টি ওয়ার্ড ও ক্যাম্পাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! ফোন: ০১৭৬৩৬৫৩২৮৩
সংবাদ শিরোনাম:
শেখ হাসিনার অডিও সম্প্রচারে গণমাধ্যমকে সরকারের কড়া হুঁশিয়ারি বরিশালে দুই উপজেলায় চার শিশুর মৃত্যু মৃত্যুর দুয়ার থেকে ৫ দিন পর ফিরলেন ভাসমান জেলে মোরশেদ বরিশালে থানা কম্পাউন্ডে ছাত্র-জনতার অবস্থান, কাজে ফিরেছে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা নগরীর সদর রোডে দুইটি ডাস্টবিন বসালেন মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা-কর্মীরা সুন্দরবন থেকে কুয়াকাটায় বড় কোরাল মাছ, বিক্রি ৩৬ হাজারে নির্বাচনে সেনাবাহিনীর সর্বোচ্চ প্রস্তুতি, পাশে থাকার অঙ্গীকার: সেনাপ্রধান ফেব্রুয়ারিতেই ভোট, সময়সূচি পেছানোর সুযোগ নেই: আইন উপদেষ্টা স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় প্রতীক বাতিল ঘোষণা সরকার কঠোর, ডিবি প্রধান হারুনসহ একসঙ্গে ১৮ কর্মকর্তার সাময়িক বরখাস্ত




দাঙ্গাবাজদের হাতে পা হারানো মোবারক মিয়া আর নেই

দাঙ্গাবাজদের হাতে পা হারানো মোবারক মিয়া আর নেই




ভয়েস অব বরিশাল ডেস্ক॥ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে দাঙ্গাবাজদের হাতে পা হারানো মোবারক মিয়া (৪৫) মারা গেছেন। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার দিবাগত রাত আনুমানিক দেড়টার দিকে তার মৃত্যু হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে তার পরিবার।

 

গত ১২ এপ্রিল নবীনগরের কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের হাজিরহাটি গ্রামে দাঙ্গাবাজরা মোবারকের বাম পা গোঁড়ালির ওপরের অংশ থেকে কুপিয়ে বিচ্ছিন্ন করে। এরপর কাটা পা হাতে নিয়ে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দেয় দাঙ্গায় জড়িত এই হামলাকারীরা। পরিবারের লোকজন জানান,তার ডান পা-ও কুপিয়ে আলাদা করার চেষ্টা হয়। দুই হাত এবং পিঠেও বেশ কয়েকটি কোপ দেয়া হয়।

 

গুরুতর আহত অবস্থায় ৪ দিন মুমূর্ষু অবস্থায় থেকে মারা যান মোবারক। ঘটনার পরপরই তাকে কোপানোর সঙ্গে জড়িত কয়েকজনের নাম প্রকাশ করেন মোবারক। তারা হচ্ছেন থানাকান্দি গ্রামের সিরাজের ছেলে খোকন, হাজিরহাটি গ্রামের মাঈনুদ্দিনের ছেলে রুমান, (রুমানের হাতেই ছিল কাটা পায়ের অংশ) জিল্লুর ছেলে শাহিন ও মালির ছেলে জাবেদ।  বাকিদের তিনি চিনতে পারেননি বলে জানান। তার এই বক্তব্যের মোবাইলে করা ভিডিও রেকর্ড ছড়িয়ে পড়েছে। এ ঘটনায় মোট ১২/১৩ জন জড়িত বলে জানিয়েছেন পরিবারের সদস্যরা।

 

ঢাকায় রিকসা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহকারী মোবারক করোনা পরিস্থিতির কারণে বাড়িতে এসেছিলেন। গ্রামে দু-পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হলে নিজের ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেন। মোবারকের স্ত্রী সাবিয়া জানান, তার সামনেই মোবারককে মাটিতে সোজা করে শুইয়ে ফেলে কোপানো হয়। এসময় তিনি অদূরেই থাকা পুলিশের কাছে ছুটে গিয়েছিলেন সাহায্যের জন্যে। তার স্বামীকে মেরে ফেলা হচ্ছে বলে জানিয়েছিলেন। কিন্তু পুলিশ তাকে উল্টা ধাওয়া দেয়।

 

সাবিয়া জানান, ঘটনাস্থলের কাছে ৩০/৪০ জন পুলিশ অবস্থান করছিল। তারা ঝগড়া থামানোর কাজ না করে আসামি ধরতেই ব্যস্ত ছিল। মোবারক গ্রামের কোনো ঝগড়া-দলাদলিতে ছিলেন না বলেও জানান তার স্ত্রী। তার জন্ম এবং বিয়েশাদী সব ঢাকাতেই। বছর চারেক আগে পরিবার নিয়ে গ্রামে চলে আসেন মোবারক। কিন্তু গ্রামের দাঙ্গা পরিস্থিতির কারণে এরমধ্যে দেড় বছর শ্বশুর বাড়িতে কাটাতে হয় তাকে। পরে আবার ঢাকায় চলে যান রিকসা চালাতে।

সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *










Facebook

© ভয়েস অব বরিশাল কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed BY: AMS IT BD