শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৫১ পূর্বাহ্ন
দুমকি প্রতিনিধি॥ পটুয়াখালীর দুমকিতে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে অঘোষিত লকডাউনের ৭ দিন পেরিয়ে গেলেও খালের পাড়ে এক ঝুপড়ি ঘরে থাকা অসহায় বৃদ্ধ সোবহানের (৬৭) খোঁজ রাখেনি কেউ। দোকানপাট বন্ধ থাকায় চিড়া-মুড়িও ভাগ্যে জোটেনি তার।
টানা ৩ দিন শুধু পানি পান করেই দিনপার করেছেন তিনি। এর মধ্যে একজন সুহৃদ প্রতিবেশীর দেয়া দুই পিস কেক খেয়েছেন তিনি। অসহায় বৃদ্ধ সোবহান হাওলাদার কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, বাবা করোনায় কি করব, না খেয়েই তো মরতে হবে। যতদিন শক্তি আছিল, কাম কইরা খাইছি, এখন শক্তিও নেই, খাইতেও পারি না। দোকানপাট খোলা থাকলে মানুষের কাছে চেয়ে খেতাম। করোনার কারণে শহরের সব দোকান বন্ধ থাকায় না খেয়েই থাকতে হয়। তিনি দুঃখ করে বলেন, কত ভালো মানুষ কতভাবে সাহায্য পায়, আর আমি না খাইয়া মরি। কেউ আমার খোঁজ নেয় না।
এ বিষয়ে শ্রীরামপুর ইউপি চেয়ারম্যান মো. আমিনুল ইসলাম সালাম বলেন, সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের ইউপি সদস্যের দেয়া তালিকায় সোবহানের নাম না থাকায় খাদ্য সহায়তা দেয়া হয়নি। তার নামে ১০ কেজি চাল পৌঁছানোর ব্যবস্থা করব।
দুমকি থানার ওসি মো. মেহেদী হাসান বলেন, থানার কাছেই এমন মানবেতর অবস্থায় বসবাস করছেন ওই বৃদ্ধ তা আমার জানা ছিল না। যত দ্রুত সম্ভব তাকে সাহায্য-সহায়তার ব্যবস্থা করা হবে। দুমকি উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) আল-ইমরান বলেন, বিষয়টি আমার জানা ছিল না। সরেজমিন পরিদর্শন করে খাবারের ব্যবস্থা করা হবে।
Leave a Reply