বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৫৮ অপরাহ্ন
কলাপাড়া প্রতিনিধি।। পটুয়াখালীর কলাপাড়া পৌর শহরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের প্রথম প্রহরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে অনেকেই বিড়ম্বনায় পড়েছেন। যার ফলে এ নিয়ে অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। অনেকেই ফুল দিতে না পেরে চলে গিয়েছেন। ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর সময় কোনো সুষ্ঠ ও সুশৃঙ্খল ব্যবস্থাপনা না থাকায় অনেকেই উপজেলা প্রশাসনের ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
জানাযায়,শহীদদের প্রতি সম্মান জানাতে রাত ১২ টার আগেই বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পক্ষে অসংখ্য মানুষ জড়ো হয়। রাত ১২ টা ১ মিনিটে স্থানীয় সাংসদ আলহাজ্ব মো. মহিব্বুর রহমান সবার আগে শহীদ বেদিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। এরপর উপজেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা কে কার আগে বেদিতে ফুল দিবেন এ নিয়ে শুরু হয় ঠেলাঠেলির তীব্র প্রতিযোগিতা।
শহীদ বেদিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীদের ফটোশেসন আর সেলফি তোলার বিষয়টি ছিল সবচেয়ে দুঃখজনক। এ সময় শহীদ মিনারের পাদদেশে উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, সামাজিক সংগঠন, অপরাপর রাজনৈতিক দলসহ গণমাধ্যমকর্মীদের নীরবে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। গণমাধ্যমকর্মীরাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান শহীদ মিনারের মুল বেদিতে ফুল দিতে উঠতে না পেরে শহীদ মিনারের সিড়িতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়ে চলে যেতে দেখা যায়। রাত সাড়ে ১২ টার সময় এ নিয়ে স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীরা কলাপাড়া প্রেসক্লাবের সামনে গিয়ে তীব্র প্রতিবাদ জানান। এ বছর একুশের কোনো অনুষ্ঠানের তথ্য সংগ্রহ না করারও তাঁরা সিদ্ধান্ত নেন।
শুক্রবার সকালে কলাপাড়া প্রেসক্লাবের সামনে এসে একটি সরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘একুশের প্রথম প্রহরে ফুল দিতে না পেরে ফিরে যেতে হয়েছে। পুনর্বার শুক্রবার প্রত্যুষে গিয়ে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছি।’
কলাপাড়া প্রেসক্লাবের সভাপতি মো. হুমায়ুন কবীর বলেন, ‘শহীদ বেদিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়ে নীরবে যে যার মতো চলে যাবে। সব সময় এরকমই হয়েছে। অথচ এবার ভালোভাবে কেউ ফুল দিতে পারেনি। এটা মোটেই কাম্য নয়।
তা ছাড়া শহীদ মিনারের মূল বেদি সেলফি তোলার জায়গা নয়। উপজেলা প্রশাসনের সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছিল, ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর সময় যাতে কোনো সমস্যা না হয় সেটা নিয়ন্ত্রন করা হবে। তা ছাড়া কে কার পর ফুল দিবে তা মাইকে ঘোষনা করা হবে। ফুল দেয়ার সময় কোনো ব্যবস্থাপনা ছিলনা। এটা মোটেই ঠিক হয়নি। কলাপাড়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম জানান,আমার কাছে কোন অভিযোগ আসলে ব্যাবস্হা নিবো ।
Leave a Reply