রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৪০ অপরাহ্ন
পিরোজপুর প্রতিনিধি॥ পিরোজপুরের নাজিরপুরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ১০ জন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি) উপজেলার মাটিভাঙ্গা কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি ও সম্পাদক গ্রুপের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়। এতে গুরুতর আহত হয় যুবলীগ নেতা রিয়াজুল কবির (৩২) ও পথচারী মো. শরিফুল ইসলাম (৪০)। আহতদের গোপালগঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে।
জানা যায়, রবিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. রনি শেখ ও সাধারণ সম্পাদক মেহেদি হাসান হৃদয় গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে ওই কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মেরাজুল ইসলাম ফারাভী, রিজভী শরিফুল, শাফিক হোসেন, তানভীর হোসেন, ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতি অমিত হাসান স্থানীয় পল্লী চিকিৎসক ও যুবলীগ নেতা রিয়াজুল করিব (৩২), পথচারী শরিফুল ইসলাম (৪০), প্রথম বর্ষ কমিটির প্রচার সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম ও সাংগঠনিক সম্পাদক আজিম হোসেন আহত হয়েছে।
এ বিষয়ে মাটিভাঙ্গা কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান হৃদয় জানান, শনিবার সকালে কলেজ হোস্টেলে থাকা এইচএসসি পরীক্ষার্থী হামিমকে মারধর করেন কলেজ কমিটির সভাপতি মো. রনি শেখ ও সহসভাপতি রবিউল শরিফ।
এ ঘটনা স্থানীয়ভাবে মীমাংসা করে দেওয়ার জন্য ওই দিন রাতে বসার কথা থাকলেও তারা (সভাপতি) আসেনি। বরং রবিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কলেজে গেলে কলেজের মসজিদ গেটে দাঁড়িয়ে কথা বলার সময় সভাপতির নেতৃত্বে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ৮ থেকে ৯ জন আমাদের ওপর হামলা করে। এ সময় হামলায় কলেজ কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মেরাজুল ইসলাম ফারাভী, রিজভী শরিফুল, শাফিক হোসেন, তানভীর হোসেন ও ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতি অমিত হাসান আহত হন।
তবে সভাপতি মো. রনি শেখ এমন হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, সাধারণ সম্পাদক মেহিদী হাসান হৃদয় ওই দিন সকাল ১০টার দিকে কলেজের প্রথম বর্ষ কমিটির সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলামকে মারধর করে। এ ঘটনার জের ধরে শরিফুলের লোকজন তাদের মারধর করে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে কলেজ কমিটির সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান হৃদয় তার লোকজন নিয়ে স্থানীয় মাটিভাঙ্গা বাজারে থাকা ছাত্রলীগের অফিস ভাংচুর করে। সেখানে থাকা টিভি, চেয়ার-টেবিলসহ বিভিন্ন মালামাল ভাঙচুর করে।
এ সময় এ হামলায় বাধা দিতে যাওয়া যুবলীগ নেতা ও পল্লী চিকিৎসক রিয়াজুল কবিরকে (৩২) এবং এ হামলার ছবি তুলতে থাকা স্থানীয় পথচারী শরিফুল ইসলামকে (৪০) মারাত্মকভাবে কুপিয়ে আহত করে হামলাকারীরা।মাটিভাঙ্গা তদন্ত কেন্দ্র পুলিশের আইসি (ওসি) মো. মিজানুর রহমান বলেন, হামলা, মারধর ও অফিস ভাঙচুরের কথা স্বীকার করে জানান, উভয় গ্রুপই ছাত্রলীগ। তারা আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটিয়েছে। তবে এ ব্যাপারে এখনো কোনো অভিযোগ পাইনি। পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।এ ব্যাপারে মাটিভাঙ্গা কলেজের অধ্যক্ষ মো. আব্দুস সালাম জানান, উভয়েই ছাত্রলীগ। তাদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার চিৎকার শুনে অফিস থেকে বের হয়ে তাদের কলেজ থেকে বের করে দেই। এ নিয়ে পরে কি হয়েছে তা আমার জানা নেই।
Leave a Reply